লেখা ও আঁকা : সিম্মল ধূলি
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৫ ১৩:৪১ পিএম
আপডেট : ২২ মে ২০২৫ ১৩:৫২ পিএম
এক শহরে দূর্বা নামের এক মেয়ে ওর বাবা মায়ের সঙ্গে থাকত। শহরে এত ধুলোবালি থাকার কারণে ওদের ভালো লাগত না। ওরা চিন্তা করল শহরে আর থাকবে না। ওরা একটা গ্রামে চলে যাবে সারাজীবনের জন্য। কিন্তু দূর্বা বলল, না, ও যাবে না। কারণ ও যে স্কুলে পড়ে সেখানে ওর অনেক বন্ধু আছে। বাবা-মা ওকে বুঝিয়ে বলল, গ্রামে গিয়েও তোমার অনেক বন্ধু হবে। আর একটা নতুন স্কুলেও যাবে।
তারপর দূর্বা গ্রামে যেতে রাজি হলো। এর পরের দিন সকালে গ্রামে যাওয়ার জন্য রওনা হলো। অনেকক্ষণ পর ওরা গ্রামে পৌঁছে গেল। গ্রামটির নাম আশিনপুর। ওরা গ্রামে গিয়ে একটা মাটির ঘরে থাকা শুরু করল। ঘরটার ঠিক পিছনে ছিল একটা ঘন জঙ্গল।
জঙ্গলটা গাছ-গাছালিতে ঢাকা। জঙ্গলে ছিল সুন্দর সুন্দর ফুল গাছ আর ছিল নানা রকম ফল গাছ। আম, জাম, লিচু, সবেদা, তেঁতুল, বট আরও অনেক রকম গাছ। আর ছিল অনেক পশু-পাখি। প্রায় অনেক গাছেই পাখি বাসা বেঁধেছে। ভোরে শুধু কিচিরমিচির করে পাখির ডাক শোনা যায়। দূর্বা মাঝে মাঝে যেত ওই জঙ্গলে। দূর্বারা অনেকদিন হয়ে গেছে এই গ্রামের থাকে। এখন ওরা এ গ্রামের সবকিছু চিনে গেছে। একদিন ও জঙ্গলে যাবে, এজন্য ঘর থেকে বের হয়েছে। ঠিক তখনই পাশ থেকে কেউ ম্যাও ম্যাও করে উঠল। পাশে তাকিয়ে দেখে একটা ছোট বিড়াল ছানা।
ও ছানাটাকে কোলে নিয়ে বাসার ভেতর ঢুকল। ও বিড়ালটার নাম রাখল লিলি। লিলি দেখতে অনেক সুন্দর। লিলি ছিল সাদা রঙের। দূর্বা লিলিকে পালতে শুরু করল। ওরা অনেক মজা করে খেলা করত, একসঙ্গে থাকত। একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করত। একদিন সকালবেলা দূর্বা ঘুম থেকে উঠে দেখল লিলি নেই। ও সারা বাড়ি খুঁজল। বাইরেও খুঁজল।
আশপাশের মানুষকে জিজ্ঞেস করল। জঙ্গলে খুঁজল। কিন্তিু লিলি কোথাও নেই। ও বাসায় এসে কান্না শুরু করল। কিন্তু ও আলমারি খুলে দেখতে ভুলে গিয়েছিল। ঠিক তখনই লিলি আলমারি থেকে দৌড়ে বেরিয়ে এসে দূর্বার কোলে উঠে গেল। আর দূর্বা অনেক খুশি হলো। তারপর ওরা দুজন খেলতে খেলতে মজা করে থাকতে শুরু করল।