ফারহাত মাইশা অর্পা
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৪৯ পিএম
লক্ষ্যে পৌঁছতে প্রয়োজন স্বপ্নপূরণের তাড়না। আজ জেনে নেওয়া যাক স্বপ্নপূরণের পাঁচটি ধাপ সম্পর্কে। লিখেছেন ফারহাত মাইশা অর্পা
আত্মবিশ্বাস
হেলেন কেলার বলেছিলেন, Optimism is the faith that leads to achievement. Nothing can be done without hope and confidence. জীবনে নিজের স্বপ্নগুলো বাস্তবে রূপ দিতে আত্মবিশ্বাস অত্যন্ত জরুরি। এ আত্মবিশ্বাসের জোরে আপনি জয় করে নিতে পারবেন অনেক অসম্ভব কিছু। আপনি আপনার স্বপ্নপূরণের যোগ্যতা রাখেনÑএ বিষয়টি আপনার নিজেকে উপলব্ধি করতে হবে। কেননা আপনি নিজেই যদি নিজের প্রতি আস্থা স্থাপন করতে না পারেন, তবে অন্য কেউই আপনার প্রতি আস্থা রাখবে না। তাই নিজেকে জানুন ও নিজের প্রতি নিজের আত্মবিশাস বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যান।
পরিকল্পনা
যেকোনো লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত হচ্ছে সঠিক পরিকল্পনা। প্রথমেই সিদ্বান্ত নিন আপনার জীবনের লক্ষ্য কী বা আপনি জীবনে নিজেকে কোন অবস্থানে দেখতে চান? জীবনের লক্ষ্য স্থির করার পর এবার পরিকল্পনা করুন কীভাবে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছে যেতে পারবেন। যেমন আপনি যদি ঢাকা থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তবে আপনাকে পরিকল্পনা সাজাতে হবে কীভাবে সহজে ও দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারবেন। সে অনুসারে এগিয়ে গেলে আপনি অবশ্যই আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন।
ধৈর্য
ধৈর্য জীবনে সফলতার মূলমন্ত্র। জীবনে সফল হতে হলে পার করতে হবে অনেক চড়াই-উতরাই। এর মাঝে ধৈর্য হারিয়ে ফেলবে চলবে না। কেননা মানুষ কল্পনা করে পরিশ্রম করলে কল্পনার চাইতেও বাস্তবে বেশি সফলতা লাভ করা সম্ভব হয়। মানুষের মস্তিষ্ক অনেকটা কম্পিউটারের মতো কাজ করে। আপনি যদি চিন্তা করেন জীবনে সফল হতে চান, তবে আপনার মস্তিষ্ক আপনাকে সে রকমভাবে সিগন্যাল দেবে। যার ফলে আপনিও সে অনুযায়ী কাজ করা শুরু করবেন। কিন্তু ব্যর্থ হলে আপনি যদি হাল ছেড়ে দিয়ে বসে থাকেন, তবে কি সফল হতে পারবেন? যেমন ধরুন একজন স্কুলশিক্ষক এক ছাত্রকে বলেছিলেন, তুমি জীবনে কিছুই হতে পারবে না। সে ছেলেটি যদি ধৈর্য হারিয়ে অবিরাম চেষ্টা না চালিয়ে যেত, তবে বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের জন্ম হতো না। তাই যত বাধাই আসুক না কেন, কোনো অবস্থায়ই ধৈর্য হারিয়ে ফেলা উচিত নয়।
পরিশ্রম
আপনি কেবল স্বপ্ন দেখলেন, কেবল সেই স্বপ্নপূরণের পরিকল্পনা করলেন কিন্তু কাজ করলেন না। তবে কি আপনি জীবনে সফল হতে পারবেন? অবশ্যই না। এ ক্ষেত্রে আপনাকে স্বপ্নপূরণের জন্য দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করার মনমানসিকতা তৈরি করে নিতে হবে। নিজেকে প্রাধান্য দিতে হবে সবার আগে এবং নিজের স্বপ্নগুলো রাখতে হবে প্রথম স্থানে। স্বপ্নগুলোকে প্রাধান্য দিতে গেলে বাদ পড়ে যাবে পছন্দের অনেক বিষয়। আমরা বলে থাকি, ‘পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি’। পরিশ্রম কখনও বৃথা যায় না। আজ আপনি যেভাবে পরিশ্রম করছেন, কাল কোনো না কোনোভাবে তার ফল উপভাগ করবেন।
সময়
নিজের স্বপ্নপূরণের আরেকটি দিক হচ্ছে সময়ের গুরুত্ব দেওয়া। সময়ের গুরুত্ব ও কাজের গুরুত্ব দুটি বিষয়ই অত্যন্ত জরুরি। যেকোনো কাজই যখন আপনি করতে যাবেন সেটি গুরুত্বসহকারে করার চেষ্টা করুন। একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে গেলে কোনো কাজই পরিপূর্ণভাবে শেষ হবে না বা কাজের মান কখনও ভালো হবে না। তাই যখন যে কাজটি করবেন, গুরুত্বসহকারে করার চেষ্টা করুন। সময়কে বুঝতে শিখুন, সময়ের সঙ্গে তাল মেলানোর চেষ্টা করুন। আজ না হয় কাল আপনার স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবেন।