যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াইয়োমিং অঙ্গরাজ্যের ক্যাসপার শহরের এক দোকানের কর্মীরা লাল চামড়ায় মোড়ানো একটি বই খুঁজে পেয়েছেন। যার পৃষ্ঠা সংখ্যা ৩১৫। এ বইটি খোলার পর দোকানের কর্মীরা বুঝতে পারলেন এটি ১৯০৪ সালের একটি পুলিশ ডকেট। যেখানে ক্যাসপারের বিভিন্ন অপরাধের নথিভুক্ত এবং আদালতের খরচের পরে বিভিন্ন জরিমানাও উল্লেখ রয়েছে। মজার ব্যাপার, এমন কিছু অপরাধ, যা এক শতাব্দী আগে সংঘটিত হয়েছিল।
সেখানে একজন আততায়ীর পতিতাবৃত্তির ঘর রাখার কথা উল্লেখ রয়েছে। ১০০ ডলার জরিমানাসহ শাস্তিযোগ্য এমন একটি অপরাধ; যা এ সময়ে এক বছরের জেল বা ১ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, নিউইয়র্কে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঘোড়ার পিঠে চড়ার ফলে ৪.১০ ডলার জরিমানা হয়। অন্যদের মধ্যে রয়েছে শান্তি বিঘ্নিত করা এবং একটি মারাত্মক অস্ত্র বহন করা। ওয়াইমিং রেসকিউ মিশন কমিউনিটি এনগেজমেন্ট কোঅর্ডিনেটর অ্যাডাম ফ্ল্যাক বলেন, ‘এ ডকেটটি ইতিহাসের একটি সম্পদ ধারণ করে, যা আমাদের নিবেদিত পুলিশ অফিসারদের সেই সময়ে মুখোমুখি হওয়া প্রাথমিক অপরাধ এবং দৈনন্দিন ঘটনার একটি আকর্ষণীয় আভাস দেয়।’ তিনি আর বলেন, ‘যদিও অনেক কিছু পরিবর্তিত হয়েছে, অনেক চ্যালেঞ্জ একই রয়ে গেছে, যদিও মাদক অবস্থায় অশ্বারোহণ’ সম্ভবত আর ঘোড়ার পিঠকে বোঝায় না।’ ওয়াইমিং রেসকিউ মিশন ক্যাসপার পুলিশ বিভাগের ফটোসহ একটি ফেসবুক পোস্টে শেয়ার করা হয়েছে।
দৈর্ঘ্যের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা গাড়ি হিসেবে গিনেস বুকে নাম তুলেছে ‘দি আমেরিকান ড্রিম’। আশির দশকে এ গাড়িটি তৈরি করা হয়। দি আমেরিকান ড্রিম ৩০ মিটারের বেশি লম্বা এবং ৭৫ জন যাত্রী ভেতরে বসতে পারে। যদিও এটি রাস্তায় চলাচলের জন্য খুব সহজ বাহন নয়। তথাপি মানুষের বিলাসিতা। শখের তোলা ৮০ টাকা। এটি বিখ্যাত গাড়ি সংগ্রাহক এবং কাস্টমাইজার জে ওহরবেগ তৈরি করেছিলেন মূলত ১৯৮৬ সালে। এ লিমোর দৈর্ঘ্য ছিল ৬০ ফুট। ২৪ চাকার এ গাড়ির সামনে এবং পেছনের দিকে এক জোড়া ভি৮ ইঞ্জিন বসানো ছিল। দি আমেরিকান ড্রিম ‘শুধু’ ১৮.২৮ মিটার (৬০ ফুট) পরিমাপ করেছিল। একটি সামনে এবং আরেকটি পেছনে। জে ওহরবেগ পরে তার অনন্য যানটি ৩০.৫ মিটার (১০০ ফুট) লম্বা করে। ১৯৮৬ সালে গিনেস দি আমেরিকান ড্রিমকে বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়ি হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং দৈত্য লিমোজিনটি বেশ কয়েকটি পত্রিকার প্রচ্ছদে, টেলিভিশন শোতে এবং এমনকি চলচ্চিত্রগুলিতেও প্রদর্শিত হয়েছিল, কিন্তু অত্যধিক জনপ্রিয়তা যেন এর কপালে সইল না। কেননা, আকস্মিক এর পতন ঘটে। এটি কয়েক দশক ধরে নিউজার্সির গুদামের পেছনে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল।
মোটরসাইকেল থেকে বাইসাইকেলে রূপান্তর

ইংল্যান্ডের সুইন্ডনের এক তরুণ প্রকৌশলী, যিনি ২০ বছর বয়সি পুরোনো একটি মোটরসাইকেল বিশ্বের দ্রুততম পেনি-ফার্থিংয়ে রূপান্তর করেছেন। তিনি পুরোনো একটি ইয়ামাহা R৬ মোটরসাইকেল থেকে মূলত পেনি-ফার্থিং বাইক তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এতে তার সময় লেগেছে প্রায় ৭৫০ ঘণ্টা। এজন্য প্রকৌশলী ব্যবহার করেছেন অতিরিক্ত ইস্পাত। ১৮৭০ ও ১৮৮০-এর দশকে দারুণ জনপ্রিয় ছিল। পেনি-ফার্থিং সাইকেলটি ভিক্টোরিয়ান সময়ের শেষের প্রতীক এবং আধুনিক সাইকেলের পূর্বপুরুষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটির অদ্ভুত নামটি সামনের এবং পেছনের চাকার মধ্যে আকারের বিভক্তির কারণে বেশি আকর্ষণীয় ছিল; যা ব্রিটিশ পেনি মুদ্রা ফার্থিংয়ের চেয়ে যথেষ্ট বড়। আধুনিক বাইক আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত আইকনিক বাইসাইকেলটি প্রায় এক দশক ধরে স্টাইলে ছিল, যা অনেক নিরাপদ, আরও আরামদায়ক এবং রাইড করা সহজ ছিল। তাই সবার পছন্দের তালিকায় ছিল এটির নাম। পেনি-ফার্থিংয়ের অদ্ভুত চেহারা এখনও মানুষকে মুগ্ধ করে। পেনি ফার্থিং ‘হবিহর্স’ এবং ফরাসি ‘ভেলোসিপিড’ বা ‘বোনশেকার’-এর বিকাশের পরে এসেছিল, যা প্রাথমিক বাইকের সমস্ত সংস্করণ। যা হোক, পেনি ফার্থিং ছিল প্রথম সত্যিকার অর্থে দক্ষ সাইকেল, যার মধ্যে একটি ছোট পেছনের চাকা এবং বড় সামনের চাকা রাবারের টায়ারসহ একটি সাধারণ নলাকার ফ্রেমে ঘেরা ছিল।