লেখা ও আঁকা : আনাস শহিদ
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫ ১৪:২১ পিএম
স্কুলে ভর্তি হয়েছে ওয়াসি। বয়স চার। কথা না বলে সে থাকতেই পারে না। আমি ওর চেয়ে বয়সে বড়। ও তা মানতে চায় না। ওকে খেলায় নিতে চাই না সহজে। কথা বেশি বলে।
বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। ঝিরঝির বৃষ্টি। ঝড়ো বৃষ্টি। আমি মার সঙ্গে স্কুলে যাচ্ছি রোজ। রেইনকোট পরে। আর ওয়াসির রেইনকোট নেই। বেচারা ওয়াসি ছাতা নিয়ে স্কুলে যায়। আর স্কুলও বাসার সামনেই। গেট থেকে বের হলেই স্কুল। তবু রেইনকোট চাই তার। আমার রেইনকোট আছে, ওর নেই কেন। ওর মাকে বলে বলে কান্না করে। অফিস শেষে এক দিন ওয়াসির বাবাÑ সুন্দর দেখে রেইনকোট নিয়ে আসেন। আর ওয়াসির খুশি দেখে কে। রাত নাই দিন নাই সারাক্ষণ ওটা পরে ঘুমায়, খেলে, খেতে বসে। ওর মা-বাবা দুজনেই বেশ বিরক্ত। মজার কথা রেইনকোট নেওয়ার পরদিন থেকে আর বৃষ্টির দেখা নেই। বেচারা ওয়াসির স্বাদটা আর মিটল না। এরই মধ্যে ওর ছোট খালামণির বাসায় সবার দাওয়াত। সেখানে ওয়াসি ফুলবাবু সেজে গেল তার রঙিন রেইনকোট পরে। আয়িদ ওয়ারিজা মিনান আনাস সবাই হাসতে হাসতে বেচারাকে নাজেহাল করে তুলল। ওয়াসি কিছু মনেই করল না। ইচ্ছামতো ঘুরতে লাগল।
তৃতীয় শ্রেণি, শহিদপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঁচলাইশ, চট্রগ্রাম