জীবনযাপনে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা গেলে সফলতা লাভ করা যায়। কিছু অভ্যাস গড়তে পারলে পুরো জীবনটাই ইতিবাচকভাবে চালনা করা যেতে পারে। লিখেছেন লামিসা নূর
নেতিবাচক মানুষ এড়িয়ে চলুন
আমাদের জীবনে সবসময় নেতিবাচক মানসিকতার মানুষ বাধার সৃষ্টি করে। এতে করে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বেশ বাজে প্রভাব পড়ে। সেসব মানুষ থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। এতে মানসিক শান্তি বজায় থাকবে।
বই পড়ুন
মানসিক চাপ, লক্ষ্য অর্জনের জন্য কিংবা ইতিবাচক জীবনযাপনের জন্য কিছু আত্মোন্নয়নমূলক বই পড়তে পারেন। অনেক বিষয়ের বই রয়েছে চারদিকে, আপনার বিশেষ অসুবিধার জন্যও কিছু বিশেষ বই পড়তে পারেন। এতে আপনার জ্ঞান যেমন বাড়াবে, তেমনি নতুন বছরে নতুন করে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করবে সেসব বই।
পরিস্থিতির শিকার মনে করবেন না
সবার সঙ্গেই কমবেশি খারাপ ঘটনা ঘটে থাকে। খুব কম সময়েই সেসব পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকে। কিন্তু তাই বলে নিজেকে সবসময় সব দুর্ঘটনার শিকার মনে করা মন আর শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
মনের চাপ কমান
শুনে মনে হতে পারেÑ এটাই তো যুক্তিসম্পন্ন, যে যার কাছে বা যেখান থেকে কষ্ট পাই, তাকে এড়িয়ে চলব। কিন্তু প্রায়ই এই সহজ ব্যাপারটা ভুলে যাওয়া হয়। খারাপ চিন্তা মাথায় এলে জোর করে সেটাকে কোনো ভালো চিন্তায় পরিবর্তন করতে হবে। যদি কোনো গান শুনলে বা কোনো জায়গায় গেলে মনের ওপর চাপ পড়ে, সেসব জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে।
তুলনা নয়
ছোটবেলা থেকেই বেড়ে উঠি একটা প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে। শিক্ষাব্যবস্থা হোক কিংবা সমাজ হোক, সবাই যেন সারাক্ষণ বলতে থাকেÑ ‘ও এটা পারে, তোমাকেও পারতে হবে। অমুকের মতো হতে পারো না? দেখো ও কত ভালো করছে।’ সবার মেধা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা একদিকে না। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিও ভিন্ন। তাই লক্ষ রাখা উচিত কীভাবে নিজের মেধা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়। তুলনা হওয়া উচিত শুধু নিজেদের সঙ্গেই।
ক্ষমা করতে শিখুন
কারও কোনো আচরণে আহত হলে, সেই মানুষের জন্য মনে ঘৃণা চেপে রাখা উচিত না। ক্ষমা করে মনকে হালকা করে ফেলা উচিত। ঘৃণা, ঈর্ষা, অহংকারÑ এ ধরনের নেতিবাচক অনুভূতি মনকে বিষাক্ত করে তোলে, নিজের শান্তি নষ্ট করে দেয়। মন থেকে তাদের অপরাধটা মাফ করে দিতে হবে; এতে মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা যাবে।
শুরু করুন ইতিবাচকভাবে। পুরোনো জঞ্জালকে পেছনে ফেলে শুরু করুন নতুন করে। শুরুতেই একটা কাগজে লিখে রাখুন কী কী করতে চান, একটা টাইমলাইন সেট করুন। এগিয়ে যান সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী। রবিঠাকুরের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলতে হয়Ñ
নিশি অবসানপ্রায়, ওই পুরাতন
বর্ষ হয় গত!
আমি আজি ধূলিতলে এ জীর্ণ জীবন
করিলাম নত।
বন্ধু হও, শত্রু হও, যেখানে যে কেহ রও
ক্ষমা করো আজিকার মতো
পুরাতন বরষের সাথে
পুরাতন অপরাধ যত।