কর্মজীবী মা
রওনক জাহান পুষ্প
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৫ ১২:৫৯ পিএম
আজমিরী বিনতে রেজাক, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট, সাজগোজ লিমিটেড
ঢাকার মিরপুরে একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন সোনিয়া। তিন রুমের ফ্ল্যাট, স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরিজীবী। একমাত্র ছেলে অর্ণব পড়ে ক্লাস থ্রিতে। সকাল ছয়টা বাজতেই শুরু হয় দায়িত্বের চাকা ঘোরা। নাশতা, টিফিন, লাঞ্চ রেডি করে দেওয়া, ছেলেকে স্কুলের জন্য তৈরি করতে করতেই সময় পেরিয়ে যায়। ছেলেকে স্কুলে পাঠিয়ে নিজে অফিস যেতে যেতে ১০-১৫ মিনিটের দেরিতে প্রায়ই পড়তে হয়। তার পর সারা দিন অফিসের বিভিন্ন কাজের চাপে ঠিকমতো খাওয়াটাও হয় না অনেক দিন। কখনও কখনও লাঞ্চ মিস হলে বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার, কখনও আবার হালকা চা-বিস্কুটেই পার হয়ে যায় দুপুরটাও।
সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে ক্লান্ত শরীরে আবার সেই রান্না, কাপড় কাচা, ঘরের যাবতীয় ভারী কাজ। ছেলের বাবা ছেলেকে নিয়ে পড়ার টেবিলে বসা আর টুকটাক কাজে সাহায্য করলেও বেশিরভাগ কাজের চাপ সেই একা সোনিয়ার ঘাড়েই। সব কাজকর্ম সেরে কোনো রকমে পরিবারকে খাইয়ে নিজে দুটো মুখে তুলে থালাবাটি গুছিয়ে বিছানায় যেতেই আবার সেই ঘড়ি ধরে চলে আসে পরদিন।
ওপরের গল্পটি রূপক হলেও এমন অনেক অনেক সোনিয়া, শারমিন, নাদিয়া, নয়নতারার জীবনের গল্প এটি। চাকরি করা মানেই সবাই ভেবে বসে থাকেন, মাস শেষে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। কিন্তু আসলেই কি তাই? নিজের পরিবারের আরেকটুখানি সুখ-স্বাচ্ছন্দের জন্য, সন্তানের ভবিষ্যৎ আরেকটু ভালো করার জন্য যে কর্মজীবী মা সারা দিন অফিসে কাজ করেন, ঘর ও অফিস দুটোই সামলানোর চেষ্টা করতে করতে নিজেকে সামলাতেই ভুলে যান, তার কথা কয়জন মনে রাখেন? যারা অনলাইন বা অফলাইন ব্যবসা করছেন তাদেরও কিন্তু নিজের দিকে সময় দেওয়াটা বিরাট চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট কর্মীর প্রায় ৪৩ শতাংশই নারী। শারীরিক অসুস্থতা, সন্তানের চিন্তা, সংসারের চাপ, অফিসের ঝামেলাÑ এসব কিছুকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে ভুলে যান কর্মজীবী মা। কিন্তু নিজে যদি সুস্থ না থাকেন, তাহলে এসবের কিছুই ঠিকমতো হবে না। তাই কর্মজীবী মায়েদেরও দরকার শরীর ও মনের বিশেষ যত্ন।
শরীরের যত্ন
কর্মজীবন, সংসারজীবন এবং সন্তানের প্রতি দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করার জন্য সুস্থ থাকাটা অবশ্যই জরুরি। বেশিরভাগ কর্মজীবী মা সবকিছুর খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজে বেশ অনিয়মের মধ্যে দিয়ে যান। সময়মতো খাবার না খাওয়া, স্বামী ও সন্তানের জন্য ভালো খাবার রেখে নিজে কোনো রকম বেঁচে যাওয়া খাবার খেয়ে নেওয়া, ঠিকমতো বিশ্রাম না নেওয়া, লম্বা সময় ধরে ভারী কাজকর্ম করাÑ এসব মায়েদের শরীরকে ঠেলে দেয় অকাল বার্ধক্যের দিকে। এ খারাপ অভ্যাসগুলোর কারণে দেখা যাচ্ছে কর্মজীবী মায়েরা খুব দ্রুতই অসুস্থ হয়ে পড়েন অথবা শরীরের ক্ষতি হয়। মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা, ক্যালসিয়ামের অভাব এমনকি অবহেলার কারণে ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনের মতো বিপজ্জনক সমস্যায়ও ভুগতে হয়।
