নাকিব নিজাম
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:২২ এএম
ছবি : সংগৃহীত
বিদেশে যাওয়ার পথে যা যা নিতে হবে তার একটি তালিকা তৈরি করুন। ক্যারি-অন ব্যাগ বা যে ব্যাগটি বিমানে নিজের সঙ্গে রাখবেন সেখানে টাকা-পয়সা, গয়নাগাটি, ভ্রমণ ও চাকরি-সংক্রান্ত কাগজপত্র রাখবেন। চেক-ইন ব্যাগ বা যে ব্যাগটি বিমানে দেবেন, সেই ব্যাগ ওজন করবেন এবং ২০ কেজি ওজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবেন। ব্যাগটি দড়ি বা প্যাকিং টেপ দিয়ে শক্ত করে বেঁধে নেবেন, যাতে যাত্রাকালে ব্যাগ ছিঁড়ে না যায়। ভ্রমণের জন্য হালকা কিন্তু শক্ত উপাদান দিয়ে তৈরি এবং ভালো তালার ব্যবস্থাসহ ব্যাগ কিনবেন।
প্রতিটি ব্যাগে নাম-ঠিকানা ও ফোন নম্বর লিখে রাখবেন। মনে রাখবেন, অপরিচিত ব্যক্তির দেওয়া কোনো জিনিসই বহন করবেন না।
ইমিগ্রেশন : কাউন্টারে প্রার্থীর পাসপোর্ট, ভিসা, জনশক্তি ব্যুরোর ছাড়পত্র ইত্যাদি পরীক্ষা করে সঠিক থাকলে কেবল পাসপোর্ট সিলমোহর করে প্রার্থীকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। সেখানে বিমানে আরোহণের আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এর পর ইমিগ্রেশনের সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়ান। আপনার পাসপোর্ট, ভিসা, ইমিগ্রেশন/ডিসএম্বারকেশন, কাস্টমস ফরমসহ তৈরি থাকুন। অফিসার আপনার পাসপোর্টে ওই দেশে গমনের তারিখসহ সিল দিয়ে দেবেন।
বিমানে কী করবেন : বিমানে আরোহণের আগে মাইক্রোফোনে ঘোষণার পরই বোর্ডিং-কার্ড হাতে নিয়ে বিমানের দিকে অগ্রসর হতে হয়।
বিদেশে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে করণীয় : ব্যাগ সংগ্রহের জন্য কনভেয়ার বেল্টের সামনে দাঁড়ান। কনভেয়ার বেল্টের ওপর ফ্লাইট নম্বর দেওয়া থাকবে।
কাস্টমস : আপনার কাস্টমস ডিক্লারেশন ফরম দিন। কাস্টমস অফিসার চাইলে ব্যাগ খুলে দেখান।
হারানো ব্যাগ খোঁজা : বেল্টে ব্যাগ না পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষকে জানান এবং ক্লেইম ফরম পূরণ করুন। প্রয়োজনে তথ্যকেন্দ্রের সহায়তা নিন।