নাঈম ইসলাম
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:৫৮ এএম
শেরপুর জেলার ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষদের ভাষাগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের ভাষা থাকলেও এখানকার জাতিগোষ্ঠীর শিশুরা লেখাপড়া করছে বাংলায়
শেরপুর জেলার শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় গারো, কোচ, হাজং, বর্মণ, হদি, বানাই, ডালু, ম্রো জাতিগোষ্ঠীর বাস। একটা সময় প্রত্যেকের ছিল সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ভাষা। কালের বিবর্তনে যা আজ হারিয়ে যাওয়ার পথে। এদের দুই জনগোষ্ঠীর ভাষা হারিয়ে গেছে। বাকিদের ভাষাও রয়েছে ঝুঁকিতে
‘চিঙনী খুসুক সালনা সালনা জিমাংজক’ বাংলায় যার মানে আমাদের ভাষা দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে। আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন শেরপুর জেলা বর্মণ পরিষদের সভাপতি পবিত্র চন্দ্র বর্মণ।
ছোটবেলায় স্থানীয় এক পণ্ডিতের কাছ থেকে শিখেছিলেন বর্মণ ভাষার লোককথা। সে ভাষাই ছিল তার শৈশবের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় হারাতে বসেছে সে ভাষা। বাড়িতে বর্মণ ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করলেও এ প্রজন্মের শিশুরা জবাব দেয় বাংলাতেই।
সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলার শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার বিশাল এলাকাজুড়ে গারো পাহাড়। এখানেই বাস করে বিভিন্ন জাতিসত্তার লোক। গারো, কোচ, হাজং, বর্মণ, হদি, বানাই, ডালু, ম্রোÑ এ আটটি জাতিগোষ্ঠীর বাস। একসময় এদের প্রত্যেকের ছিল সমৃদ্ধ ভাষা ও সংস্কৃতি। এসব পরিবারের সুখদুঃখের গল্পটা চলত মায়ের ভাষাতেই। কিন্তু ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনতে হেঁটেছে বাংলা ভাষার হাল ধরে, তাই দিনদিন নিজ মাতৃভাষা হারিয়ে যাচ্ছে, আক্ষেপ তাদের। এর মধ্যে ঝুঁকিতে রয়েছে কোচ, বর্মণ, হদি, ম্রো ভাষা। আর পুরোপুরি হারিয়ে গেছে বানাই ও ডালু জাতিগোষ্ঠীর মায়ের ভাষা।
এদিকে হাজার বছরের বাংলা সংস্কৃতির অনেকটা জুড়ে রয়েছে এসব জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ। তাই সময়ের সঙ্গে যাতে তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি হারিয়ে না যায়, এ ব্যাপারে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণের দাবি ভাষা নিয়ে কাজ করা মানুষদের।
একসময় গারো পাহাড়ে বসবাসরত জাতিগোষ্ঠীগুলোর সমৃদ্ধ ভাষা ও সংস্কৃতি থাকলেও, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে চর্চা ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ভুলতে বসেছে নিজস্ব মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি। গারো, হাজং ও কোচ ভাষা কোনোমতে টিকে থাকলেও ঝুঁকির পথে অন্য ভাষাগুলো। বেসরকারি সংস্থা আইইডির আদিবাসী সক্ষমতা উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্যমতে জেলায় গারো ২৬ হাজার ৫০০, বর্মণ ২২ হাজার, হাজং ৩ হাজার ৭০০, হদি ৩ হাজার ৫০০, কোচ ৪ হাজার, ডালু ১ হাজার ৫০০, বানাই ১৫০ জন রয়েছেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর গবেষণা বলছে, শেরপুরের ৩৫ শতাংশ সংখ্যালঘু জাতিসত্তার শিক্ষার্থী এখনও স্কুলের বাইরে। উচ্চশিক্ষিত মাত্র ৩ শতাংশ। ফলে অনেকেই ভাষার সঙ্গে নিজেদের শেকড় হারিয়ে ফেলছেন।