কর্মজীবী মায়েদের শরীরের যত্ন নেওয়ার জন্য সবার আগে খেয়াল রাখতে হবে সুষম খাবারের প্রতি। সারা দিন প্রচণ্ড কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর ব্যালান্স ডায়েট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু সন্তানই নয়, মায়ের নিজেরও দরকার উপযুক্ত পুষ্টিকর খাদ্য। সকালের নাশতায় বা রাতে ঘুমানোর আগে সন্তানের সঙ্গে সঙ্গে আপনিও খেয়ে নিন এক গ্লাস দুধ অথবা একটা ডিম। কাজের ফাঁকে ফাঁকে হালকা খাবার হিসেবে ব্যাগে রাখতে পারেন ফল, সালাদ, টক দই অথবা মিক্সড বাদাম। বাসায় খাওয়ার সময় যতটা গুরুত্ব পরিবারের অন্য সদস্যদের ক্ষেত্রে দিচ্ছেন, ততটাই দিন নিজের প্রতিও।
কাজের চাপে নিয়মিত পানি খেতে আমরা প্রায়ই ভুলে যাই। একজন সুস্থ পূর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরে প্রতিদিন অন্তত সাত-আট গ্লাস পানি দরকার হয়। পানি কম খাওয়ার কারণে শুধু ডিহাইড্রেশন বা হিটস্ট্রোক নয়, ইউরিন ইনফেকশনের মতো কঠিন রোগও বাসা বাঁধতে পারে, তাই অবশ্যই মনে করে পানি খাবেন। প্রয়োজনে হাত ব্যাগে একটি পানির বোতল রেখে দিন, যেটা বারবার রিফিল করে নেওয়া যাবে।
শরীরের যত্নে খাবারের মতোই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বিশ্রাম। সারা দিন যতই কাজ থাকুক, সময় করে বিশ্রাম না নিলে পরের দিন আবার কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি পাবেন না। জরুরি নয় সংসারের সব কাজ আপনাকেই করতে হবে। ঝামেলা এড়াতে এবং নিজেকে কিছুটা বিশ্রাম দিতে সংসারের কাজের দায়িত্বগুলো ভাগ করে নিন। সংসার ও সন্তানের দায়িত্ব স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে ভাগাভাগি করে নিলে এই যাত্রা অনেকটাই সহজ হয়ে পড়ে। কে কতক্ষণ বাসায় আছেন, কোন কাজগুলো করতে পারবেন- এ বিষয়ে আলোচনা করে কাজ ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিন।
মেয়ে সাঁঝবাতিকে সাথে নিয়ে আনন্দের মুহূর্ত কাটাচ্ছেন মা সাম্য সামিয়া (উদ্যোগ- আনঅফিশিয়াল প্যান্ডোরা)
ত্বকের যত্ন
বেশিরভাগ অফিসেই সাপ্তাহিক ছুটি এক দিন থাকে। মায়েদের জন্য এই এক দিনের ছুটিতে পুরো সপ্তাহের জমিয়ে রাখা কাজ গোছানো একটু কঠিন, তার ওপর ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময়টাও বের করা যায় না। তবু একদমই যত্ন না নিলে ত্বকে বলিরেখা পড়বে দ্রুত, ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যেতে থাকবে। আবার প্রতিদিনের যাতায়াতে চুল ও ত্বকের ওপরও বেশ প্রভাব পড়ে। সপ্তাহের অন্যান্য দিন ত্বক ও চুলের যত্ন না নেওয়া গেলেও ছুটির দিনে অবশ্যই যত্ন নিতে হবে।
চালের গুঁড়া, লেবু ও মধু দিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে সপ্তাহে এক দিন এটি ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকে জমে থাকা ডেড সেলস দূর হয়ে মসৃণ হয়ে উঠবে। তা ছাড়া নিয়মিত ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার, সানস্ক্রিন ও ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে।
