প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:২৯ পিএম
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম জলবায়ু সংকট মোকাবিলা ও উপকূলীয় সুরক্ষায় যুবদের নেতৃত্বে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত খুলনা জলবায়ু যুব ফোরামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রহের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে আজকের পদক্ষেপের ওপর। যুব সমাজকে জলবায়ু আন্দোলনের নেতৃত্বে আনা শুধুমাত্র তাদের সম্ভাবনার বিনিয়োগ নয়, বরং এটি আমাদের টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য। বিশ্ব জলবায়ু আলোচনায় বাংলাদেশের কণ্ঠ শক্তি, সহনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তির প্রতিফলন ঘটাতে হবে।’
নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (ন্যাকম) এবং ইয়ুথনেট গ্লোবালের যৌথ আয়োজনে এই ফোরাম আয়োজনে সহায়তা করে ক্লাইমেট অ্যাম্বিশন সাপোর্ট অ্যালায়েন্স (কাসা) এবং যুক্তরাজ্য সরকার।
অনুষ্ঠানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম হোসেন, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মুজিবর রহমান এবং ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদাত আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ন্যাকমের নির্বাহী পরিচালক ড. এস.এম. মঞ্জুরুল হান্নান খান সভার সভাপতিত্ব করেন।
ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। যুব নেতৃত্বে সুন্দরবন রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনে বাস্তুচ্যুত মানুষদের সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আন্তর্জাতিক জলবায়ু আলোচনায় যুব সমাজের সক্রিয় ভূমিকার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন তিনি।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন কপ২৯-এর মূল বিষয়গুলো যেমন ক্ষয় ক্ষতি তহবিল, অভিযোজন অর্থায়ন এবং ন্যায়সঙ্গত রূপান্তর নিয়ে আলোচনা করেন। তারা ব্রাজিলের বেলেম শহরে অনুষ্ঠিতব্য কপ৩০-এর জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি জোরদার করার লক্ষ্যে বেশ কিছু সুপারিশ প্রদান করেন, যার মধ্যে সুন্দরবন রক্ষা ও জলবায়ু অভিবাসন মোকাবিলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।