প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৩৮ এএম
তরুণদের পাঁচটি উদ্ভাবনী আইডিয়াকে ৫০ হাজার টাকা করে ফেলোশিপ প্রদান করা হয় ছবি: সংগৃহীত
তরুণদের উদ্ভাবনী চিন্তা কাজে লাগিয়ে টেকসই জ্বালানি রূপান্তরের লক্ষ্যে আয়োজিত এনার্জি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ বুটক্যাম্পের সমাপ্তি হয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর। সমাপনী আয়োজনে তরুণদের পাঁচটি উদ্ভাবনী আইডিয়াকে ৫০ হাজার টাকা করে ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।
পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (প্রান) ও অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা ২০ তরুণ উদ্ভাবকের অংশগ্রহণে ঢাকার মিরপুরে আলোক ট্রেনিং সেন্টারে তিন দিনের এ বুটক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনস কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েট বাংলাদেশের ফারাহ আনজুম, তারা ক্লাইমেট ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার সুহা তাবিল, ক্যাম্পেইন ফর সাসটেইনেবল লাইভলিহুড সিএসআরএলের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক মুক্তাসহ অনেকে।
দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, স্থানীয়ভাবে জ্বালানি সংকট হ্রাস, দেশের জ্বালানি সার্বভৌমত্ব নিশ্চিতকরণ, জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই জ্বালানিতে সবার প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে তরুণদের উদ্ভাবনী আইডিয়াকে প্রণোদনা দেওয়ার মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে ২০২৩ সাল থেকে নিয়মিত এ এনার্জি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ আয়োজিত হয়। এ বছর সারা দেশে তরুণদের কাছ থেকে প্রাপ্ত ১২৪টি আইডিয়া থেকে বিশেষজ্ঞদের যাচাইবাছাইয়ের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৩টি আইডিয়া নিয়ে তরুণ উদ্ভাবকরা একক এবং দলগতভাবে এ বুটক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন।
তিন দিনব্যাপী বুটক্যাম্পের প্রথম দিন অংশগ্রহণকারীরা ন্যায্য রূপান্তরে তরুণদের করণীয়, বাংলাদেশে জ্বালানি রূপান্তরের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নীতিকৌশলবিষয়ক বিভিন্ন আলোচনা ও সেশনে অংশগ্রহণ করেন। একই দিনে তরুণ উদ্ভাবকদের আইডিয়া প্রটোটাইপ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়; যার মধ্য দিয়ে মেন্টরশিপের মাধ্যমে উদ্ভাবনগুলোর উত্কর্ষসাধনের সুযোগ তৈরি হয়। ক্যাম্পের দ্বিতীয় দিনে উদ্ভাবকরা জুরি বোর্ডের কাছে তাদের আইডিয়া উপস্থাপন করেন।
বুটক্যাম্পে আগত আইডিয়াগুলোর মধ্যে পাঁচটি সেরা আইডিয়াকে ৫০ হাজার টাকা সমমূল্যের ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। সেরা আইডিয়া যাচাইবাছাইয়ে জুরি প্যানেলে অংশ নেন বাংলাদেশ সৌরবিদ্যুৎ প্রসারের পথিকৃৎ দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া, স্রেডার সহযোগী পরিচালক আবদুল্লাহ-আল মামুন ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রভাষক মো. শিহাব উদ্দিন।