ফরিদুর রেজা সাগর
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫ ১৪:৩৪ পিএম
অলংকরণ : নিঝুম নিসর্গ, ষষ্ঠ শ্রেণি, রোজডেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, খুলনা
হাতে গ্লাভস, পায়ে প্যাড পরে ব্যাট হাতে মাঠে প্রবেশ করল ম্যাও। প্রথমেই ম্যাও চারপাশটা ভালো করে দেখল। কাভার ড্রাইভটা ফাঁকা আছে, সেখানে কোনো ফিল্ডার নেই। বোলিং প্রান্তে আছে মিউ মিউ। এক পা দুই পা করে দুরন্তগতিতে বল করল মিউ। প্রথম বলে কোনো রান হলো না।
পরের বল ম্যাও ব্যাটটি সজোরে চালিয়ে কাভার ড্রাইভ করল। বল দ্রুতগতিতে সীমানার বাইরে চলে গেলÑ চার রান। গ্যালারিতে দর্শক উল্লসিত। ম্যাও ম্যাও বলে চিৎকার চলছে গ্যালারিতে। কেউ কেউ প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রশংসা করছে। মায়রা-মায়রন ও খুব ভালো ব্যাটার। সেবার দুবাইতে প্রায় একক কৃতিত্বে বেড়ালটা দল জিতিয়েছিল। দুদলের প্লেয়ারদের উইকেটকিপারের নাম হাল্লুম। একজন বোলারের নাম মিন্নি। কারও নাম ঘটং। টেলিভিশনে বিকালবেলা একটা কার্টুন হয়। নানাভাই বসে বসে টেলিভিশনে এটা দেখেন।
নানাভাই ক্রিকেটের ভীষণ ভক্ত। সেদিন বিকালবেলা নানাভাই ক্রিকেট খেলা দেখছেন। বিল্লিং একাদশ বনাম মিন্নি একাদশ। চরম উত্তেজনা চলছে। মায়রা বলল, আমিও একটু ক্রিকেট খেলে আসি। সে টেলিভিশনের পর্দা ভেদ করে চলে গেল মাঠে। বিল্লিরা মায়রাকে দেখে ছুটে পালাল। মায়রা ব্যাট করছে আর মায়রন বল করছে। মায়রার প্রথম বল ডট। পরের বলেই চার। তার পরের বলেই আউট। নানাভাই তাদের খেলা দেখছেন। গ্যালারিতে দর্শক নেই। নানাভাই একাই দর্শক। এর পর মায়রা বল করছে মায়রন ব্যাটিংয়ে। প্রথম বলেই মায়রন চার মেরে দিল। পরের বলেই বোল্ড। দুজনেই সমান সমান। কেউ হারেনি। কেউ জিতেনি। নানাভাই ভাবলেন আমিও ছেলেবেলায় ক্রিকেট খেলতাম। এখন যদি সেই ছেলেবেলা ফিরে পাওয়া যেত। মায়রা-মায়রন ফিরে এসে নানাভাইয়ের গলা জড়িয়ে ধরে বলল, চলো আমরা বাংলাদেশের খেলা দেখতে মিরপুর স্টেডিয়ামে যাই। বুবাইকেও সঙ্গে নিতে হবে কিন্তু। নানাভাই হো হো করে হেসে উঠে বললেন, ঠিক আছে নানাভাই।