গল্প
ফরিদুর রেজা সাগর
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৫৩ পিএম
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৫৪ পিএম
গল্পের সঙ্গে সুন্দর এ ছবিটি এঁকেছে অর্নিলা ভৌমিক
মা মায়রনকে জিগ্যেস করলেন, বলো তো মা, বুবাইয়ের চুলের রঙ কী?
বুবাই মানে মায়রনের নানি। মায়রন জবাব দিল- কালো।
বাঃ! তুমি তো দেখি রঙ চিনতে শুরু করেছ।
বলো তো মা, বাতাসের রঙ কী?
এটা তো আমার টিচারকে জিগ্যেস করতে হবে।
কেন?
কারণ আমার টিচার কোনো রঙ চেনেন না।
কী বলো! সত্যি
হ্যাঁ। ক্লাসে উনি নীল রঙকে বললেন, নীলো, লালকে বললেন, লালো।
তাই নাকি? কিন্তু তোমাদের টিচার তো ঠিকই বলেছেন।
কেন? মায়রন জানতে চায়।
তোমার টিচার তো বিদেশি। তাই বাংলা বলেন একটু অন্যভাবে। সেজন্যই লাল হয়ে যায় লালো, নীল হয়ে যায় নীলো।
না মা, টিচার কিন্তু রঙ চেনেন না। টিচার বলে হলোদ। বলেই হাসতে থাকে মায়রন। মায়রন ছোট্ট ছেলে। মাত্র নার্সারিতে পড়ে। এখনই সে পাকা পাকা কথা বলেন। বুবাইয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে। নানাভাইকে জ্বালাতন করে। মায়রা ওর বোন। দুজনে নানাভাইয়ের সঙ্গে খেলাধুলা করে। নানাভাই গল্প বলেন। ওরা মন দিয়ে শোনে। মা যখন বললেন, মায়রন এবার বলো তো নানাভাইয়ের চুলের রঙ কী?
মায়রন তখন হাসতে থাকে।
নানাভাইয়ের মাথায় আবার চুল আছে নাকি?
এ্যাই ছেলে আমার বাবার মাথায় চুল নাই, কী বলো তুমি? কিছু চুল আছে।
নানাভাইয়ের চুল তো বড় হয়ে গেছে। পেছনে একটু লম্বা চুল আছে। মা, আমি নানাভাইয়ের চুল কেটে দেব।
দাও।
মায়রন তখন খেলনার বাক্স থেকে প্লাস্টিকের কাঁচি বের করে। খুব যত্ন করে নানাভাইয়ের চুল কাটতে লাগল। মায়রন তখন বলল, নানাভাইয়ের কালো চুল বেশি। সাদা চুলও আছে কিছু কিছু। মায়রনের কথা শুনে মা হাসতে লাগলেন। মায়রন আপন মনে নানাভাইয়ের মাথায় খেলনা কাঁচি দিয়ে চুল কাটায় মহাব্যস্ত।
গল্পের সঙ্গে সুন্দর এ ছবিটি এঁকেছে অর্নিলা ভৌমিক। সে ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী