যুগে যুগে মানুষ তার কীর্তিকর্মের জন্য পৃথিবীর মানুষের কাছে সমাদৃত হয়েছে। সম্প্রতি নাইজেরিয়ান চিত্রশিল্পী ও চিকিৎসক ফোলা ডেভিড-টোলারাম তার নিজ দেশের সংস্কৃতি তুলে ধরতে গ্রহণ করেছেন ব্যতিক্রমধর্মী এক উদ্যোগ। ৩১ বছর বয়সি শিল্পী ফোলা ডেভিড ১০ হাজার ৮১৪ দশমিক ৫ ফুট আকারের চিত্রকর্ম এঁকে সারা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নিয়েছেন। ‘দি ইউনিটি অব ডাইভারসিটি’ নামের এ অঙ্কনটি একটি বড় ক্যানভাসে তৈরি। ফোলা ৫ হাজার আসনের স্টেডিয়ামে জলরোধী মার্কার ব্যবহার করে কয়েক দিনের চেষ্টায় এটি আঁকেন। তার এ শিল্পকর্মে নাইজেরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের সংস্কৃতি, প্রতীক ও মানুষের ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ফোলা বলেন, ‘নাইজেরিয়া একটি বহু সংস্কৃতির দেশ। আমি এমন কিছু তৈরি করতে চেয়েছিলাম, যা আমাদের ঐক্যের গল্প বলবে এবং মানুষকে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি উদ্যাপন করতে উদ্বুদ্ধ করবে।’ এ বিশাল অঙ্কন তৈরি করার আগে ফোলা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণ করে স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। তিনি জানান, সে অভিজ্ঞতাগুলোই তিনি শিল্পের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। ফোলার এ কীর্তি শুধু একটি রেকর্ড নয়; এটি তার দেশের বৈচিত্র্যপূর্ণ ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধানিবেদন এবং তা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার এক প্রচেষ্টা।
লন্ডনে রোমান যুগের রাস্তা আবিষ্কার
বৈচিত্র্যময় এ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড। পৃথিবীর পরতে পরতে কতই না প্রত্নবস্তু এবং পুরাকীর্তি রয়েছে। তা কি আর হিসাব করে বলা যায়। দিনে দিনে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। ইতিহাসের নতুন বাঁকের সন্ধানও মেলে এসব পুরাকীর্তির পথ ধরে। সম্প্রতি লন্ডনের ওল্ড কেন্ট রোড এলাকায় প্রত্নতাত্ত্বিকরা ২ হাজার বছরের পুরোনো একটি রোমান রাস্তার সন্ধান পেয়েছেন; যা সাড়া ফেলে দিয়েছে। পুরোনো এ পথটি একটি কম কার্বন উত্তাপের প্রকল্পের জন্য খননকাজ চলাকালে আবিষ্কৃত হয়। সাউথওয়ার্ক এলাকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাস্তার এ অংশটি সম্ভবত প্রাচীন ওয়াটলিং স্ট্রিট নামে পরিচিত রোমান রাস্তাটির অংশ। ৪৩ খ্রিস্টাব্দে রোমানরা ব্রিটেন আক্রমণ করার পর এটি তৈরি হয়েছিল। এর আগে এ রোমান রাস্তার সঠিক পথ সম্পর্কে খুব কম তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে এ আবিষ্কারটি প্রমাণ করে, রোমানরা ব্রিটেনে একটি শক্তিশালী অবকাঠামো তৈরি করেছিল। এটি লন্ডনের ইতিহাস এবং নগরায়ণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় তুলে ধরে। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, এ আবিষ্কার কেবল গবেষণার জন্য নয়, বরং লন্ডনের ইতিহাস বোঝার জন্যও এক অনন্য সুযোগ। এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শহরের অতীত সম্পর্কে জানার পথ তৈরি করবে।
হারানো আংটি ফিরে পেলেন ৫৪ বছর পর
হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া প্রিয় কোনো বস্তু খুঁজে পেলে তার মতো আনন্দ হয়তো আর কিছুতে নেই। আর তা যদি হয় দীর্ঘ ৫৪ বছর পর। সেই আনন্দের ভাষা অপ্রকাশযোগ্য। এমনই এক আনন্দের সাগরে ভেসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার বাসিন্দা ডেভিড লরেনজো। বাবার সঙ্গে পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গের কাছে ইউনিয়নটাউন কাউন্টি ক্লাবে গলফ খেলছিলেন লরেনজো। হঠাৎই আবিষ্কার করেন যে হাতে নেই তার ‘ক্লাস রিং’। ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেভাল অ্যাকাডেমি থেকে আংটিটি পেয়েছিলেন তিনি। অ্যাকাডেমিক অর্জনের স্মারক ক্লাস রিং যে কারও কাছেই বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। পাইলট লরেনজো ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় মার্কিন সামরিক বাহিনীর সাউথইস্ট এশিয়া উইংয়ের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৬৮ সালের জানুয়ারিতে প্রতিবেশী দেশ লাওসে শত্রুর গুলিতে তার উড়োজাহাজ ধ্বংস হয়ে যায়। কোনোমতে সেটি থেকে বেরিয়ে এসে প্রাণ রক্ষা করেন লরেনজো। সে সময়ও আংটিটি তার হাতে ছিল। অথচ দুই বছর পর গলফ খেলতে গিয়ে সেটি হারিয়ে যায়। লরেনজোর বয়স এখন ৮২। অর্ধশত বছরের বেশি আগে হারিয়ে যাওয়া আংটিটি ফিরে পাওয়ার কথা তিনি হয়তো কখনও ভাবেননি। অনেক সময় বাস্তব কল্পনাকেও হার মানায়। সম্প্রতি মাইকেল জেনার্ট নামে এক ব্যক্তি একই ক্লাবে গলফ খেলতে গিয়ে আংটিটি খুঁজে পান।