মাকে ভালোবেসে

সামনে ‘মা দিবস’। স্কুলে এ দিবসটি পালিত হবে। ময়না জানে না দিবসটি সম্পর্কে। এক ম্যামের কাছে সে দিবসটির গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে চাইলে। ম্যাম বললেন, মায়েরা আমাদের পেছনে শ্রম দেন, সব সময়। তাই মায়েদের ভালোবেসে একটি দিন উৎসর্গ করা হয়েছে।

ম্যাম আরও নানান কিছু বললেন। ময়না বাসায় ফিরে অনেকক্ষণ ভাবে। তারপর থেকে সে নিজের কাজ নিজে করে। পড়ার টেবিল এবং জামা-কাপড় গোছায়। মেয়ের কাজ দেখে মা অনেক খুশি। কিন্তু ময়নার পরিবর্তন হওয়ার কারণ জানেন না। মা দিবসের দিন স্কুলে অনেক সুন্দর করে দিবসটি পালন হলো। বাবা সেদিন অফিস থেকে ছুটি নিলেন। স্কুল থেকে ফিরে ময়না ও তার মা বাসায় গিয়ে দেখে বাবা সব রান্না করে রেখেছেন। বিকালে ময়নার মা যখন ঘুমাচ্ছিলেন তখন ময়না ও তার বাবা মিলে একটি কেক তৈরি করল এবং তার ওপর লিখলÑ ‘হ্যাপি মাদার ডেজ’। মা ঘুম থেকে উঠে বাড়িঘর সাজানো দেখে চমকে ওঠেন। তখন পাশ থেকে ময়না তার মাকে বললÑ ‘হ্যাপি মাদার ডেজ মাম্মি’। মা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। একটু পর ময়না কেক নিয়ে এলো। কেক কাটা হলে ময়না মাকে একটা চিঠি দেয়।

আমার প্রিয় মা, 

সারাটি দিন তুমি আমার জন্য কত কষ্ট করো, সেই সকালে উঠে রান্না করো, আমাকে স্কুলে নিয়ে যাও। তোমার এই ঋণ শোধ করা যাবে না, তোমাকে অনেক ভালোবাসি মা। তোমায় ছাড়া পৃথিবীতে কিছুই চাই না। 

ইতি

ময়না

চিঠি পড়ে মা হাসবেন না কাঁদবেন বুঝতে পারেন না। ময়নাকে জড়িয়ে ধরলেন মা।

ষষ্ঠ শ্রেণি, খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন খান উচ্চ বিদ্যালয়, মানিকগঞ্জ