ওয়াসি তানজীম
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:১০ পিএম
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:১১ পিএম
শেভের পর যদি যথাযথ যত্ন না নেওয়া হয়, তবে ত্বকে জ্বালাপোড়া, লালচে দাগ, র্যাশ এবং ইনগ্রোন হেয়ারের মতো সমস্যা হতে পারে। তাইতো শেভের পর নিতে হবে ত্বকের যত্ন।
শেভ করার পর ছেলেদের ত্বকের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শেভ করার সময় ত্বকের ওপর বেশ চাপ পড়ে এবং রেজার ব্যবহার করার ফলে ত্বক শুষ্ক ও সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে। শেভের পর সঠিক যত্ন না নিলে ত্বকে র্যাশ, জ্বালাপোড়া, লালচে দাগ বা ইনগ্রোন হেয়ার (আটকে থাকা লোম) হতে পারে।
ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোয়া
শেভ করার পর ত্বকের রোমকূপ (পোরস)
খুলে যায়। তাই শেভের পর প্রথম কাজ হলো ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোয়া। এটি ত্বকের রোমকূপগুলো
বন্ধ করে এবং শেভের সময় সৃষ্ট ক্ষুদ্র ক্ষতগুলো শান্ত করে। ঠাণ্ডা পানি ত্বকে প্রশান্তি
এনে দেয় এবং জ্বালা কমায়।
মৃদু ফেসওয়াশ ব্যবহার
ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর,
একটি মৃদু ফেসওয়াশ বা ক্লিনজার ব্যবহার করুন; যা ত্বকের অবশিষ্ট তেল, ময়লা এবং শেভের
ফলে তৈরি হওয়া মৃতকোষ দূর করতে সাহায্য করে। এটি ত্বক পরিষ্কার এবং সতেজ রাখবে।
অ্যালকোহলবিহীন আফটার শেভ ব্যবহার
অনেক আফটার শেভ অ্যালকোহলযুক্ত
থাকে, যা ত্বককে শুষ্ক করে তুলতে পারে এবং জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে। তাই অ্যালকোহলবিহীন
আফটার শেভ বেছে নিন, যা ত্বককে জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি ত্বককে হাইড্রেট এবং প্রশান্ত
রাখবে। আফটার শেভ ত্বকের জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে এবং শেভের ফলে ত্বকে তৈরি হওয়া
ছোটখাটো কাটা বা ক্ষত দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা বা চাগাছের তেল সমৃদ্ধ
আফটার শেভ ব্যবহার করতে পারেন।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার
শেভের পর ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে
পারে, তাই ত্বককে আর্দ্র রাখতে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এটি ত্বককে
মসৃণ, নরম এবং স্বাস্থ্যকর রাখবে। ত্বক অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন, বিশেষ করে
যদি ত্বক শুষ্ক বা সংবেদনশীল হয়। অ্যালোভেরা বা কোকো বাটার সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ভালো
কাজ করে।
সানস্ক্রিন ব্যবহার
যদি শেভের পর বাইরে যেতে হয়, তাহলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। শেভের পর ত্বক সূর্যের রশ্মির জন্য আরও সংবেদনশীল হয়ে ওঠে, তাই SPF ৩০ বা তার বেশি সানস্ক্রিন লাগিয়ে বের হওয়া উচিত। এটি ত্বককে রোদে পোড়া বা কালচে হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে।
ইনগ্রোন হেয়ারের প্রতিরোধ
শেভ করার সময় লোম ত্বকের ভেতরে ঢুকে যায়, যাকে ইনগ্রোন হেয়ার বলে। এটি প্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিতভাবে ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে হবে। মৃদু স্ক্রাব ব্যবহার করে ত্বকের মৃতকোষ দূর করলে ইনগ্রোন হেয়ার কম হয়। তবে খুব বেশি ঘষা বা জোরে না করা ভালো।
ত্বক বিশ্রাম দিন
প্রতিদিন শেভ করা এড়িয়ে চলুন। কারণ প্রতিদিন শেভ করলে ত্বকের ওপর চাপ পড়ে। ত্বককে মাঝেমধ্যে বিশ্রাম দিতে দিন, যাতে প্রাকৃতিকভাবে পুনরুদ্ধার হতে পারে।
নরম তোয়ালে ব্যবহার
শেভের পর মুখ মুছতে নরম তোয়ালে
ব্যবহার করুন এবং আলতোভাবে ত্বক মুছুন। শক্ত তোয়ালে দিয়ে ঘষলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করলে শেভের পর ত্বক সুস্থ, মসৃণ ও স্বাস্থ্যকর থাকবে।