ছুটির দিনে চুলে অবশ্যই তেল মালিশ করতে হবে। ভালোভাবে চুলে ও স্ক্যাল্পে তেল লাগিয়ে ঘণ্টাখানেক পর শ্যাম্পু করে নিন। মেহেদি, টকদই ও ডিম দিয়ে তৈরি হেয়ারপ্যাকও লাগাতে পারেন চুলে। এতে চুলের গঠন মজবুত হবে এবং থাকবে ঝলমলে। বাইরে যাওয়ার আগে স্কার্ফ দিয়ে চুল ঢেকে নিতে পারেন। এতে বাইরের ধুলোময়লা থেকে চুল সুরক্ষিত থাকবে।
নিজেকে ছুটি দেওয়া
কর্মজীবীদের সপ্তাহে এক বা দুই দিন ছুটি থাকলেও মায়েদের যেন দম ফেলার সময়টুকু নেই। ছুটির দিনেও বাসার একগাদা কাজ জমা হয়েই থাকে। তবে মনে রাখতে হবে, আপনি সংসার ও কর্মক্ষেত্র মিলিয়ে দ্বিগুণ কাজ করছেন। তাই সপ্তাহের ছুটির দিনটা নিজেকে একটু বিশ্রাম দিন। ঘরের সব কাজ ছুটির দিনেই শেষ করে ফেলার প্ল্যান না করে প্রয়োজনে এই দিন একজন গৃহপরিচারিকার সাহায্য নিন।
মাসের কোনো একটা দিন যেতে পারেন পার্লারে। সেলফ কেয়ার ডে হিসেবেই না হয় দিনটা কাটল। অথবা ছুটিতে পরিবার নিয়ে পিকনিক করতে পারেন। ঘোরাও হবে, মনও ভালো থাকবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা ব্যায়াম, যোগব্যায়াম, কিছুটা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। এতে শরীর কর্মক্ষম থাকবে ও মন ভালো থাকবে।
কাজী নওশীন লায়লা একজন কর্মজীবী মা। নিজের ব্যবসা, সংসার ও দুই সন্তান নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় কাটে তার। কীভাবে নিজের জন্য সময় রাখেন, সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘নারী তার পরিবারের সূর্য, তাকে কেন্দ্র করেই ঘুরতে থাকে তার পরিবার। গৃহিণী বা কর্মজীবী সবারই নিজের যত্ন নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। সবার আগে চাই মনের যত্ন, এজন্য নিয়মিত নিজ ধর্ম চর্চা করা উচিত। এ ছাড়া আমার ছাদ আর বারান্দায় গাছ আছে। ওখানে কাজ করলে শরীরচর্চা হয়, মনও ভালো থাকে। তারপর সময় কাটাই আমার পালিত বিড়াল জর্জের সঙ্গে। সপ্তাহে ৭ দিন না হলেও ৫ দিন ছাদে ইয়োগা করি। শরীর-মন দুটোই ফুরফুরে হয়ে যায়। ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে সপ্তাহে এক দিন তেল আর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করি। ব্যবসার কাজে প্রতিনিয়ত বাইরে যেতে হয়। চেষ্টা করি সব সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে। বাইরে থেকে ফিরে ফেসওয়াশ ও সুদিং জেল ব্যবহার করত। মাসে অনন্ত একবার স্যালনে একটা ফেসিয়াল, মেনিকিউর পেডিকিউর করানোর চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি, জীবনে ব্যস্ততা থাকবেই, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীর ও মনও দুর্বল হবে। তাই নিজে সুস্থ থেকে সবাইকে ভালো রাখার জন্য নিজের যত্নে খরচ করা সবচেয়ে জরুরি।’
কর্মজীবী মা হলেও সন্তানকে সময় দেওয়া সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ (ছবিতে মা আজমিরী বিনতে রেজাকের সাথে ছেলে নুরাঈয)
সন্তানের খেয়াল যেভাবে রাখবেন
