কান্ডারির মানববন্ধন
গোলাম কিবরিয়া
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:০১ পিএম
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:০১ পিএম
টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে সামাজিক সংগঠন কান্ডারি দেলুটি ইউনিয়নের দারুন মল্লিক বাজারে মানববন্ধন করে ছবি: কান্ডারি
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বারবার বিধ্বস্ত হয় দেশের উপকূলীয় এলাকা। নদীর পানি বৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসে সবচেয়ে বেশি সংকট দেখা দেয় উপকূলজুড়ে। ২৪ অগাস্ট খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নে বাঁধ ভেঙে ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এর ফলে ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তাদের আশ্রয় নিতে হয়েছে খোলা আকাশের নিচে রাস্তায়।
প্লাবিত গ্রামগুলো হলো কালীনগর, দারুন মল্লিক, গোপী পাগলা, তেলিখালী, সৈয়দখালী, খেজুরতলা, সেনের বেড়, হাটবাড়ি, ফুলবাড়ী, বাগীরদানা, দুর্গাপুর, হরিণখোলা ও নোয়াই। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের কারণে মানবেতর জীবন কাটাতে হয়েছে স্থানীয়দের। পাইকগাছার প্রত্যন্ত জনপদে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছে তরুণদের সংগঠন কান্ডারি। কান্ডারির প্রতিষ্ঠাতা আফসার আলভী বলেন, ‘বাঁধ ভাঙা যেন এখানে একটা নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় লোকজন নিয়ে বাঁধগুলো সংস্কারের চেষ্টা করলেও ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে সে সংস্কার আদতে টিকতে পারে না। কথা হলো এভাবে আর কত?’
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, তারা মাছ চাষ আর কৃষিকাজ করে খান, বাঁধ ভাঙলে প্রতিবার তাদের নানা ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রতি বছর বাঁধ ভাঙলে সবাইকে বারবার সাহায্য করা যায় না। সবার পক্ষে সম্ভবও হয় না। তাই গ্রামবাসীর আশা- ত্রাণ নয়, টেকসই বাঁধ চাই। এ লক্ষ্যে সামাজিক সংগঠন কান্ডারি দেলুটি ইউনিয়নের দারুন মল্লিক বাজারে ২৭ সেপ্টেম্বর মানববন্ধন করে। পাশাপাশি সংগঠনটি ১ হাজার ৫০০ মানুষকে ফ্রি মেডিকেল সেবা, নতুন কাপড় আর মহিলাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন দেয়।
আলভী জানান, ‘তিন দিন আমরা কার্যক্রম করেছি। এ তিন দিন মানুষকে কাপড় দিয়েছি। পাশাপাশি পুনর্বাসন নিয়ে কাজ শুরু করেছি। ইতঃপূর্বে বাঁধ ভাঙায় ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজারের বেশি মানুষকে আমরা ত্রাণ দিয়েছি। ৪০০ মানুষকে বেডিং দিয়েছি। আমাদের সার্বিক সহায়তায় ছিল প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন, আযিমুর রোকিয়া রাহমান ট্রাস্ট, এবি ব্যাংক।’