তৌকির মুহাইমিন
প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৫০ এএম
এই সুন্দর ছবিটি এঁকেছে মিথিলা ভৌমিক। সে ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী
পিন্টুর বাড়ি শীতলাপুর গ্রামে। এখানে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও সে গ্রামীণ জীবন ভালোবাসে। ওর বাবা মাটির জিনিসপত্র তৈরি করে। পহেলা বৈশাখ ওর সবচেয়ে পছন্দের উৎসব। কারণ এ দিনটি বাঙালির প্রাণের উৎসব। পিন্টু আর তার বাবা বরিশালের বিএম স্কুলের মাঠে বৈশাখী মেলায় দোকান নিয়ে বসবে। ওদের গ্রামের আরও অনেকেই মেলায় দোকান দেবে। তাদের প্রায় সবাই আধুনিক পণ্য তৈরি করবে। কিন্তু পিন্টুর এগুলো একদমই পছন্দ নয়। পিন্টু ওর বাবার সঙ্গে মিলে খুব সুন্দর নকশা করা শখের হাঁড়ি তৈরি করল। নকশি পুতুল, ফুলদানি, মাটির নকশি থালাবাসন ইত্যাদি তৈরি করল। তার মা আর বোন মিলে মাটির গহনা, নকশিকাঁথা এগুলো তৈরি করল। তারা তাদের তৈরি পণ্যে বাঙালির গ্রামীণ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য পরম মমতায় ফুটিয়ে তুলেছে। পহেলা বৈশাখ খুব সকালে তারা তাদের জিনিসপত্র নিয়ে মেলায় চলে এলো। তারা তাদের ছোট্ট দোকান আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির ও কাঠের জিনিসপত্র দিয়ে সাজাল, যেগুলো তারা অনেক পরিশ্রম করে তৈরি করেছে। মেলায় সবার সঙ্গে দেশিবিদেশি অনেক পর্যটক এবং গণ্যমান্য ব্যক্তি এসেছেন। তারা মেলায় ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ তাদের ছোট্ট দোকানটিতে বাঙালির ঐতিহ্য ও গ্রামীণ সংস্কৃতির ছোঁয়া পেলেন। দোকানের পণ্যগুলো অতিথিদের খুব পছন্দ হয়। তারা পিন্টুদের দোকান থেকে অনেক জিনিসপত্র কিনলেন। রাতে মেলা শেষে তাদের সব পণ বিক্রি হয়ে যায় শুধু একটা পুতুল বাকি ছিল। পিন্টু বাড়ি যাওয়ার সময় দেখল একটা পথশিশু ভাঙা জিনিসপত্র নিয়ে খেলছে। পিন্টু শিশুটিকে সেই পুতুলটি দিয়ে দিল। এতে শিশুটি অনেক খুশি হলো।
পঞ্চম শ্রেণি, বরিশাল জিলা স্কুল