× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

গণপিটুনিতে এত মৃত্যু : দায় নেবে কে?

আহমাদ শামীম

প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৪৩ পিএম

আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:১২ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

সম্প্রতি দেশজুড়ে বেড়েছে আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতার পাশাপাশি গণপিটুনিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, অক্টোবর মাসে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ১৯ জন, সেপ্টেম্বরে ২৪ ও আগস্ট মাসে এ সংখ্যা ছিল ২০। গণপিটুনিতে এত প্রাণক্ষয়ের দায় কারÑ এ প্রশ্নের উত্তর নেই যেন

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় গত ৩০ অক্টোবর বুধবার রাতে গণপিটুনির শিকার হয়ে নিহত হন দুই ভাই। ইয়াকুব (২২) ও আলমগীর (২৪) নামের এ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের যাত্রীদের কাছে ছিনতাই করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন তারা।

এ ঘটনার আগে একই দিন সকালে নড়াইল সদর উপজেলায় গরুচোর সন্দেহে পিটুনিতে নিহত হয়েছেন তিনজন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি তুলারামপুর এলাকায় চোরের দৌরাত্ম্য আরও বেড়েছে। ঘটনার দিন রাত ৩টা নাগাদ তুলারামপুর গ্রামের এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের বাড়িতে গরু চুরির চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি টের পেয়ে তিনি প্রতিবেশীদের মোবাইলে জানালে লোকজন এসে চোরদের ধাওয়া দিয়ে তিনজনকে আটক করে। পরে তাদের পিটুনিতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়।

৩০ অক্টোবর রাজধানী ঢাকার সবুজবাগের আরেকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা যাক। সবুজবাগের ভাইগদিয়া এলাকায় এদিন সন্ধ্যায় রমজান আলী নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশের ভাষ্য, রমজান সবুজবাগ এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ঘটনার দিন রমজান তার দুই সহযোগীকে নিয়ে ভাইগদিয়া এলাকায় গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা রমজানসহ তিনজনকে আটক করে পেটান। এতে ঘটনাস্থলে রমজানের মৃত্যু হয়।

এর আগের মাসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মারধরে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। 

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেড়েছে গণপিটুনির ঘটনা। এতে মৃত্যুর পাশাপাশি আহতও হচ্ছেন অনেকে। আইনের দৃষ্টিতে গণপিটুনি সামাজিক অপরাধ হিসেবে গণ্য। এটি হত্যাকাণ্ড হিসেবেই বিবেচিত হয়। দেশের প্রচলিত আইনে এর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তারপরের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। কঠোর শাস্তি থাকার পরও বাড়ছে গণপিটুনির প্রবণতা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনজনিত সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির শিথিলতা, সামাজিক অস্থিরতা, আইনের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থাহীনতা এবং প্রতিহিংসা প্রবণতা বেড়েছে।

পাঁচ বছর আগে রাজধানীর বাড্ডায় গণপিটুনিতে আলোচিত রেণু হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয় গত ৯ অক্টোবর। এ সময় আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ‘গণপিটুনির নামে মধ্যযুগীয় বর্বরতায় মানুষ হত্যার লাইসেন্স দেওয়া হলে তা এ সমাজের যেকোনো মানুষের জন্য আতঙ্ক ও অনিরাপত্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।’

এ মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে আদালত বলেন, ‘একজন মানুষ যখন পশু হয়ে যায়, তখন তার জীবন কেড়ে নেওয়াই শ্রেয়।’ আদালত আরও বলেন, ‘অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হলে এ ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটবে এবং আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে।’ আলোচিত এ মামলার রায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) পরিসংখ্যান অনুযায়ী সদ্য শেষ হওয়া অক্টোবর মাসে অন্তত ২৪টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ১৯ জন নিহত ও তিনজন নারীসহ ১৯ জন কিশোর ও যুবক গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও এমএসএফ-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী অক্টোবরে আটজন সন্দেহজনক চুরি, একজন চুরি, দুজন সন্দেহজনক ছিনতাই, একজন সন্দেহজনক চাঁদাবাজি, একজন ধর্ষণের অভিযোগে, একজন বাক-বিতণ্ডার জেরে, একজন পাওনা টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিলে, একজন মনোমালিন্যের জেরে ও একজন সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত ছিল বলে গণপিটুনিতে নিহত হয়। অপরদিকে ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরির সন্দেহে তিনজন নারীসহ ১৯ জন, বলাৎকারের চেষ্টায় একজন ও ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি দিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

