সায়েকা আহমদ মাহি
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৪ ১২:২২ পিএম
আপডেট : ৩০ মে ২০২৪ ১২:২৯ পিএম
গল্পের সঙ্গে সুন্দর ছবিটি এঁকেছে প্রযত রায়। সে মানিকগঞ্জ ৮৮ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী
বাবা বললেন, ‘ফলের দোকান থেকে ফল কিনে খাওয়া আর আত্মহত্যা করা একই কথা।’ আম্মু বললেন, ‘কিন্তু ফলের সময় চলে গেলে তো আর ফল খাওয়া যাবে না!’ এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হলো। শেষে সিদ্ধান্ত হলো, গ্রীষ্মের ছুটিতে আমরা দাদির বাড়িতে চলে যাব। দাদির বাড়ি শমশেরনগর। সেখানে প্রচুর ফলের গাছ আছে। শমশেরনগর রেলস্টেশনের কাছেই দাদির বাড়ি। বাসাও বলা যায়। কারণ ব্যস্ত শহরের ঠিক মাঝখানে দাদির এ গৃহটি। বাসার একটু সামনেই বিএএফ শাহীন কলেজ। বাসাটি অনেক বড়। ভেতরে প্রচুর ফলের গাছ আছে। পুকুরও আছে। আমরা পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে দাদি আমের জুস এবং জামের জুস খেতে দিল। আমি আমের জুস খেয়েছি। জামের জুস খেলাম এই প্রথম। তারপর দাদি আমাদের দিলেন সুস্বাদু লিচু। অসম্ভব মিষ্টি। এরপর নিয়ে এলেন কাঁঠাল। ফল খেতে খেতে আমার পেটটাই ভরে গেল।
বিকেলে দাদির ফলের বাগানে গিয়ে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বাসার পেছন দিকে শুধু গাছ আর গাছ। একটি কাঠবাদামের গাছও দেখালেন দাদি। আমি এর আগে কাঠবাদামের গাছ দেখিনি। আমার ছোট চাচা নারকেল গাছ থেকে ডাব পেড়ে আনলেন। প্রচণ্ড গরমে ডাবের সুস্বাদু মিষ্টি পানি পান করে পুরো শরীরটা শীতল হয়ে গেল। শরীরের হারানো শক্তিও ফিরে পেলাম।
দাদির বাসায় এক সপ্তাহ থেকে আমার ফল খাবার শখ মিটে গেল। হরেকরকম ফল খেয়ে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম এবার বাসায় গিয়ে বিভিন্ন ফলের গাছ
লাগাব। বাবাকে আর কখনও ফরমালিন দেওয়া ফল আনতে বলব না। কারণ ফরমালিন মেশানো আম খেয়ে অসুস্থ হয়ে আমার বড় মামা এক সপ্তাহ হাসপাতালে ছিলেন।