গারো পাহাড়ে ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করছে বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা ও এনজিও সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি (এসএইচআরএস)। সংস্থাটির তথ্যমতে ডালু এবং বানাই জাতিগোষ্ঠীর অনেকেই সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কোচ ও গারো ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন। একইসঙ্গে তারা পুরোপুরি নিজস্ব আচার অনুষ্ঠান এবং ভাষা ভুলে গেছেন। এ তথ্য শতাধিক পরিবারের ওপর জরিপ চালিয়ে জানা যায়। আর গারো পাহাড়ে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা শিক্ষার ক্ষেত্রে খুবই অবদান রাখছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকের জন্য ছয়টি সংখ্যালঘু জাতিসত্তার ভাষায় বই প্রণয়ন করে। সেগুলো হলো চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো, সাঁওতাল ও সাদ্রি। আর গারো পাহাড়ে কেবল গারোদের ভাষার বই থাকলেও পড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি বিদ্যালয়গুলোতে।
এখানকার আদিবাসী নেতারা জানান, সাতটি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে গারোদের নিজস্ব ভাষার বই থাকলেও শিক্ষক না থাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বইগুলো পড়ানো যাচ্ছে না। ফলে শেকড় থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে এসব জাতিগোষ্ঠীর উত্তরসূরিরা। এদের একটি অংশ শিক্ষিত হচ্ছে আধুনিক শিক্ষায়, আর অল্প কিছু স্কুলে সংখ্যালঘু জাতিসত্তার নিজস্ব ভাষা ধরে রাখার চেষ্টা করা হলেও শিক্ষকসংকট দীর্ঘদিনের। তাই ভাষা ধরে রাখতে প্রতিটি স্কুলে বইয়ের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ ও একটি সাংস্কৃতিক একাডেমি স্থাপনের দাবি তাদের।
নালিতাবাড়ীর নয়াবিল ইউনিয়নের বাসিন্দা কলেজ শিক্ষার্থী অন্তু হাজং বলেন, ‘আমাদের বয়স্ক কিছু লোকজন হাজং ভাষায় কথা বলতে পারলেও আমরা পারি না। কারণ স্কুলে তো বাংলা ভাষা শিখে বড় হয়েছি। সব জায়গায় বাংলাতেই কথা বলতে হয়। আমরা চাই সরকার অন্তত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আমাদের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষাব্যবস্থা চালু করুক।’
বাংলাদেশ গারো ছাত্র সমাজ (বাগাছাস)-এর শ্রীবরদী শাখার নেতা জীবন ম্রং বলেন, ‘গারো ভাষার লিখিত কোনো রূপ না থাকায় বিভিন্ন সময় ল্যাটিন অক্ষরে লিপিবদ্ধ করা হয়; যা সবাই পড়তে পারে না। তা ছাড়া বিদ্যালয়গুলোতে মাতৃভাষার শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভাষা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে নিজস্ব পোশাক, সংস্কৃতিও হারাতে বসেছে। এগুলো ধরে রাখতে সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।’