কর্মক্ষেত্রে যাওয়া-আসা মানেই লম্বা একটা সময় সন্তানের কাছ থেকে দূরে থাকা। এই সময়ে সে কী খাচ্ছে, কী পড়ছে, ঠিকঠাক আছে কি নাÑ এসব চিন্তায় অনেক মা-ই শান্তিতে থাকতে পারেন না। যা থেকে মায়েরা অপরাধবোধে ভুগে থাকেন। সবার আগে মনে রাখতে হবে, আপনার সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্যই আপনি পরিশ্রম করছেন। তাই এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না।
যাদের বাচ্চারা বয়সে একটু বড়, তারা সহজেই এ সময়টা স্কুলে কাটিয়ে দিতে পারে। যাদের তা নয়, সাহায্য নিতে পারেন গৃহপরিচারিকার। যদি পরিবারের অন্যান্য সদস্য, যেমন দাদা-দাদি, নানা-নানি, খালা, ফুপু ওনারা সাহায্য করতে পারেন তাহলে আরও ভালো। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার এখন অহরহই হয়। এ ছাড়া নিতে পারেন ডে কেয়ারের সাহায্য। বাসায় কাজের সময় সন্তানকে সঙ্গেই রাখতে পারেন। রান্নার সময় কাছে বসিয়ে বিভিন্ন জিনিস দিয়ে শিশুকেও ব্যস্ত রাখুন। প্রতিদিন অন্তত আধঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা বাচ্চার সঙ্গে বসে গল্প করুন, সেটা কাজের ফাঁকে ফাঁকেও হতে পারে। চেষ্টা করুন রাতের খাবার পরিবারের সবাই একসঙ্গে খাওয়ার।
অফিসের কাজের ফাঁকে অথবা লাঞ্চ আওয়ারে কল করে সন্তানের খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে ভিডিওকল করতে পারেন, এত ব্যস্ততার মধ্যেও সন্তানকে ভুলে যাননি, এটা সে বুঝতে পারবে। একাকিত্ববোধ হবে না।
এগিয়ে থাকুন সামান্য কিছু টিপস মেনেই
আগের রাতেই আমরা জেনে যাই পরের দিন কী কী কাজে সারা দিন ব্যস্ত থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ছোটখাটো কিছু পদক্ষেপ নিয়েই পরের দিনটিকে গুছিয়ে ফেলতে পারেন আগের রাতেই। বাচ্চাকে নিজের স্কুল ব্যাগ নিজে গুছিয়ে রাখতে শেখানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজের অফিসের ব্যাগ, গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র, লাঞ্চ, ব্যাগ এগুলো আগের দিনই ঠিকঠাক জায়গায় রেখে দিতে পারেন, যাতে পরের দিন খুঁজতে না হয়। ১০-১৫ মিনিট সময় নিয়ে পরের দিনের পোশাকটা ইস্ত্রি করে রেখে দিন হাতের কাছেই। হালকা কিছু মিল প্রিপারেশন করে ফেলতে পারেন, যেমন বেশি করে সবজি কেটে এয়ারটাইট বক্সে ফ্রিজে রেখে দেওয়া, রান্নার সময়ে একটু বাড়তি মুরগি সিদ্ধ করে ডিপ ফ্রিজে রেখে দেওয়া, রুটি বানাতে হলে কিছু রুটি বেশি বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দেওয়া ইত্যাদি। এই বুদ্ধি কাজে লাগালে পরের দিনের খাবার বানানোর চাপ বেশ কমে যাবে। মাছ-মাংস কেনার সময় চেষ্টা করুন বাজার থেকেই কাটিয়ে নিয়ে আসার, হয়তো ২০-৩০ টাকা বেশি খরচ হবে, কিন্তু বাসায় এসে দেড়-দুই ঘণ্টা সময় নষ্ট হবে না। গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো ক্যালেন্ডারের দাগ দিয়ে রাখুন, যেন কোনো কিছু ভুল হয়ে না যায়।
সবশেষ কথা, দিন শেষে আপনিও একজন মানুষ। কিছু সীমাবদ্ধতা আপনার থাকবেই, এজন্য সাহায্য চাইতে কখনও কুণ্ঠিত হবেন না। সংসার ও কর্মক্ষেত্র একসঙ্গে ব্যালান্স করা সহজ কাজ নয় মোটেই, তবে পরিবারের সদস্যদের সাহায্য ও নিজের প্রতি খেয়াল রাখা আপনাকে শক্তিশালী করে তুলবে।