মো. নাছির উদ্দিন
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৫ ১২:৪০ পিএম
কচুয়ায় কাগজের বাক্স বিক্রি করে সফল ব্যবসায়ী বাপ্পী সাহা
চাঁদপুরের কচুয়ায় কাগজের বাক্স তৈরি করে দীর্ঘ ২৮ বছর জীবিকা নির্বাহ করছেন বাপ্পী সাহা। এ কাজে তিনি সফল হয়েছেন। ২৮ বছর আগে মাত্র ৫ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করে বর্তমানে একজন সফল ব্যবসায়ী বাপ্পী। জীবিকার তাগিদে কাগজের বাক্স তৈরি করে ভাগ্যবদলে সাফল্য পাওয়ায় খুশি তার পরিবার। বর্তমানে বাপ্পী সাহার প্যাকেজিং অ্যান্ড ফরেন কারখানায় ১২ জন শ্রমিক কাজ করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পালাখাল গ্রামের অধিবাসী কৃষ্ণ সাহার ছেলে বাপ্পী সাহা ১৯৯৬ সালের শেষের দিকে মাত্র ৫ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে কাগজের বাক্স তৈরির কাজ শুরু করেন। ধীরে ধীরে বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বৃহৎ আকারে ব্যবসা শুরু করেন। আর পেছনে তাকাতে হয়নি। পালাখাল বাজারে অবস্থিত তার কাগজের বাক্স কচুয়া, সাচার, পালাখাল, রহিমানগরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। কঠিন পরিশ্রম ও সততার কারণে তিনি আজ একজন সফল ব্যবসায়ী। তার সফল হওয়ার পেছনে তার বাবা ও ভাইদের অবদান রয়েছে। ঠোঙা ও মিষ্টির বাক্স তৈরির যাবতীয় কাগজ ও বোর্ড ঢাকা থেকেই সংগ্রহ করতে হয়। নিজের পারিশ্রমিক, কর্মচারীর বেতন পরিশোধসহ যাবতীয় খরচ মিলিয়ে ব্যবসায়ে ভালো লাভ থাকছে তার। ব্যবসাটি আরও বৃহদাকারে পরিচালনা করতে সরকারি সহায়তা চান তিনি।
ব্যবসায়ী বাপ্পী সাহা বলেন, ‘ছোটবেলায় অনেক পরিশ্রম করেছি। ক্ষুদ্র চালান নিয়ে কাগজের বাক্স তৈরির কাজ শুরু করি। পর্যায়ক্রমে চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসার পরিধি বাড়তে থাকে। পরিবারের সার্বিক সহযোগিতা ও নিজের উদ্যোগে আজ এ অবস্থান তৈরি হয়েছে। বর্তমানে আমার কারখানায় ১২ জন শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তবে এ ব্যবসায় মুনাফা বেশি থাকায় দ্রুত লাভবান হওয়া যায়। শিক্ষিত বেকার যুবকরা এ কাজে আগ্রহী হলে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাই ব্যবসাটি আরও বৃহদাকারে স্থাপন করতে সরকারি সহযোগিতা কামনা করছি।’
কারখানার শ্রমিক খোকন ও রিয়াদ হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা বাপ্পী সাহার কারখানায় কাজ করছি। মালিক ভালো হওয়ায় আমাদের কোনো ধরনের অসুবিধা হয়নি। নিয়মিতভাবে মাসিক বেতন পরিশোধ করেন। যার কারণে আমরা পরিবার নিয়ে খুবই ভালো আছি।’
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন, ‘বাপ্পী সাহার মতো কচুয়ার বিভিন্ন জায়গায় প্যাকেজিংয়ের কাজ হয়। কচুয়ার স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন স্থানে এসব কাগজের বাক্স বিক্রি করা হচ্ছে। প্রশাসনিকভাবে এসব উদ্যোক্তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।’