অথৈই দাস সৃজা
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ১২:১৯ পিএম
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ১২:২৮ পিএম
ছবিটি এঁকেছে সুওয়াইবা বিনতে মাহমুদ। সে ঢাকা আজিমপুর গভঃ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী
এক বনে ছিল এক হাঁস। তার ছিল দুটি ছানা। একটু পাশেই ছিল আরেকটি বন। বনের পাশ ঘেঁষে বয়ে গেছে আঁকাবাঁকা একটি নদী। নদীতে বাস করত এক কুমির। কুমিরটি ছিল খুব দুষ্ট। অন্য প্রাণীদের সে খুব অত্যাচার করত। একদিন দুটি হাঁসের ছানা নদীর ধার দিয়ে যাচ্ছিল। তখন দুষ্ট কুমির মনে মনে ফন্দি আঁটল হাঁস দুটি ধরে খাবে। হঠাৎ মা হাঁস সেখানে চলে এলো। মা হাঁসকে দেখে কুমির জলের মধ্যে ডুব দিল। মা হাঁস বুঝতে পারল, পানির মধ্যে কিছু একটা আছে। কারণ জলের মধ্যে বুদ্বুদ করছিল। মা হাঁস ছিল খুব চালাক ও বুদ্ধিমান। সে বাচ্চাদের বলল, এ নদীতে একটি কুমির রয়েছে। এখানে একটি গুহা আছে, এ ছোট্ট গুহার মধ্যে তোমরা ঢুকে পড়ো। এত ছোট গুহায় কুমির ঢুকতে পারবে না। গুহাটা এতই সরু যে এটাতে আমি ঢুকতে পারব না। তোমরা ঢুকে পড়ো আমি দেখছি কুমিরকে। এই বলে মা হাঁসটি পালিয়ে গেল। পাশের থেকে আরেকটি কুমির তখন বলল, তুমি ছানা হাঁসদের ধরতে না পারলেও মা হাঁসটিকে তো ধরতেই পারতে কিন্তু না ধরে ছেড়ে দিলে কেন? কুমির বলল, বাচ্চাদের নিরাপদে রেখে মা বিপদে যাচ্ছে এটা দেখে যে আমার মায়ের কথা মনে পড়ে গেছে, তাই আর খেতে পারলাম না মা হাঁসটিকে। আমার মনটা শুধু বারবার বলছে, দেখো মায়ের কত ভালোবাসা।
পঞ্চম শ্রেণি, সিয়াম আইডিয়াল স্কুল, ঝাউচর, হাজারীবাগ, ঢাকা