সাহিদা আক্তার
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:০১ পিএম
অনেকেই ফ্রিল্যান্স কাজ শেখার জন্য অন্যদের দেখাদেখি বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন। কেউ আবার কী শিখব, কীভাবে শুরু করলে ভালো হবে ভাবতে ভাবতেই ফ্রিল্যান্সিং কাজ আর শুরু করতে পারেন না। ফ্রিল্যান্স কাজ করার জন্য প্রথমেই নিজের ভালো লাগার বিষয় নির্বাচন করতে হবে। এরপর সে বিষয়ে ঘরে বসে বা বিভিন্ন প্রশিক্ষণকেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
মনে রাখতে হবে, নিজের আগ্রহ বুঝে কাজ না করলে আপনি বেশি পরিশ্রম করতে পারবেন না, আর পরিশ্রম না করলে কোনো কাজ ভালোভাবে সম্পন্নও করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলে সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা যায় না। ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য বর্তমানে বেশ কিছু পেশার বেশ চাহিদা রয়েছে বিশ্ববাজারে। আপনার আগ্রহ ও পছন্দ বুঝে বেছে নিতে পারেন পেশাগুলো।
গ্রাফিক ডিজাইন
আপনি যদি সৃজনশীল হন বা নতুন কিছু চিন্তা করতে পছন্দ করেন, তবে গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারেন। সৃজনশীল কাজে পারদর্শী এবং পরিশ্রমী ব্যক্তিরা সচরাচর এ পেশায় ভালো করেন। আপনি যদি নিজেকে সৃজনশীল এবং পরিশ্রমী মনে করেন, তবে প্রফেশনাল গ্রাফিক ডিজাইন প্রশিক্ষণ নিয়ে এ পেশায় নিজেকে যুক্ত করতে পারেন। বিশ্বব্যাপী এ কাজের চাহিদা অনেক বেশি থাকায় দক্ষ ব্যক্তিরা সহজেই এ পেশায় সফল হতে পারেন।
ওয়েব ডিজাইন
ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাইলেও কোডিং করতে ভালো লাগে না অনেকের। চিন্তার কিছু নেই, কোডিং না শিখেও সফল ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া যায়। আর তাই ওয়েবসাইট তৈরির ইচ্ছা মনে থাকলে ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে পারেন। বর্তমানে বিশ্বের শতকরা ৬০ ভাগ ওয়েবসাইটই ওয়ার্ডপ্রেস প্ল্যাটফর্মে তৈরি করা হয়েছে, যা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে। ফলে ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজের অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং
যারা নিজের চিন্তাভাবনা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করেন, তারা বেছে নিতে পারেন ডিজিটাল মার্কেটিং পেশা। নিজের সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রচার চালানোর কৌশল শেখার জন্য আপনাকে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
ভিডিও সম্পাদনা
সুন্দর মুহূর্ত ও স্মৃতি সংরক্ষণে ভিডিও তৈরি করেন অনেকেই। কেউ আবার নিজের পছন্দের ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগের সাইট বা ইউটিউবে পোস্ট করেন নিয়মিত। আর তাই যারা শখের বসে ভিডিও তৈরি করতে পছন্দ করেন, তারা সহজেই ভিডিও সম্পাদনাকে পেশা হিসেবে নিতে পারেন। ভালোভাবে ভিডিও সম্পাদনা শিখতে পারলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রচারের কাজ করার পাশাপাশি সরাসরি অর্থও আয় করা সম্ভব।
ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট
ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে খুব বেশি কারিগরি বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। তবে এ বিষয়ে আগ্রহ থাকতে হবে। আর তাই যারা কোডিং বা প্রোগ্রামিং ভালোবাসেন, তারা শিখতে পারেন ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট।
মোশন গ্রাফিকস
মোশন গ্রাফিকস বা ডিজিটাল অ্যানিমেশনের কাজ অনেকটা গ্রাফিক ডিজাইনের মতোই। তবে গ্রাফিক ডিজাইনে থাকে স্থিরচিত্র এবং মোশন গ্রাফিকসে স্থিরচিত্রকে অ্যানিমেশনের মাধ্যমে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়। টেলিভিশনের বিভিন্ন বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে সিনেমার সূচনাদৃশ্য বা টাইটেল অ্যানিমেশন সবই মোশন গ্রাফিকসের মাধ্যমে তৈরি হয়। ফলে এ পেশায় কাজের বেশ চাহিদা রয়েছে দেশবিদেশে। আর তাই আপনি যদি সৃজনশীল হন, তবে মোশন গ্রাফিকস শিখতে পারেন।
মুঠোফোনে অ্যাপ
মুঠোফোনের বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করেও অর্থ আয় করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে আগ্রহ থাকতে হবে কোডিং ও প্রোগ্রামিং বিষয়ে। অ্যাপ তৈরির কাজ করতে চাইলে জাভা প্রোগ্রামিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।