পুষ্টিগুণ
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:০১ পিএম
আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:১৫ পিএম
বিট একটি পুষ্টিকর সবজি, যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এটি শুধু স্বাদে চমৎকার নয়, বরং এর মধ্যে রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ; যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
বিটের পুষ্টিগুণ
এতে থাকা ক্যালরির পরিমাণ ৪৩, কার্বোহাইড্রেট ৯.৫৮ গ্রাম, প্রোটিন ১.৬ গ্রাম, ফাইবার ২.৮ গ্রাম, ফ্যাট ০.১৭ গ্রাম, ভিটামিন সি ৪.৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ ০.০৬৭ মিলিগ্রাম, ফলিক অ্যাসিড ১০৯ মাইক্রোগ্রাম। মিনারেলসের মধ্যে রয়েছে আয়রন ০.৮ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ২৩ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৩২৫ মিলিগ্রাম এবং ক্যালসিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম।
বিটের উপকারিতা
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
সাহায্য করে
বিটে রয়েছে নাইট্রেট, যা শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়ে রক্তনালি প্রশস্ত করে। এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
রক্তশূন্যতা
দূর করে
বিট আয়রনের একটি ভালো উৎস। এটি রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সহায়ক। কারণ আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদন বাড়ায়।
পরিপাকতন্ত্রের
স্বাস্থ্য বজায় রাখে
বিটে থাকা ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধি করে
বিটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। ভিটামিন সি ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
ক্যানসার প্রতিরোধে
সহায়ক
বিটে থাকা বিটালেইন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের ডিএনএ সুরক্ষিত রাখে এবং ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
শক্তি বৃদ্ধি
করে
বিটে থাকা কার্বোহাইড্রেট তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে। এটি শরীরচর্চার সময় বা কাজের ফাঁকে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে।
মস্তিষ্কের
কার্যক্ষমতা বাড়ায়
বিটে থাকা নাইট্রেট রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করে। এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে সহায়ক।
রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়ায়
বিটে থাকা ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে
সাহায্য করে
বিট ক্যালরি কম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ডিটক্সিফিকেশন
(শরীর পরিষ্কার)
বিট লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন দূর করে।
যেভাবে খাবেন
সালাদের সঙ্গে কুচি করে মিশিয়ে খেতে পারেন বিট। এ ছাড়া রস করে বিট জুস হিসেবে খাওয়া যায়। স্যুপ, তরকারি বা ভাজি হিসেবে রান্না করেও খেতে পারেন। স্ন্যাকস হিসেবে বেক করে বা বিট চিপস বানিয়ে খেতে পারেন।।
সতর্কতা
যদিও বিট খুবই
উপকারী, তবে অতিরিক্ত বিট খেলে ইউরিন গোলাপি বা লালচে হতে পারে। এটি ক্ষতিকর নয়, তবে
যারা কিডনির পাথরের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য বিটের অক্সালেট সমস্যা তৈরি করতে পারে।
বিট আমাদের স্বাস্থ্যের
জন্য একটি সম্পদ। এটি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে আপনি পাবেন অসংখ্য
পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং শরীরকে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখতে
বিট রাখুন আপনার ডায়েটে!