সম্প্রতি নরওয়ের ভাইকিং কবর থেকে গুরুত্বপূর্ণ শিল্প নিদর্শন উন্মোচন করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। বার্গেন বিশ্ববিদ্যালয় মিউজিয়ামের প্রত্নতাত্ত্বিক সোরেন ডাইনহফ এই আবিষ্কার সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ২০২৩ সালের শরৎকালে দক্ষিণ-পশ্চিম নরওয়ের ফিটজারের স্কুমসনেস ফার্মে ভাইকিং কবরের সন্ধান পায়।
তবে সেগুলোর প্রাথমিক খনন সম্পন্ন হয় ২০২৪ সালের শেষের দিকে। কবর দুটির সময়সীমা ৮০০-৮৫০ সালের মধ্যকার। সমাধি থেকে পাওয়া মুদ্রা ও অলংকার দেখে অনুমান করা হয় এটি ধনী নারীদের কবর। দক্ষিণ ইংল্যান্ড বা আয়ারল্যান্ডে এনামেল ইনলে এবং পশুর আকৃতির হাতলসহ উৎপাদিত একটি ধাতব থালার টুকরো ছিল। বার্গেন ইউনিভার্সিটি মিউজিয়ামের প্রত্নতাত্ত্বিক সোরেন ডাইনহফ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নবম শতাব্দীর আগে সম্ভবত ব্রিটানিক দ্বীপপুঞ্জের একটি খ্রিস্টান মঠ থেকে আসতে পারে। প্রথম কবরে বেশিরভাগ টুকরো পাওয়া গেছে সম্ভবত দাফনের পরেই জায়গাটি লুণ্ঠন করা হয়েছিল। কিন্তু আসল গুপ্তধনটি দ্বিতীয় কবরে পাওয়া গিয়েছিল, যার মধ্যে বস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম থেকে শুরু করে উচ্চ-শ্রেণির গয়না এবং মুদ্রা পর্যন্ত অমূল্য নিদর্শন অন্তর্ভুক্ত ছিল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই সরঞ্জামগুলো ইঙ্গিত দেয় যে সমাধিস্থদের দক্ষতা ছিল।
বরফে ঢাকা গাছ
দৃশ্যটি দেখে আপাতত মনে হতে পারে এটি কোনো কাশফুলের ছবি। অবশ্য এই ভ্রম দূর হয় খুব কাছে থেকে দেখলে। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের ইস্ট মিডল্যান্ডস অঞ্চলের ডার্বিশায়ারের পিক জেলায় ভ্রমণ করতে গিয়ে এই দৃশ্যটি ক্যামেরায় ধারণ করেছেন অ্যান্টনি নিউবি নামের এক দর্শনার্থী। তিনি স্বাভাবিক আবহাওয়া দেখে বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু উইনাটস পাসের কাছে গিয়ে দেখতে পেলেন ক্রমেই তুষারে আচ্ছাদিত হয়ে যাচ্ছে চারপাশ। হঠাৎ তার নজরে আসে একটি গাছের ডালপালা সাদার আস্তরে ছেয়ে গেছে। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ায় তিনি ড্রোন চালানোর জন্য নিরাপদ বোধ করলেন না। তখন তিনি গাড়িটি পার্ক করে ক্যামেরায় দৃশ্যটি ধারণ করতে ঘটনাস্থলে ফিরে গেলেন। তুষার শলাকায় পরিণত গাছটি প্রায় ১০ থেকে ১৫ ফুট লম্বা ছিল। ৫৩ বছর বয়সি এক ব্যক্তি এই তুষার শলাকা দেখে বলেছেন ‘আমি এর আগে কখনও এরকম দৃশ্য দেখিনি।’ অ্যান্টনি নিউবি সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘যখন আমি আমার ড্রোন ওড়ানোর জন্য একটু অ্যাডভেঞ্চারে রওনা হলাম তখন পরিষ্কার রৌদ্রোজ্জ্বল দিন ছিল, কিন্তু যখন আমি পিক ডিস্ট্রিক্টে পৌঁছলাম তখন আবহাওয়া একেবারেই ভয়ংকর ছিল। আরও কিছুটা ওপরে পার্ক করতে হয়েছিল এবং ফিরে সব পথ চালান। আমি আনন্দিত।’ আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই ধরনের বরফ গঠনের জন্য নির্দিষ্ট শর্ত প্রয়োজন।
ভাইরাল ভাস্কর্যের গুগলি চোখ
যুক্তরাষ্ট্রের অরিগন রাজ্যের বেন্ড শহরে পাবলিক আর্ট বা ভাস্কর্যের ওপর কেউ মজা করে গুগলি চোখ লাগিয়ে দিয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে বিষয়টি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। শহর কর্তৃপক্ষ তাদের সমাজমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ‘রাউন্ডঅ্যাবাউট আর্ট রুট’ নামে পরিচিত রাউন্ডঅ্যাবাউটগুলোর শিল্পকর্মে গুগলি চোখ লাগানোর ছবি শেয়ার করেছে। এক ছবিতে দেখা যায়, দুটি হরিণের একটি ভাস্কর্যে গুগলি চোখ লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া একটি গোলক আকৃতির ভাস্কর্যেও এ-রকম চোখ লাগানো হয়েছে। এখনও জানা যায়নি কে বা কারা এগুলো লাগিয়েছে। কর্তৃপক্ষ পোস্টে আরও জানিয়েছে, ‘যদিও এই গুগলি চোখ সরানোর জন্য অর্থ খরচ হয় এবং এতে আর্টের ক্ষতি না করার জন্য বিশেষ যত্ন নিতে হয়। তবে এগুলো আপনাকে হাসাবে।’ একজন মন্তব্যে লিখেছেন, ‘আমরা গুগলি চোখ ভালোবাসি। এই শহর ক্রমেই গম্ভীর হয়ে যাচ্ছে। এখন একটু মজা হলে মন্দ কী!’ শহরের যোগাযোগ পরিচালক রেনে মিচেল অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, ‘আমরা আমাদের কমিউনিটিকে শিল্পের সঙ্গে মজা করার জন্য উৎসাহিত করি। তবে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা এটি রক্ষা করতে পারি এবং এগুলোর যেন কোনো ক্ষতি না হয়।’ এই পোস্ট এবং মন্তব্য সংবাদমাধ্যমে আলোচিত হয়েছে।