গল্প
নীলাদ্রি রাজ সাহা
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৪৭ পিএম
আঁকা: নীলাদ্রি রাজ সাহা
অনেক দিন আগের কথা। এক শহরে থাকত ছোট্ট একটি ছেলে। তার নাম রাম। সে তার মা-বাবার সঙ্গে থাকত। রাম ছিল খুব দয়ালু ও পরোপকারী এবং পাখিপ্রেমিক। ও পশুপাখি বড্ড ভালোবাসত।
একদিন রাম গেল তার বন্ধু সৌরভের বাড়ি নেমন্তন্ন খেতে। সেখানে গিয়ে সে অনেক আনন্দ করে। সেখানে তার চোখ পড়ল সৌরভের পোষা পাখিটির ওপর। পাখিটিকে খাঁচায় দেখে রাম অনেক কষ্ট পেল। বাসায় এসে সে পাখিটি নিয়ে ভাবতে লাগল। পাখি তো আমাদের প্রাণিজ সম্পদ। এ সম্পদ রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। তা ছাড়া পাখি আমাদের পরিবেশের সৌন্দর্য ও ভারসাম্য রক্ষা করে। পরদিন বিকালে সৌরভের বাসায় গিয়ে সে সৌরভকে বুঝিয়ে বলল, পাখি আমাদের খাঁচায় রাখা উচিত নয়।
রাম সৌরভকে বলল, তুমি কি জানো পাখি আমাদের পরিবেশের কত উপকার করে। পাখি ফসলের কীটপতঙ্গ খায় এবং ময়লা-আবজনা খেয়ে পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে। ফলে পরিবেশ দূষণমুক্ত থাকে। ভাবো তো তুমি যদি খাঁচায় বন্দি থাকতে তবে তোমার কেমন লাগত? সৌরভ বলল, খুবই খারাপ লাগত। মাথা ঝুঁকিয়ে বলল, হ্যাঁ, তুমি ঠিক বলেছ রাম। আমাদের এখন পাখিটাকে আকাশে উড়তে দেওয়া উচিত। এ ছাড়া পাখি আকাশেই ভালো লাগে। রাম ও সৌরভ পাখিটাকে উড়িয়ে দিল। সৌরভ পাখিটার বন্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি দিল এবং তা দেখে তাদের খুবই ভালো লাগছে। এমন সময় সৌরভের মা এসে বলল, তাই তো কবি বলেছেন : ‘বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।’
পঞ্চম শ্রেণি, বিএএফ শাহীন কলেজ, ঢাকা