ভ্রমণ
দেবশ্রুতি চক্রবর্তী
প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:১০ পিএম
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:১২ পিএম
ছবি : দেবশ্রুতি চক্রবর্তী
একঘেয়েমি দূর করতে আমরা কোথায়ও থেকে ঘুরে আসি। যাকে বলে ভ্রমণ। সারা বছরই পড়াশোনা এবং পরীক্ষায় চাপ থাকে। তবে অবসরে ছবি আঁকতে ও বাগানে কাজ করতে পছন্দ করি। কিন্তু যখন অনেক দিনের ছুটি পাই তখন আমি ও আমার পরিবার বাসায় না থেকে বরাবরের মতো দূরে কোথাও চলে যাই।
আমি আমার দাদুবাড়ি দিনাজপুরে গিয়েছিলাম। রাজশাহী থেকে দিনাজপুর যেতে হলে সবচেয়ে আনন্দদায়ক ও জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ট্রেন। আমার বাসা থেকে রেলস্টেশন খুবই কাছে, মাত্র ১০ মিনিটের দূরত্ব। দিনাজপুরের উদ্দেশে যাত্রা করি। স্টেশনে ঢুকেই দেখি অনেক মানুষ। সবাই ব্যস্ত। কেউ টিকিট কাউন্টারে, কেউবা দোকানে, কেউ গল্প করছে। এ রকম দৃশ্য দেখতে দেখতে ট্রেনে উঠে নিজের সিটে বসে গেলাম। কিছুক্ষণ পর ট্রেন রাজশাহী স্টেশন থেকে লম্বা বাঁশি বাজিয়ে ছেড়ে দিল। প্রথমে আস্তে আস্তে পরে ঝমঝম করে ট্রেন ছুটতে শুরু করল। এরপর শুরু হলো একে একে চানাচুর, বাদাম, পেয়ারা, গামছা, সেদ্ধ ডিম ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে হকারদের আসা-যাওয়া। এরই মধ্যে আসেন সাদা শার্ট পরা টিটি।
তিনি এসে সবার টিকিট চেক করেন এবং যাদের টিকিট নেই তাদের জরিমানা করেন। আমি দেখছিলাম বাইরের দৃশ্য; যা ছিল অত্যন্ত রোমাঞ্চকর ও মনোমুগ্ধকর। বাড়িঘর, গাছপালা, চাষের জমি সবই যেন আমাদের ছেড়ে যাচ্ছে। ট্রেনের বাইরের দৃশ্য উপভোগ করতে করতে আমি কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম বুঝতে পারিনি। ঘুম ভাঙতেই দেখি ট্রেনের ভেতরে একজন গান গেয়ে সবাইকে শোনাচ্ছেন এবং সবাই গান উপভোগ করছেন। কেউ কেউ টাকা দিয়ে এ গায়ক লোকটিকে সাহায্যও করছেন। এ গান উপভোগ করতে করতে আমরা গন্তব্যে পৌঁছে গেলাম। খুব সুন্দর অভিজ্ঞতা নিয়ে শেষ হলো আমার যাত্রা।
অষ্টম শ্রেণি, সরকারি প্রমথনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রাজশাহী