গোলাম কিবরিয়া
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১২:১৫ পিএম
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১২:১৯ পিএম
শিশুর মানসিক বিকাশে ঘরের আরামদায়ক পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ।
শিশুর মানসিক বিকাশে ঘরের আরামদায়ক পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে সাজানো ঘর শিশুর মানসিক বিকাশে সহযোগিতা করে। চলুন জেনে নিই, শিশুর ঘর কেমন হলে তা হবে আনন্দদায়ক ও প্রাণবন্ত
শিশুরা তাদের হাসি, খেলা আর দুষ্টুমির মাধ্যমে ঘরবাড়ি জীবন্ত করে তোলে। তাই ঘরের পরিবেশে তাদের আনন্দ ও আরাম নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। শিশুর মানসিক বিকাশে ঘরের আরামদায়ক পরিবেশ বড় ভূমিকা রাখে। সঠিকভাবে সাজানো ঘর শিশুর মানসিক বিকাশ ত্বরান্বিত করতে পারে। তাদের ঘর হতে হবে আকর্ষণীয়, সৃজনশীল ও আরামদায়ক। চলুন জেনে নিই শিশুর ঘর কেমন হলে তা হবে আনন্দদায়ক ও প্রাণবন্ত।
রঙিন ঘর
শিশুরা উজ্জ্বল রঙ ভালোবাসে। তাদের শৈশব আরও রঙিন করতে ঘরের দেয়ালে উজ্জ্বল রঙের প্রলেপ দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া নকশাদার ওয়ালপেপার বা তাদের পছন্দের কার্টুন চরিত্রের ছবি দিয়ে দেয়াল সাজানো যেতে পারে। এভাবে ঘরের প্রতিটি কোণ শিশুর কল্পনার জগৎ হয়ে উঠবে।
দেয়ালের সজ্জা
ঘরে ঢুকতেই প্রথম নজরে আসে দেয়ালের সাজ। সন্তানের পছন্দের রঙ এবং কার্টুন চরিত্র ব্যবহার করে দেয়াল সাজাতে পারেন। দেয়ালে চিত্রকর্ম, লেখার বোর্ড বা শিশুদের আঁকা ছবি ঝুলিয়ে তাদের সৃজনশীলতা আরও উৎসাহিত করা সম্ভব।
হালকা ও সৃজনশীল পর্দা
শিশুর ঘরের জানালা ও দরজার পর্দার ক্ষেত্রে হালকা রঙ ও সুতির কাপড়ের ব্যবহার সবচেয়ে ভালো। এতে ঘরে প্রাকৃতিক আলো-বাতাস প্রবেশ করবে সহজেই।
আসবাবপত্রের বিন্যাস
শিশুর ঘরের আসবাবপত্র হওয়া উচিত রঙিন, মজার ও নিরাপদ। কার্টুন চরিত্র বা আকর্ষণীয় ডিজাইনের আসবাবপত্র তাদের মন ভরিয়ে দেবে। সব আসবাবপত্র দেয়ালের সঙ্গে শক্তভাবে আটকানো থাকা জরুরি, যাতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি না থাকে।
আরামদায়ক বিছানা
ঘুম শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই তাদের বিছানার চাদর হতে হবে নরম ও আরামদায়ক। হালকা সবুজ, নীল, গোলাপি বা সাদা রঙের চাদর এবং তাদের পছন্দের কার্টুন বা ডিজাইন এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত।
খেলাধুলার স্থান
শিশুর ঘরে এক পাশে খেলার জায়গা রাখা উচিত। সেখানে একটি মাদুর বিছিয়ে খেলনা রাখা যেতে পারে। কেউ চাইলে ছোট্ট একটি ইন্ডোর শিশু পার্কও তৈরি করতে পারেন।
ঘরের গাছপালা
শিশুর ঘরে ছোট গাছ বা বনসাই রাখলে ঘর শুধু পরিবেশবান্ধবই হবে না, বরং এটি শিশুর মনেও প্রভাব ফেলবে। সবুজ গাছপালা ঘর প্রাণবন্ত করে তোলে।
পাঠাভ্যাস গড়ে তোলা
ঘরের এক পাশে ছোট্ট একটি বুক শেলফ্ বা লাইব্রেরি তৈরি করে সেখানে কার্টুন বই, ছড়া, কবিতা বা গল্পের বই রাখা যেতে পারে। হাতের নাগালে বই থাকলে শিশুরা সহজেই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলবে।
আলো-বাতাসের ব্যবস্থা
শিশুর ঘরে পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস থাকা জরুরি। দিন ও রাতের সময় অনুযায়ী হালকা বা সাদা আলো ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে শিশুর চোখের আরাম বজায় থাকবে।
স্টোরেজ ব্যবস্থা
শিশুর ঘরে জামাকাপড় ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার জন্য মাল্টি পকেট অর্গানাইজার বা ছোট ওয়ারড্রব রাখা যায়। এতে তারা গুছিয়ে রাখার অভ্যাসও রপ্ত করবে।
উপসংহার
শিশুর ঘর শুধু ঘুমানোর জায়গা নয়, এটি তাদের কল্পনার রাজ্য। সুন্দর, আরামদায়ক এবং সৃজনশীলভাবে সাজানো একটি ঘর শিশুর মনের বিকাশে সহায়ক হতে পারে। তাই ঘর সাজানোর সময় শিশুদের প্রয়োজন ও পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।