বাবেলাকোনা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় স্কুল শিক্ষক শিউলী ম্রং বলেন, ‘সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের এ অঞ্চলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি। নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে নিজ ভাষায় কথা বললেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা-ও হারাতে বসেছে। কয়েকটি ভাষা তো ইতোমধ্যে হারিয়েই গেছে। ব্রিটিশবিরোধীসহ সব আন্দোলন-সংগ্রামে সীমান্তবর্তী এ জাতিগোষ্ঠীর ছিল সক্রিয় অংশগ্রহণ। কিন্তু এ জাতিগোষ্ঠীর হাজার বছরের সমৃদ্ধ ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় নেই কোনো বিশেষ উদ্যোগ ও প্রতিষ্ঠান। এদিকে নিজ ভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও সংস্কৃতিচর্চার জন্য কালচারাল একাডেমি প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েও বছরের পর বছর শুনতে হচ্ছে আশ্বাসের বাণী।’
আইইডির আদিবাসী সক্ষমতা উন্নয়ন প্রকল্পের ফেলো সুমন্ত বর্মণ বলেন, ‘সংখ্যালঘু জাতিসত্তার ভাষা ও সংস্কৃতি শুধু তাদের নিজস্ব সম্পদ নয়, এটি দেশের ঐতিহ্যের অংশ। ইতোমধ্যে ডালু ও বানাই জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি হারিয়ে গেছে। কোনোমতে টিকে আছে গারো, হাজং ভাষা। আর ঝুঁকিতে রয়েছে কোচ, বর্মণ, হদি ও ম্রো ভাষা। এখনই এ চারটি ভাষা সংরক্ষণ না করতে পারলে, হারিয়ে যাবে এগুলোও। যদিও বান্দরবানে ব্যক্তি উদ্যোগে ম্রো বর্ণমালা সুরক্ষার কাজ চলছে। যেমন এ ভাষায় ৩১টি অক্ষরের মধ্যে ৮টি স্বরবর্ণ। রোমান বর্ণমালার বড় ও ছোট হাতের বর্ণের মতো ম্রো বর্ণমালায়ও সাংলু, ইউকলুং ও মুক্লুং তিন ধরনের বর্ণের ধারার বিভাজন রয়েছে। এর মধ্যে সাংলু বর্ণ দিয়ে সাধারণ লেখা, গান, কবিতা, ইতিহাস, সাহিত্য রচনা বা লেখা হয়। এভাবে কোচ, হদি, বর্মণ ভাষাও সংরক্ষণ করতে হবে। এ ভাষাগুলো হারিয়ে গেলে আমরা আমাদের সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হারিয়ে ফেলব।’
শেরপুর জেলা বর্মণ পরিষদের সভাপতি পবিত্র চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘গারো পাহাড়ে বাস করা বর্মণ, বানাই, ডালু ও হদি সম্প্রদায়ের একসময় নিজস্ব ভাষা ও সাংস্কৃতিক আচার অনুষ্ঠান ছিল। কিন্তু নিজস্ব ভাষার সব জায়গায় ব্যবহার না থাকায় এ সম্প্রদায়ের মানুষ দিনদিন ভাষা ভুলতে থাকে। একপর্যায়ে সবাই এ ভাষাগুলো ভুলে গেছে। হারিয়ে ফেলেছে নিজস্ব সংস্কৃতি ও আচার অনুষ্ঠান। তারা নিজের ভাষা ভুলে প্রচলিত বাংলা ভাষাতেই কথাবার্তা বলে। আর ঝুঁকিতে রয়েছে আমাদের ভাষাটি। দু-চার জন কোনোরকম আমাদের ভাষা এখনও বলতে পারলেও, সবাই ভুলে গেছে। দ্রুত বর্মণ ভাষা সংরক্ষণ না করতে পারলে, ভাষাটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া এ অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গারো ভাষার বই প্রণয়ন করা হলেও নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। অন্য ধর্মের শিক্ষকরা গারো ভাষা বুঝতে না পারায় বইগুলো পড়ে রয়েছে। তাই নিজস্ব ভাষার শিক্ষক নিয়োগের দাবিও জানাচ্ছি।’
হদি জাতিগোষ্ঠীর নেতা সামন্ত রায় বলেন, ‘সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে আমাদের হদি ভাষা। দুয়েকজন এ ভাষার কিছু কিছু বলতে পারলেও বাকিরা ভাষাটি সম্পর্কে কিছুই জানে না। এখনই যদি ভাষাটি সংরক্ষণ না করা যায়, তবে পৃথিবী থেকে এ ভাষাটি চিরতরে হারিয়ে যাবে। আমরা আমাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলতে চাই।’
