ফারহানুর রহমান
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৫৪ এএম
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১২:৩৭ পিএম
ছবিটি এঁকেছে প্রযত রায়। সে মানিকগঞ্জ ৮৮ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী
ফারহান ও আয়মান দুই ভাই। ফারহান বড়, আয়মান ছোট। ফারহান ঘুম থেকে দেরিতে ওঠে। কিন্তু ছোট ভাই খুব সকালেই ওঠে। ফারহানকে ওর মা বারবার বলার পরও সে কোনো কথা কানে নেয় না। স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হবে। ঘোষণা দেওয়ার পর ফারহান নাম লেখাল। একই স্কুলে আয়মানও পড়ে। তাই সেও নাম লেখাল। যথারীতি খেলার দিন আয়মান বারবার ফারহানকে ডাকছে আগে ওঠার জন্য আর তৈরি হতে। দেরিতে হলেও দুই ভাই স্কুলে পৌঁছায় খেলা শুরুর আগেই। খেলায় দুই ভাই প্রথম পুরস্কার পেল। ফারহানের বন্ধুরা আয়মানকেও খেলায় নেয় কিন্তু দুধভাত বানিয়ে রাখে। আয়মান মনে মনে খুব রাগ করে ভাইয়ের ওপর, কিন্তু মুখে বলে না। একদিন বাবা-মা কেউ বাসায় নেই, রাতে তারা একা ঘুমাবে। লাইট জ্বলতে থাকলে ঘুম আসে না আবার নেভালেও ভয় লাগে। সাহস করে লাইট নিভিয়ে দিল। ফারহান হঠাৎ মাঝরাতে দেখল একটা ভূত উড়ছে তাদের পায়ের কাছে। আয়মানকে ডাকলেও সে সাড়া দেয়নি। ভয়ে ফারহান শব্দও করছে না শুধু কুঁকড়ে আছে আয়মানকে জড়িয়ে। চোখগুলো বন্ধ করে শুধু আল্লাহর নাম ডাকছে। ফারহান সারা রাত ঘুমাতে পারেনি। একসময় রাত কেটে ভোর হলো। আলো ফুটে উঠলে দেখল পাশের বাড়ির বারান্দায় একটি পাঞ্জাবি হ্যাঙ্গারে ঝোলানো। তাদের ঘরে ডিমলাইট জ্বলে ছিল সারা রাত। আর সে আলোর বিপরীতে থেকে পাঞ্জাবিকে মনে হয়েছিল ভূত। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল এখন থেকে নিয়মিত ভোরে উঠবে। আয়মান রাতের ঘটনা শুনে হো হো করে হেসে উঠল আর বলল, খারাপ হলেও বড় ভাইয়ের সকালে ঘুম থেকে ওঠার ভালো অভ্যাস হলো।
পঞ্চম শ্রেণি, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়, মিরপুর, ঢাকা