এমএসএফ-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী তার আগের মাস তথা সেপ্টেম্বরে এ সংখ্যা ছিল আরও বেশি। সংগঠনটির হিসেবে সেপ্টেম্বরে অন্তত ৩৩টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ২৪ জন নিহত ও ২২ জন আহত হন। সন্দেহজনক চুরি বা ছিনতাইকারী সন্দেহে ১৩ জন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিনজন, অস্ত্রসহ একজন, মাদক কারবারি একজন, ছিনতাইকারী একজন, ছাত্রলীগ নেতা একজন, চুরির অভিযোগে একজন, ডাকাত সন্দেহে একজন, অপরাধজনিত কারণে দুজনসহ মোট ২৪ জন গণপিটুনির শিকার হয়ে নিহত হয়। 

আগস্ট মাসেও এমএসএফ-এর পরিসংখ্যান বলছে, অন্তত ২০টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। যেখানে ২০ জন নিহত ও ৪ জন গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। যদিও এর আগে জুলাই মাসে ছয়টি গণপিটুনির ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছে বলে জানায় এমএসএফ।

বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে এ বিষয়ে রয়েছে কঠোর শাস্তির বিধান। ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৯ ধারা অনুযায়ী, অপরাধী ধরা পড়লে তাকে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করতেই হবে। এর ব্যতিক্রম করলে দণ্ডবিধির ১৮৭ ধারা অনুযায়ী অনূর্ধ্ব ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫০০ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। আটক রাখার পর যদি ওই ব্যক্তিকে সামান্য আঘাতও করা হয় তাহলে ৩১৯ ধারায় উল্লিখিত আঘাতের অপরাধে অপরাধীকে ৩২৩ ধারার অধীনে এক বছরের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা ১,০০০ টাকা জরিমানা করা যাবে।

যদি পিটুনি দেওয়া হয় তবে কারাদণ্ডের মেয়াদ বেড়ে গিয়ে দাঁড়াবে অনূর্ধ্ব তিন বছর এক মাসে। সেই সঙ্গে অনূর্ধ্ব ৫০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। যদি ইচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত দেওয়া হয় তবে ৩২৫ ধারার অধীনে সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা যায়।

এ ছাড়া দণ্ডবিধির ৩৩৫ ধারা অনুযায়ী কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড উভয় দণ্ডেও দণ্ডিত হতে পারেন আঘাতকারীরা।

হামলা চালানোর ফলে যদি ব্যক্তির মৃত্যু হয় তাহলে দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারা অনুযায়ী দশ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের সাজা দেওয়া যায়। আর যদি অপরাধীকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মেরে ফেলার বিষয়টি প্রমাণিত হয় তবে শাস্তি হলো যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব দশ বছর মেয়াদের যেকোনো কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।

এ বিষয়ে কথা হয় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী জেড আই খান পান্নার সঙ্গে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গণপিটুনি হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি তৎপর হয় তবেই এটি প্রতিহত করা সম্ভব। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কি আদৌ তৎপর? সম্প্রতি জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনায় থানা থেকে জানায়, আমরা এ ঘটনা জানি না। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, তারা বিষগুলো পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণত সরকারকে নমনীয় থাকতে হয়। কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার অদমনীয় হয়ে যাচ্ছে। বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপের মতো কলঙ্কজনক ঘটনাও আমরা দেখতে পাচ্ছি। একদিকে বিচারকদের পদত্যাগ করাব, অন্যদিকে নিজের পছন্দের বিচারকদের নিয়োগ দেব, এ পদ্ধতি স্মরণকালের ইতিহাসে জঘন্যতম অধ্যায়। এ ছাড়াও সমাজে মানুষের মধ্যে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে, সেটা রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেই সৃষ্ট। রাজনৈতিকভাবে পরিস্থিতি যদি শান্ত থাকত, তাহলে এমনটা ঘটত না। বর্তমান সরকার সংবিধান পরিবর্তন করতে চায়, কিন্তু তারা আইন কেন পরিবর্তন করতে চায় না? পুলিশ দণ্ডবিধি আইন তৈরি হয়েছিল ১৮৬১ সালে। সেই আইন কেন এখনও বহাল থাকবে? যে পুলিশ আইন তৈরি হয়েছিল সিপাহি বিদ্রোহ দমনে, সেটাকে কেন পরিবর্তন করা হচ্ছে না? আমাদের এখানে বিদ্রোহ দমনে পুলিশকে ট্রেনিং দেওয়া হয় ব্রিটিশ শাসনামলের মতো করে।

