গোলাম কিবরিয়া
প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:১৮ পিএম
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:১৯ পিএম
পরিবেশবান্ধব পর্যটনের ধারণা ছড়িয়ে দিতে জিমরান প্রশিক্ষণ কর্মশালা এবং সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে ছবি: সংগৃহীত
দেশে অনেক স্বপ্নবাজ তরুণ রয়েছে। অনেক তরুণ পায়ে হেঁটে নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কারের চেষ্টা করছে। কেউ কেউ সাহসিকতার সঙ্গে পাহাড়-পর্বতের চূড়ায় আরহণ করে লাল-সবুজের পতাকা উঁচু করে ধরছে। তাদের মধ্যে অনেকে দেশের পাহাড়-পর্বত ছাপিয়ে এভারেস্টের চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা উঁচু করে ধরার স্বপ্ন দেখছে।
আবার কেউ কেউ দেশের নদ-নদী, পাখ-পাখালি, জীববৈচিত্র্য নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজ করছে। তেমনই এক স্বপ্নবাজ তরুণ জিমরান মো. সায়েক। যিনি দেশের প্রকৃতিকে ভালোবাসেন। তাই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন পর্যটন নিয়ে। পরিবেশবান্ধব পর্যটন এলাকায় প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের কোনো প্রকার ক্ষতি না করে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপলব্ধি, উপভোগ ও অধ্যয়নের নাম হলো ইকো-ট্যুরিজম। ইকো-ট্যুরিজম পর্যটনের এমন একটি উন্নয়ন ধারণা, যা পরিবেশের সুরক্ষা ও সংরক্ষণ, পরিবেশগত ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এবং স্থানীয়দের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিকাশের নিশ্চয়তা প্রদান করে।
অপরিকল্পিত পর্যটনের পরিবেশগত প্রভাব মোকাবিলায় অনুপ্রেরণামূলক প্রচেষ্টায় জিমরান মো. সায়েক তরুণদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। টেকসই পর্যটন অনুশীলন সম্পর্কে যুবসমাজকে শিক্ষিত করার জন্য, তিনি দেশব্যাপী একটি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এর যোগাযোগ সমন্বয়কারী জিমরান প্রশিক্ষণ কর্মশালা এবং জনসচেতনতামূলক প্রচারণার মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের ধারণা ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস জিমরানের নেতৃত্বে পরিবেশ সংরক্ষণে তরুণদের ক্ষমতায়ন এবং পর্যটন খাতে টেকসই অনুশীলনের প্রচারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। জিমরান এবং তার দল দেশের বিভিন্ন পর্যটন এলাকা, বিশেষত যেগুলো অপরিকল্পিত পর্যটনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন। জিমরানের কৌশলের মূল দিক হলো বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা। এ অংশীদারত্বের মাধ্যমে তরুণদের মাঝে টেকসই পর্যটনের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষাদানের উদ্যোগ চলছে।
একাধিক জেলাজুড়ে চলমান এ প্রচারণায় স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে টেকসই পর্যটনকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। এ ছাড়া পরিবেশবান্ধব পর্যটনের ধারণা ছড়িয়ে দিতে জিমরান ও তার দল প্রশিক্ষণ কর্মশালা এবং সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এ কর্মশালাগুলোতে পরিবেশগত প্রভাব, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার, এবং স্থানীয় সম্প্রদায়কে পর্যটনে সংযুক্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়াও, সামাজিক মিডিয়া এবং স্থানীয় ইভেন্টের মাধ্যমে তরুণদের কাছে এ বার্তাগুলো পৌঁছানো হচ্ছে।
জিমরানের টেকসই পর্যটন উদ্যোগগুলোর ইতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যেই পরিলক্ষিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় তরুণেরা পরিবেশবান্ধব ভ্রমণ পদ্ধতি গ্রহণ করছে, যার ফলে পরিবেশগত ক্ষতির হার কমেছে। জিমরানের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য হলো, এ আন্দোলনকে আরও বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে দেওয়া এবং প্রত্যন্ত এলাকায় সম্প্রসারণ করা। ইয়ুথনেট এ প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করছে, যা তরুণদের টেকসই পর্যটনে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করছে।