× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে বাঁচার উপায়

লাবিবা ইরম

প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:২২ পিএম

আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৫৪ পিএম

ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে বাঁচার উপায়

বায়ুদূষণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্য অনেক সমস্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডাস্ট অ্যালার্জি। ডাস্ট অ্যালার্জিতে বর্তমানে ভুগছে না এমন মানুষ খুবই কম আছে। কীভাবে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ডাস্ট অ্যালার্জি কী?

বাতাসে থাকা ফুলের রেণু, ডাস্ট মাইট, ব্যাকটেরিয়া, বালুকণা, বিভিন্ন কেমিক্যাল ইত্যাদি আমাদের নিঃশ্বাস অথবা চোখের মাধ্যমে প্রবেশ করে অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন করলে আমরা ডাস্ট অ্যালার্জিতে ভুগি। বিশেষত শহরাঞ্চলে বায়ুদূষণ বেড়ে যাওয়ায় শহরের বাসিন্দাদের মাঝে এ অ্যালার্জির প্রভাব বেশি দেখা যায়। আমাদের শরীরে বাইরে থেকে কোনো ডাস্ট মাইট, ব্যাকটেরিয়া, কেমিক্যাল ইত্যাদি অজানা কিছু প্রবেশ করলে শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা দ্বারা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রোপার্টিজ তৈরি হয় যার ফলে হাঁচি বা সর্দি হয়ে থাকে। অর্থাৎ এ হাঁচি বা সর্দি মূলত আমাদের শরীরের প্রতিরোধ সিস্টেমের একটি অংশ। সাধারণত শীতকাল বা শুষ্ক আবহাওয়ায়, আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়গুলোতে বাতাসে ধুলোবালি ও অন্যান্য জিনিস বেশি উড়তে থাকে; তাই এ সময়গুলোতে অ্যালার্জি বেড়ে যেতে থাকে।

ডাস্ট অ্যালার্জির লক্ষণ

  • অনবরত হাঁচি
  • সর্দি হতে পারে
  • হালকা কাশিও হতে পারে
  • অ্যাজমার সমস্যা থাকলে বেড়ে যায়
  • অনেক সময় বুকে চাপ চাপ ভাব বা অ্যাজমার মতো লাগতে পারে
  • বুকে বাঁশির মতো বা ঘড়ঘড় শব্দ হতে পারে

ডাস্ট অ্যালার্জি কেন হয়?

  • ডাস্ট অ্যালার্জি হওয়ার মূল কারণ তো আগেই বলেছি। আরও কিছু কারণে এ সমস্যা হতে পারে- 
  • অনেক সময় পরিবারের কারও থাকলে অর্থাৎ বংশগতির কারণে হতে পারে। তবে এটি ছোঁয়াচে নয়।
  • ঘাস বা ফুলের রেণু নাকে গেলে অ্যালার্জি হতে পারে।
  • স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে ডাস্ট মাইট বেশি থাকে বলে এমন পরিবেশে ডাস্ট অ্যালার্জি বেড়ে যায়।
  • হাঁপানি রোগ থাকলে সেটি থেকেও এ সমস্যা হতে পারে।
  • ডাস্ট মাইট, ছোট কোনো পোকামাকড় ও নানানরকম ব্যাকটেরিয়া, কেমিক্যাল বা দূষণযুক্ত ধোঁয়া ইত্যাদি নাকে গেলেও ডাস্ট অ্যালার্জি হতে পারে।

প্রতিরোধে করণীয়

ডাস্ট অ্যালার্জি প্রতিরোধে কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে অনেকটাই সুস্থ থাকা সম্ভব। যেমন বাইরে যাওয়ার সময় বা ধুলোর সংস্পর্শে আসতে হবে এমন পরিস্থিতিতে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।

  • ধুলোময়লা পরিষ্কার করতে গেলে অবশ্যই মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
  • ঘর সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
  • ঘুমানোর আগে এবং ঘুম থেকে ওঠার পর ভালোভাবে বিছানা ঝেড়ে নিতে হবে।
  • বাইরে থেকে এসে অবশ্যই হাত-পা ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
  • সপ্তাহে অন্তত একদিন ব্যবহৃত তোশক, বালিশ ইত্যাদি রোদে দিতে হবে।
  • রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এমন সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে প্রতিদিন।
  • লোমশ প্রাণী থেকে দূরে থাকাই ভালো।
  • ফুলের রেণু ডাস্ট অ্যালার্জির অন্যতম কারণ। তাই ফুল নাকের কাছে নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে
  • ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আসতে দিতে হবে। তাই দিনের বেলা দরজা-জানালা খোলা রাখা উচিত।
  • ধুলোময়লা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
  • ঘরবাড়িতে অযথা জঞ্জাল, অতিরিক্ত আসবাবপত্র ইত্যাদি রাখা থেকে বিরত থাকুন।

যদিও ডাস্ট অ্যালার্জি খুব কঠিন রোগ নয়, তবে এটি হলে বেশ কষ্ট পোহাতে হয়। যদি ডাস্ট অ্যালার্জি বেশি বেড়ে যেতে থাকে তবে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করতে হবে।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা