জাহিদ খান
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:২১ এএম
জিএসইএ গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে প্রতিযোগীরা
বাংলাদেশের নবম গ্লোবাল স্টুডেন্ট এন্ট্রাপ্রেনার অ্যাওয়ার্ডসের (জিএসইএ) গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৯ জানুয়ারি রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে। প্রতি বছর আয়োজিত অনুষ্ঠানটি শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবন এবং দৃঢ় উদ্যোক্তা উদ্যোগ পরিচালনার মনোভাব তুলে ধরে।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সহায়তায় এন্ট্রাপ্রেনারস অর্গানাইজেশন (ইও) আয়োজনের বাংলাদেশ নবম গ্লোবাল স্টুডেন্ট এন্ট্রাপ্রেনার অ্যাওয়ার্ডসের বাংলাদেশ অধ্যায়ে বিজয়ী হয়েছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শৌমিক হাসান শ্রান্ত। শৌমিক হাসান তার ব্যবসা ডুবোটেক-এর জন্য গ্র্যান্ড ফাইনালে এ শিরোপা পেলেন। তিনি ৫ লাখ টাকার পুরস্কার জিতেছেন। অর্জন করেছেন পরবর্তী ধাপে ভারতের নাগপুরে ১০ মার্চ অনুষ্ঠেয় জিএসইএ গ্লোবাল কোয়ার্টার ফাইনালে অংশগ্রহণের যোগ্যতা। সেখানে তিনি ভারত, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের প্রতিযোগীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। রানারআপ হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সৌরভ তার ব্যবসা ওয়েস্টেক-এর জন্য। গ্লোবাল ফাইনাল মে মাসের মাঝামাঝি দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে হবে এবং বিজয়ী পাবেন ৫০ মার্কিন ডলার পুরস্কার।
জিএসইএ বাংলাদেশ চ্যাপটার ফাইনালের বিচারক প্যানেলে ছিলেন তিনজন। তারা হলেন হোসেন খালেদ, গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর, আনোয়ার গ্রুপ এবং ভাইস চেয়ারম্যান, সিটি ব্যাংক পিএলসি। তিনি ইও বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট। কাজী এম হাসান, সিইও, আর ভেঞ্চারস পিএলসি এবং রবি আজিয়াটার ডিজিটাল ভেঞ্চার সাবসিডিয়ারি প্রধান। আসিফ জহির, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, অনন্ত গ্রুপ এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর, সিন্দাবাদ ডটকম।
জিএসইএ বাংলাদেশ চ্যাপটারের চেয়ার আমের সেলিম এবং কো-চেয়ার হাসনাত মোশাররফ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেন। ইও বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও ট্রেড ডিজাইন সলিউশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফাতিন হক এবং ইউসিবির চেয়ারম্যান ও অনন্ত গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শরীফ জহির বিজয়ী ও রানারআপের নাম ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ বিজয়ী ও রানারআপদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন। অনুষ্ঠানের পর ইও বাংলাদেশ দুটি প্রোগ্রাম আয়োজন করে। প্রথমটি ছিল লার্নিং সেশন, যেখানে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ইও বাংলাদেশের সদস্যদের সঙ্গে অর্থনীতি, ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সংস্কার এবং নীতি নিয়ে তার মূল্যবান মতামত প্রদান করেন।