 জ্যেষ্ঠ এ আইনজীবী এসবের পেছনে সমাজেরও কিছু দায় দেখেন। তিনি বলেন, ‘একটা সময় আমাদের সমাজে যাত্রাপালা হতো, সার্কাস হতো। এখন এসব দেখা যায় না। মাঠ ছিল, সেখানে খেলাধুলা হতোÑ সেটাও হয় না। পাঠাগারের সংখ্যাও হাতে গোনা। মানুষ বই পড়ত। সেটাও কমে গেছে। সর্বোপরি, সুস্থ মানসিকতার বিকাশে কোনো কাজই হচ্ছে না। এসব ফিরিয়ে আনা গেলে হয়তো সামাজিক অস্থিরতা কমবে।’

বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলীর মতে, এ পরিস্থিতির উন্নতিতে সরকারকেই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছেÑ মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন, এটা ভয়াবহ প্রবণতা। এজন্য লোকাল কমিউনিটিকে দায়িত্ব নিতে হবে। কয়েক মাস আগেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারের সব জায়গা রাজনৈতিক একটা প্রভাবের মধ্যে পরিচালিত হতো। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেখতে পাচ্ছি, কেউ কাউকে মানছে না এবং জবাবদিহিতারও প্রচণ্ড অভাব। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং এ জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সরকারের তরফ থেকে সব স্থানে কমিটি করা প্রয়োজন বলে মনে করি। যারা স্বপ্রণোদিত হয়ে এসব পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করবে। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের পুলিশ প্রশাসনকে আরও তৎপর হতে হবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, বর্তমানে প্রায় সব থানায় লোকবলের অভাব রয়েছে। পুলিশের কথাও মানছে না মানুষ। এগুলোর উন্নতি ঘটাতে হবে। সর্বোপরি, আমাদের দেশের মানুষদের আইন না মানার একটা প্রবণতাও কিন্তু রয়েছে। এ বিষয়েও কাজ করা প্রয়োজন বলে মনে করি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তুলতে তারা যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবেন। অনেক রক্ত ও প্রাণের বিনিময়ে যে পরিবর্তনের জন্য অভ্যুত্থানটি ঘটেছে, সেটার মূল্য রাখতে অবশ্যই সরকারকে এ ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করতে হবে।’

আইনের প্রতি আস্থাহীনতা থেকে গণপিটুনি বাড়ছে বলে মনে করেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী আইনজীবী সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, গণপিটুনিতে নিহত হচ্ছেন যিনি তার প্রতি সমাজে হয়তো একটা ক্ষোভ রয়েছে। সাধারণ মানুষ হয়তো মনে করছে, একে যদি আইনের হাতে তুলে দেই, সে কিছুদিনের মধ্যে ছাড়া পেয়ে যাবে এবং আবার একই কাজ করবে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা কমাতে দুটো কাজ করতে হবে। প্রথমটিÑ আইনের প্রতি আস্থা রাখলে যে হতাশ হতে হয় না, এটা মানুষকে বোঝাতে হবে। মানবাধিকার সচেতনা বাড়িয়ে মানুষকে আরও বেশি সংবেদনশীল করে তুলতে হবে। অন্যটি হলোÑ সমাজে হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার তৈরি করা। এর অর্থ হলো, এসব ঘটনায় কাউকে দেখা যায় না, যিনি বা যারা উত্তেজিত জনতাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছেন। আগে সমাজে এমন মানুষদের দেখা যেত, যাদের উপস্থিতি এখন দেখা যায় না বললেই চলে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা