× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

জলবায়ু পরিবর্তন

উপকূলের বিপন্ন শিশুদের গল্প

সাধন সরকার

প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৩০ পিএম

জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ঘরবাড়ি হারানো মা চম্পার কোলো শিশুটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি। ছবি : ফাবিহা মনির

জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ঘরবাড়ি হারানো মা চম্পার কোলো শিশুটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি। ছবি : ফাবিহা মনির

স্বপ্না, বয়স ১০। ৭১ নম্বর বুড়িগোয়ালিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। শরীরে অপুষ্টির ছাপ স্পষ্ট। এ বয়সে স্বপ্নাকে আয়ের পথ ধরতে হয়েছে! দুপুর তখন ২টা। সুন্দরবনসংলগ্ন মালঞ্চ নদে পূর্ণ জোয়ার চলছে। জোয়ারের সময় বাড়ির সামনে দিয়ে বয়ে যাওয়া মালঞ্চের তীর ঘেঁষে ত্রিভুজ আকৃতির নীল রঙের নেট টানতে টানতে এগিয়ে যায় স্বপ্না। বিদ্যালয় সময়ের বাইরে সে চিংড়ির পোনা ধরে। নেট টানতে তার ইচ্ছে করে না! তবু নেট টানা এখন ওর প্রতিদিনকার রুটিনে দাঁড়িয়ে গেছে! বাবা অসুস্থ। সংসারে অভাব। নেট টেনে প্রতিদিন কত টাকা পাও?Ñ এ প্রশ্নের উত্তরে লজ্জামাখা মুখখানি তুলে এক পলক তাকিয়েই কোনো কথা না বলে নেটের ভেতর বাগদার পোনা খুঁজতে শুরু করে। নদের এপার থেকে তাকালে ওপারে সুন্দরবন অনায়াসেই দেখা যায়। তীরে দাঁড়িয়ে থাকা স্বপ্নার নানির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একটি পোনার দাম ১ টাকা। কোনো দিন ৫০টি আবার ভাগ্য ভালো থাকলে কোনো দিন ২০০টিও পোনা পায় স্বপ্না। স্বপ্নাদের লোনা পানির ভয় নেই! সংসারের অভাবের ভয় লবণাক্ত পানিতে নারীদের শারীরিক ক্ষতিকেও যেন হার মানিয়েছে!

সুন্দরবনসংলগ্ন সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের বুড়িগোয়ালিনী গ্রামে স্বপ্নার বাড়ি। এলাকার মানুষের প্রধান পেশা মাছ ধরা। মালঞ্চ নদে জোয়ার এলেই যেন জেগে ওঠে শিশু-কিশোর বয়সের ছেলেপুলে! জোয়ারে সুন্দরবন তলিয়ে যায়। এ সময় ছোট ছোট ডিঙি, জাল, নেট আর আটল (কাঁকড়া ধরার যন্ত্র) নিয়ে ছোটবড় সবাই বেরিয়ে পড়ে সাদা মাছ, কাঁকড়া, চিংড়ির রেণু সংগ্রহে। সংসারে অভাব-অনটন এ এলাকার মানুষের নিত্যসঙ্গী। মাছ ধরা বাদে উল্লেখযোগ্য কোনো কর্মসংস্থান নেই। তাই লেখাপড়ার চেয়ে ছোটবেলায় বাপদাদার পুরাতন পেশা মাছ ধরার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয় বেশি!

মালঞ্চের পাড় ধরে হাঁটতে হাঁটতে দেখা হয় মিয়ারাজের সঙ্গে। মাকে নিয়ে দোকানে খাবার কিনতে এসেছে আট বছরের মিয়ারাজ। তুমি স্কুলে যাও?Ñ এ প্রশ্নের উত্তরে মায়ের আঁচলের নিচে হাসিমাখা মুখ লুকায় ও। মিয়ারাজের মা রহিমা (৩২) জানান, স্কুলে ভর্তি হলেও মিয়ারাজ স্কুলে যায় না। ছেলের লেখাপড়া নিয়ে অতটা চিন্তিত নন মা। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘লেখাপড়া শিখে কী হবে? চাকরি নাই। বাদাবনে (সুন্দরবনে) কাজে দিয়ে দেব।’ একই দোকানে বসে ছিলেন দুই সন্তানের জননী খাইরুন (৩৫)। ছোট ছেলের নাম রণি। বয়স ১১। চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়িয়ে আর পড়াননি। অল্প বয়সের ছেলেকে অভাবের কারণে কাজে দিয়ে দিয়েছেন।

মালঞ্চের তীর ঘেঁষে বুড়িগোয়ালিনী গ্রামের বাঁধের রাস্তা দিয়ে নীলডুমুর যাওয়ার পথে দেখা হয় ইয়াসিনুর রহমানের (৩০) সঙ্গে। এলাকায় একটি প্রজেক্টে দীর্ঘদিন কাজ করছেন। এলাকায় শিশুদের কোনো সমস্যা আছে কি না?Ñ এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এলাকায় জলবায়ুগত সমস্যার প্রভাব রয়েছে। এ গ্রামের বাসিন্দাদের প্রধান সমস্যা নদীভাঙন। এলাকার মানুষ বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভরশীল। পুকুরের পানি বিশুদ্ধকরণের পর পাইপের মাধ্যমে গ্রামে সরবরাহ করলেও শুষ্ক মৌসুমে পানি লবণাক্ত হয়ে যায়। তখন পানির জন্য হাহাকার লেগে যায়। অনেক পরিবারের শিশুরা লবণাক্ত পানি পান করতে বাধ্য হয়। ফলে শিশুরা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়। শিশুদের পাঁচড়া, শ্বাসকষ্ট, চুলকানি, সর্দিকাশি লেগেই থাকে। অভাব ও অসচেতনতার কারণে বেশিরভাগ পরিবারের শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগছে। এলাকায় চিকিৎসাসেবাও ভঙ্গুর।’

শ্যামনগরের আরেক ইউনিয়ন গাবুরা। এটি একটি দ্বীপ ইউনিয়ন। কপোতাক্ষ নদ ও খোলপেটুয়া নদী গাবুরার চারদিক ঘিরে রেখেছে। এলাকায় ৯৫ ভাগ রাস্তা কাঁচা। গাবুরা ইউনিয়নে বাঁধের ওপর যখন পৌঁছাই তখন দুপুর সাড়ে ১২টা। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বাঁধের পাশে আলী হায়দারের (২৯) ছোট দোকানে তখন শিশুদের জটলা। বাঁধের এক পাশে কংক্রিটের ব্লক দিয়ে ঢালাই চলছে। তার পাশেই আবার নদীভাঙনের চিহ্ন স্পষ্ট। এলাকায় প্রধান সমস্যা কী?Ñ প্রশ্ন করতেই শুরুতে আলী হায়দার লবণাক্ততার কথা জানান। এ সমস্যার কারণে শিশুদের সর্দিকাশি, নিউমোনিয়া লেগেই থাকে। এলাকার হাওয়া খারাপ। যোগাযোগব্যবস্থা খুবই নাজুক। অপুষ্টি, রক্তশূন্যতা ও বাল্যবিবাহের মতো সমস্যা রয়েছে শিশুদের। আগে তিনি সন্তানদের জন্য রক্তের বড়ি কিনে খাওয়াতেন। একই দোকানে বসে কথা হয় কিশোর আরিফুল ইসলামের (১৪) সঙ্গে। ৫০ নম্বর গাবুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বয়সের সঙ্গে শ্রেণি না মেলায় খানিকটা অবাক হই! তোমার তো এখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার কথা?Ñ এ প্রশ্নের উত্তরে ঠোঁট দুটো চওড়া করে মিষ্টি হাসি দিয়ে আরিফুল বলে, ‘আমায় দেরিতে স্কুলে দেছে। বাপ-মায় জানে।’ আরিফুল আরও জানায়, প্রতি বছর মে মাসের দিকে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাকেও ছোটবেলায় বাঁধে থাকতে হয়েছে। আরিফুলের সঙ্গে কথা বলতে বলতে দোকানে হাজির হয় ১২ বছরের শিশু আজমীর। স্থানীয় নিজামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। আজমীর জানায়, একটু বৃষ্টি হলেই কাঁচা রাস্তা দিয়ে মাদ্রাসায় যেতে মন চায় না। বাড়িতে লোনা পানি দিয়ে থালাবাসন ধোয়া ও অন্যান্য কাজ করা হয়। আর খাওয়ার জন্য টিউবওয়েলের পানি সংগ্রহ করতে হয়। আজমীর আরও জানায়, এলাকায় নদীভাঙনের ভয় আছে। নদীভাঙন শুরু হলে তখন বাঁধের ওপর থাকা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। তাই ছোট্ট ভাইকে নিয়ে খুব 

চিন্তা হয় ওর।

গাবুরা ইউনিয়নের খোলপেটুয়া গ্রামের বাসিন্দা মাজেদা বেগমের (৪৫) ছোট মেয়ে সাবিনা। বয়স ৭। স্কুলের বারান্দায় যাওয়ার সুযোগ হয়নি এখনও। কারণ ঘরে থাকা বয়স্ক অন্ধ দাদিকে দেখাশোনা করতে হয়। গাঙের চরে ওদের বাস। ঘরের তিন পাশে পানি। বহুবার নদীভাঙনের শিক্ষার হয়েছে মাজেদার পরিবার। শিশু সাবিনা আদৌ লেখাপড়া করতে পারবে কি না নিশ্চয়তা নেই পরিবারের কাছে!

গাবুরায় সবচেয়ে সমস্যা হলো বিয়ে দেওয়ার সময় বেশিরভাগ পরিবার মেয়ের উপযুক্ত বয়স বিবেচনায় নেয় না। এলাকায় কম বয়সে বিয়ে হওয়ার প্রবণতা বা প্রথা অনেক আগে থেকেই। নয়টি ওয়ার্ডের মধ্যে ছয়টিতেই বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। গাবুরা দ্বীপটিকে বাঁচানোর জন্য চারপাশে কংক্রিটের ঢালাই গাবুরাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। কাজও শুরু হয়েছিল। গত জুনের মধ্যে কংক্রিটের বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অর্ধেকের কম কাজ হয়েছে। তাই লেবুবুনিয়া বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশের ভয়ে এলাকার শিশুসহ সবাই শঙ্কিত।

গাবুরা সুন্দরবন কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক হাফিজুল ইসলাম জানান, তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণিতে কয়েক মাস আগেও ৭৭ জন শিক্ষার্থী ছিল। এখন রয়েছে ৫৫ জন। ঝরে পড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, শুষ্ক মৌসুমে অনেক শিক্ষার্থী বাবা-মায়ের সঙ্গে এলাকার বাইরে ছয় মাসের জন্য ইটভাটায় কাজ করতে যায়। দারিদ্র্য ও অভিভাবকদের অসচেতনতা শিশুদের ঝরে পড়ার প্রধান কারণ। এলাকার শিশুদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি ‘গাবুরা শিশু অধিকার ফাউন্ডেশন’ করেছেন বলে জানান।

শ্যামনগরের আরেক প্রসিদ্ধ ইউনিয়ন মুন্সিগঞ্জ। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে যখন সুন্দরবনসংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ সেন্টার কালীনগর গ্রামের রাস্তা দিয়ে হাঁটছি তখন দেখা হয়ে গেল স্কুল থেকে ফেরা নিশাত তাসনিম, ইসরাত তাসনিম ও মারিয়ার সঙ্গে। তাদের প্রত্যেকের বয়স ১২ বছরের কাছাকাছি। তারা সাড়ে ৩ কিলোমিটার হেঁটে মুন্সিগঞ্জ বাজারের পাশে কলবাড়ি নেকজানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়তে আসে। বৃষ্টি হলে বিদ্যালয়ে আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়! ইসরাত জানায়, তাদের এক বান্ধবীর ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াকালে বিয়ে হয়ে গেছে। গ্রামে বিশুদ্ধ পানির সংকট আছে বলে তারা জানায়।

বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে শিশুসহ সব নাগরিকের অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা, চিকিৎসাকে মৌলিক মানবিক চাহিদা বা মৌলিক উপকরণ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জলবায়ুগত সমস্যার কারণে উপকূলের অনেক শিশু এসব মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত। ইউনিসেফের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপকূলীয় এলাকার ৪৫ লাখ শিশু ঘূর্ণিঝড়সহ তীব্র ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বুলবুল, আম্পান, সিত্রাং, মোখা, রিমালের মতো ঘূর্ণিঝড় উপকূলের মানুষকে একটু একটু করে পিছিয়ে দিচ্ছে। জলোচ্ছ্বাস, খরা, বন্যা, দাবদাহ, অতিবৃষ্টির মতো জলবায়ুগত সমস্যা এলাকার শিশুদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। দারিদ্র্যের কারণে উপকূলের অনেক শিশু বিদ্যালয়ের বারান্দা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছে না। জলবায়ুগত সমস্যা উপকূলে সুপেয় পানির অভাব, পুষ্টির অভাব, স্যানিটেশন সমস্যা বাড়িয়ে তুলেছে। এসব সমস্যা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করছে। অনেক শিশু বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ছে। শিশুরা মাছ ধরাসহ বিভিন্ন শ্রমের সঙ্গে যুক্ত হতে বাধ্য হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন বাল্যবিবাহ ত্বরান্বিত করছে।

মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কলবাড়ি নেকজানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিবাশীষ কুমার মণ্ডল জানান, শ্যামনগরজুড়ে শিশুদের ওপর জলবায়ুগত সমস্যার প্রভাব পড়েছে। লবণাক্ততার কারণে দ্রুত বয়ঃসন্ধিকাল চলে আসছে শিশুদের মধ্যে। বিভিন্ন সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সুযোগে বাল্যবিবাহ হচ্ছে।’ তিনি আরও জানান, তার বিদ্যালয়ে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে শিক্ষার্থীদের পানির চাহিদা মেটানো হয়। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে পানির টান লাগলে পানি কিনতে হয়। এ এলাকার অনেক গরিব শিক্ষার্থী পড়ালেখার পাশাপাশি আয়বর্ধক কাজের সঙ্গে যুক্ত।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শ্যামনগর উপজেলার ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) প্রোগ্রাম অফিসার প্রণব বিশ্বাস জানান, শ্যামনগরের বিভিন্ন এলাকায় সুপেয় পানির অভাব রয়েছে। লবণাক্ততার কারণে শিশুদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে অল্প বয়সে বয়ঃসন্ধিকাল চলে আসছে।’ শিশুশুম ও বাল্যবিবাহ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাতক্ষীরায় বাল্যবিবাহের হার একটু বেশি। অনেক জায়গায় গোপনে বাল্যবিবাহ হওয়ার অনেক পরে আমরা জানতে পারি। এলাকায় শিশুশ্রম নেই তা বলব না। অভাবের কারণে দালালদের খপ্পরে পড়ে বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও ইটভাটায় যাওয়াসহ বিভিন্ন কাজে যুক্ত হচ্ছে। আমরা শিশুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছি।’

লেখক : জলবায়ু ও পরিবেশ কর্মী

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা