স্বাদু সংবাদ
সাজেদুর আবেদীন শান্ত
প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৪৯ পিএম
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:০০ পিএম
দক্ষিণ-পশ্চিম নাইজেরিয়ার ইগবো-ওরা শহরে প্রতি বছর এক বিশেষ উৎসব উদযাপিত হয়, যা যমজ উৎসব নামে পরিচিত। উৎসবে পুরো শহর সেজে ওঠে রঙিনভাবে। ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত শহরের যমজ উৎসবে বিভিন্ন বয়সের যমজরা সেজেগুজে হাজির হয়েছিলেন। এ উৎসবকে তারা সত্যিকার অর্থেই আশীর্বাদ মনে করেন। উৎসবে যোগ দেওয়া এক যমজ সন্তানের দাদি ওমোতুনমিওয়া ওলাদাপো বলেন, ‘যমজরা স্বর্গ থেকে আসে। বাবা-মা যখন একটি শিশুর কথা ভাবেন, তখন অপ্রত্যাশিতভাবে যমজ সন্তানের জন্ম হয়। যদিও ধনী ব্যক্তিরা যমজ সন্তানের জন্য কামনা করেন, কিন্তু যমজরা তো দরিদ্রদের বাড়িতে ঢুকতে ভালোবাসে। যাতে দরিদ্র মানুষ ঘরের ন্যাকড়াকে ভালো পোশাকে পরিণত করতে পারে।’ উৎসবে যমজ শিল্পীদের আকর্ষণীয় পরিবেশনা দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে। এবারের যমজ উৎসবে উপস্থিত ছিলেন ওরা রাজ্যের গভর্নর ও স্থানীয় রাজা ওলু। তিনি অনুষ্ঠানে যমজ সন্তান জন্মের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘এ শহরের এমন কোনো বাড়ি নেই যেখানে আপনি অন্তত একটি যমজ সন্তান খুঁজে পাবেন না।’ নাইজেরিয়ার ইগবো-ওরা শহরটি পৃথিবীর ‘যমজ রাজধানী’ হিসেবে পরিচিত। কারণ এখানে যমজ সন্তানের জন্মের হার চমকপ্রদভাবে বেশি। বিশ্বব্যাপী ১ হাজারে ১২টি যমজ শিশুর বিপরীতে এ শহরে ৪৫ থেকে ৫০টি যমজ শিশু জন্মায়; যা সত্যিই বিস্ময়কর! তাই এ উৎসব শুধু যমজ সন্তানের জন্মকেই বিশেষ করে তোলে না, বরং স্থানীয় জনগণের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক আনন্দময় উদযাপন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে!
সমুদ্রসৈকতে অদ্ভুত বল
সিডনির জনপ্রিয় কোওজি সমুদ্রসৈকতে হঠাৎ করেই শত শত কালো, ট্যারের মতো বলাকৃতির বস্তু এসে জমা হয়েছে; যা দেখে জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দেওয়ায় আপাতত সৈকতটিতে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১৫ অক্টোবর বিকালে এ অদ্ভুত বলগুলোর দেখা মেলে। দর্শনার্থীরা এগুলো দেখে বিস্মিত হয়ে যান। গলফ থেকে ক্রিকেট বলের আকারের এ বলগুলো সৈকতের বালির ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, যেখানে সাধারণত সাঁতারু ও পর্যটকরা আনন্দ করেন। যদিও গাঙচিল ওই বস্তুগুলো কৌতূহল ভরে দেখছে, কিন্তু সেগুলো আসলে কী সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। মেয়র ডিলান পার্কার ধারণা করছেন, এগুলো সম্ভবত ‘টার বল’ যা তেলের জল বা আবর্জনার সঙ্গে মিশে তৈরি হয়। স্থানীয় মেয়রও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সকালে বিচটি পরিষ্কার করার প্রচেষ্টা চললেও, বুধবার পর্যন্ত এটি বন্ধ রয়েছে। আশপাশের অন্য সৈকতগুলো নজরদারিতে রাখা হলেও সেগুলো খোলা রয়েছে। সবার জন্য পরামর্শ- কোওজি সৈকতে গিয়ে এ অজানা বস্তুগুলো যেন কেউ স্পর্শ না করেন। এ পরিস্থিতিতে সবার সতর্কতা জরুরি!