সারওয়ার-উল-ইসলাম
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৪ ১৮:০৯ পিএম
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৪ ১৮:৩৬ পিএম
অলংকরণ :জয়ন্ত সরকার
ভোর ও রাত
মন আকুল বাতাসে
দিন শেষে রাত
আসে
কাটাকুটি করে
রাত
ভরে ফেলে খাতা
সেÑ
দিন শেষে রাত
আসে।
পাখিদের কোরাসে
প্রতিদিন ভোর
আসে
ভোর আঁকে কত পাখি
শিখল না ওড়া সেÑ
রাত শেষে ভোর
আসে।
ছিনিমিনি
চিনি আর লবণের
ভীষণ খাতির
আয়োজন ছিল সেটা
চড়ুইভাতির।
দুজনের কথা যেই
উঠেছিল জমে
বাবুর্চি আসতেই
কথা যায় কমে।
মাংসে লবণ ঢালে
ফিরনিতে চিনি
ওদেরকে নিয়ে কেন
এত ছিনিমিনি!
মিছেমিছি
মাছি ভনভন
কাঁঠালের কোষ
খাচ্ছে কাঁঠাল
নন্দন ঘোষ।
কোষের ভেতরে
নেই তো বিচি
ছড়াটা লিখেছি
আমি মিছেমিছি।
চিরকালের ছবি
দূর আকাশে মেঘ,
কখন জানি ঝড় এসে
যায়
বাড়াচ্ছে উদ্বেগ!
দূরে কাশের বন,
ধোঁয়া ছেড়ে ট্রেন
ছুটেছে
আহ্লাদি হয় মন।
ট্রেন ঝিক্ ঝিক্
দুর্গা-অপু
বের হয় ঘর থেকে,
চিরকালের এই ছবিটা
মন ভালো হয় দেখে।
আষাঢ় দুপুর বৃষ্টি নূপুর
জানালা পুকুর
পাশে, আষাঢ় দুপুর
বিশাল পুকুরে
বাজে বৃষ্টি নূপুর।
পুকুরে দুচোখ
রাখি, দুচোখ জুড়ায়
দুটি কাক বসে
আছে হিজল চূড়ায়।
হিজল ভিজছে আহা
কাক করে কা কা
মাথায় বিশাল কার
কচু পাতা রাখা?
দূরে ধান ক্ষেত
ডোবে, কেউ ধরে মাছ
আষাঢ় দুপুরে দেখি
বৃষ্টির নাচ।
বৃষ্টিকে কে নাচায়?
আষাঢ় দুপুরে
একটানা নেচে যায়
কী মোহন সুরে!