নালিতাবাড়ী উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান কোপিন্দ্র নখরেক বলেন, ‘ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা আন্দোলনে এ জাতিগোষ্ঠীর ছিল সক্রিয় অংশগ্রহণ। আর একটি জাতি বা গোষ্ঠীর অস্তিত্ব টিকে থাকে তাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর। চর্চার অভাবে আজ তারা ভাষা ও সংস্কৃতি হারাতে বসেছে। ঝুঁকিতে থাকা ভাষাগুলো রক্ষা জরুরি। আমাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি ধরে রাখতে মাতৃভাষায় বই ও শিক্ষক এবং গারো পাহাড়ে একটি কালচারাল একাডেমি স্থাপন করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে এ দাবি জানিয়ে আসছি।’
আদিবাসী সুরক্ষা আন্দোলনের সহসভাপতি ডিভিশন সাংমা বলেন, ‘আমাদের ভাষার বই সরকার দিলেও তা পাঠদানের জন্য কোনো শিক্ষক দেয়নি। আমরা চাই আমাদের ভাষা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হোক। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনাই হলো কোনো জনগোষ্ঠীর ভাষা হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। ভাষা আন্দোলনের চেতনা তখনই সার্থক হবে, যখন প্রতিটি জনগোষ্ঠী তার নিজের মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারবে, মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভ করতে পারবে, শিল্পসাহিত্য সৃষ্টি করতে পারবে।’
বেসরকারি সংস্থা এসএইচআরএসের উদ্যোগে গারো পাহাড়ে ভাষা নিয়ে কাজ করছেন কাঞ্চন মিস্টার মারাক। তিনি বলেন, ‘গারো পাহাড়ি বানাই সম্প্রদায়ের একসময় নিজস্ব ভাষা ও সাংস্কৃতিক আচার অনুষ্ঠান ছিল। একইভাবে ডালু সম্প্রদায়ের ছিল নিজস্ব আচার অনুষ্ঠান ও ভাষা। কিন্তু নিজস্ব ভাষার সব জায়গায় ব্যবহার না থাকায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম দিনদিন ভাষা ভুলতে থাকে। একপর্যায়ে এ দুই জাতিসত্তার সবাই নিজস্ব ভাষা ভুলে গেছে। হারিয়ে ফেলেছে নিজস্ব সংস্কৃতিও। নিজস্ব ভাষা ভুলে প্রচলিত বাংলা ভাষাতেই কথাবার্তা বলে সব ক্ষেত্রে। এ ছাড়া এ অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভাষাচর্চার ব্যবস্থা করা হলে নতুন প্রজন্ম ভাষার প্রতি আকৃষ্ট হবে। আমরা এ অঞ্চলের হারানো ভাষা এবং ঝুঁকিতে থাকা ভাষাগুলো নিয়ে কাজ করছি।’
শিক্ষকসংকটের ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘কয়েকটি ভাষায় প্রাথমিকের বই থাকলেও শিক্ষকস্বল্পতায় সঠিকভাবে সবাইকে পাঠদান করানো সম্ভব হচ্ছে না। ইতোমধ্যে আমরা কিছু শিক্ষককে ভাষা প্রশিক্ষণ দিয়েছি। বাকিদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারে আলোচনা চলছে। আশা করি বাকি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হলে তাদের ভাষায় পাঠ্যপুস্তকগুলো পড়াতে পারবেন।’
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাফিজা জেসমিন বলেন, ‘পর্যটনের জেলা শেরপুরকে আরও বেশি আকৃষ্ট করেছে সংখ্যালঘু জাতিসত্তাগুলো। তাদের নিজস্ব আচার অনুষ্ঠান, ভাষারীতি, খাদ্যাভ্যাস, লাইফস্টাইল রয়েছে। শেরপুর জেলা প্রশাসন সব সময় সংখ্যালঘু জাতিসত্তার জীবনমান উন্নয়ন এবং ভাষা-সংস্কৃতি রক্ষায় বদ্ধপরিকর। তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় জেলা প্রশাসনের বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে, সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।’