দেব শংকর চক্রবর্তী
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৪ ১১:১০ এএম
আপডেট : ২০ জুন ২০২৪ ১১:১৫ এএম
এ সুন্দর ছবিটি এঁকেছে প্রযত রায়। মানিকগঞ্জ ৮৮ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী
রুপার ঘুম ভাঙল খুব ভোরে। কোকিলের ডাক হচ্ছে ওর অ্যালার্ম। এখন আর ওকে ডেকে তুলতে মায়ের দরকার পড়ে না। ও এমনি উঠে যায়। আর সকালে বই পড়া ওর অভ্যাস হয়ে গেছে। ওর পড়ার আওয়াজ শুনে বোন রুমাও উঠে পড়তে বসেছে। রুমাও পড়ছে গল্পের বই। তাই দেখে রুপা মুচকি মুচকি হাসছে। রুপার মন খুব কৌতূহলী। যেকোনো কিছু নিয়ে প্রশ্ন করা শুরু করে।
রুপা বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ করে। তা থেকে যা রোজগার হয় তার কিছুটা রুপার বাবা খুশি হয়ে রুপাকে খরচ করার জন্য দেয়। রুপা সে টাকাগুলো সঞ্চয় করে তার মাটির ব্যাংকে। একদিন অনেক বৃষ্টি হচ্ছে, ঝড় হবে বলে মনে হয়! রুপাদের ঘরটি বেশি শক্ত নয়। রুপার মায়ের ভয় হচ্ছে, যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে এবং তা-ই হলো। রুপার বাবার মাথায় হাত, এখন তারা কোথায় থাকবে? রুপার মা কান্না করছে। তাদের হাতে বর্তমানে এতটিও টাকা নেই যে ঘরটি আবার নতুনভাবে বানাবে।রুপা আর রুপার বোন কিছু একটা জড়িয়ে ধরে আছে। রুপার বাবা যখন টাকা ধার আনতে চাইল, তখন রুপার মা বলল, এত টাকা শোধ করবে কী করে? রুপা তখন এগিয়ে এসে বলল, আমি টাকা দেব। বাবা বলল, এত টাকা পাবি কোথায়? কেন, কৃষিকাজ থেকে করা সঞ্চয়। বাবা হেসে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বলল, এই না হলে আমাদের রুপা। সেই শুরু হলো রুপার বিশ্বজয়। এরপর রুপা পড়াশোনার হাত ধরে পথ চলতে লাগল। সে ছবি আঁকা, গান, নাচ, আবৃত্তি, লেখালেখি, খেলাধুলা, দৌড়ঝাঁপ, বিজ্ঞানের এক্সপেরিমেন্ট, ইংরেজিতে কথা বলা, হাতের কাজ, রান্নাবান্না, ফুল গাছের যত্ন, কৃষিকাজ তো আছেই। সে বলতে গেলে সবকিছুতেই পারদর্শী। তার ইচ্ছে পৃথিবীটাকে নতুন করে গবেষণা করার। নিজের জীবন পাল্টে ফেলার এবং সে তার সব ইচ্ছে পূরণ করেছে। আমরাও রুপার মতো হতে চাই।
সপ্তম শ্রেণি, খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন খান উচ্চ বিদ্যালয়, মানিকগঞ্জ