হাসনাত মোবারক
প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০১ পিএম
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০২ পিএম
এক যে ছিল মুচি, ভয়ংকর গাছ, ইমা ও দৈত্য, পিটুর জাদুর জুতা এবং সর্বশেষ আন্ডোরে রাজ্যের কাহিনি। এ বই পাঁচটির লেখক রাইদাহ গালিবা। গালিবার ডাকনাম কুইন। কুইন যেন সত্যিই গল্পের রানী। কত মজার মজার গল্প যে লিখত। আজ তার লেখা ‘আন্ডোরে রাজ্যের কাহিনি’ বই নিয়ে কয়েকটি কথা বলব। তার আগে গালিবার সম্পর্কে কিছু বলি। প্রিয় এ লেখকবন্ধু ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত। ক্লাসের বন্ধু এবং শিক্ষকদের কাছে খুব প্রিয় ছিল সে। গল্প লেখার পাশাপাশি মজার মজার ছবিও আঁকত। তার লেখা ও ছবি প্রায়ই পত্রিকায় প্রকাশ হতো। তাই অনেক লেখকও রাইদাহকে স্নেহ করতেন। অবসরে মাছ ধরতে ভালোবাসত রাইদাহ। ক্রিকেট, দাবা আর অঙ্কের জটির সব ধাঁধা মেলাত।
এ প্রিয় গল্প লিখিয়ে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর মধ্যরাতে মাত্র ১২ বছর বয়সে হয়ে গেছে দূর আকাশের তারা। এবার রাইদাহর লেখা আন্ডোরে রাজ্যের কাহিনি বই নিয়ে শুরু করে দেওয়া যাক। এ বইটি ২০২৪ বইমেলায় শিশু প্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। ফিরে আসা যাক বইয়ের মধ্যে, আন্ডোরে রাজ্যের রাজা প্রিন্স ডেভিড। ডেভিডের আমলে দেশের মানুষ খুব শান্তিতে ছিল। কিন্তু পাশের ইস্তনিয়ার রাজা প্রিন্স ট্রেন্ট শয়তানি করে ডেভিডের রাজ্য ধ্বংস করার ফন্দি আঁটে। আন্ডোরের কিছু গুপ্তচরকে নিয়ে রাজ্য দখল করতে চায়। এক গভীর রাতে সৈন্য নিয়ে আক্রমণ করে বসে। তখন রাজা ডেভিড চিন্তিত হয়ে পড়ে। ট্রেন্ট নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে থাকে। ডেভিডকে ও তার সৈন্যদের বন্দি করে ফেলে। নানানরকম অত্যাচর শুরু করে হিংসুটে ট্রেন্ট। কিন্তু ডেভিডের সেনাপতি জোসেফ বুদ্ধি ও সাহস নিয়ে ছদ্মবেশে রাজাকে মুক্ত করতে যায়। হাজার হাজার প্রহরীকে ফাঁকি দিয়ে আন্ডোরের রাজাকে নিয়ে আসে। তারপর একটি গুহায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। সুস্থ হয়ে ডেভিড ও সেনাপতি জোসেফ দেশের সাধারণ মানুষদের নিয়ে যুদ্ধ করে ট্রেন্টের হাত থেকে মুক্ত হয়। সততা, বিশ্বস্ততা, সাহস আর দেশপ্রেম ফুটে উঠেছে রাইদাহর লেখায়। প্রিয় এ খুদে বন্ধুর স্মৃতির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা।