লেখা ও আঁকা : তৌকির মোহাইমিন
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১২:৪৫ পিএম
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:০৮ পিএম
একসময়ের বিলাতের খুব নামকরা চকলেট ফ্যাক্টরি ছিল ওয়েলিস, এখানের চকলেটের স্বাদ খুবই অতুলনীয়। এর স্বাদ এবং গন্ধের জন্য এ চকলেটের সুনাম দিনদিন দেশবিদেশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। হঠাৎ দেখা গেল বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের অসুখ হচ্ছে, তারপর এ অসুস্থতার কারণ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় নিরো নামে এক ডিটেকটিভকে, নিরো খুব মজার মানুষ ছিল। নিরোর সঙ্গে কাজ করার জন্য রিকি রাজি হয়। তারপর নিরো আর রিকি বিভিন্ন কারণ অনুসন্ধান করে কোনো ফল বের করতে পারে না। তারপর তারা চিন্তা করে ওয়েলিস ফ্যাক্টরিতে যাবে। গোয়েন্দা হিসেবে ঢুকতে চাইলে ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ তাদের অনুমতি দেয় না। তারপর তারা সিদ্ধান্ত নেয় প্রায় ১০ মিটার দূরে লেকের পাশে একটি ড্রেন আছে। ওই ড্রেন দিয়ে তারা ফ্যাক্টরিতে ঢুকবে, তারা সেভাবেই ড্রেন দিয়ে যেতে থাকল, যেতে যেতে গন্ধে তাদের নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম। অনেক কষ্টে তারা ড্রেন দিয়ে ফ্যাক্টরিতে প্রবেশ করে। তারপর তারা ম্যানেজারকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করে তার আইডি কার্ড নিয়ে নেয়। তারপর দেখে যে ওখানে দুই ধরনের চকলেট বানানো হয়। একটি ভালো দুধ দিয়ে। আর অন্যটি হালকা নষ্ট দুধের সঙ্গে কিছু কেমিক্যাল মিলিয়ে যা খেতে আরও বেশি সুস্বাদু হয়। কিন্তু এটা খেয়েই বাচ্চারা অসুস্থ হচ্ছিল, তাই তারা পুলিশকে কল দেয়। সবাই নিরো আর রিকিকে অনেক ধন্যবাদ জানায়। কিছুদিন পরে আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন একটি ফ্যাক্টরি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর নাম স্টারলি। এরা ভালো জিনিস দিয়েই ওই চকলেট প্রস্তুত করতে থাকে। স্টারলি চকলেট খেয়ে শিশুরা আর অসুস্থ হতো না।চতুর্থ শ্রেণি, বরিশাল জিলা স্কুল