শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪ ২১:৫৮ পিএম
আপডেট : ০৪ মে ২০২৪ ২২:০২ পিএম
বাগেরহাটের শরণখোলায় চাষির হাতে কম্বাইন্ড হারভেস্টারের চাবি তুলে দেন সংসদ সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। প্রবা ফটো
আধুনিক প্রযুক্তি ও যান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের কৃষিখাতে অভাবনীয় সফলতা এসেছে। তাই সরকার ভর্তুকি দিয়ে কৃষকদের বিভিন্ন ধরণের যন্ত্রপাতি, সার, বীজ প্রণোদনার মাধ্যমে দিচ্ছে। এর ফলে দেশ এখন খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
শনিবার (৪ মে) শরণখোলায় কৃষকদের মধ্যে বিনা মূল্যে আউশ ধানের বীজ, সার এবং ভর্তুকির মাধ্যমে কম্বাইন্ড হারভেস্টার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ এসব কথা বলেন।
বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে দারিদ্রের হার অনেকটা কমে এসেছে। যে কারণে ভিজিডি, ভিজিএফ কার্ডধারীর সংখ্যাও কমে গেছে। শরণখোলায় আগে যেখানে সুবিধাভোগী ছিল ছয় হাজার, সেই সংখ্যা এখন দুই হাজারে নেমে এসেছে। এই চিত্র সারা দেশেই। সরকারের প্রণোদনায় কৃষিতে ব্যাপক উন্নয়নের ফলে এটি সম্ভব হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম তারেক সুলতানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ রশিদ আকন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রায়হান উদ্দিন শান্ত, ভাইস চেয়ারম্যান হাছানুজ্জামান পারভেজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাহিমা আক্তার হাসি, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার, খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন, সাউথখালী ইউপির চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন রাজিব প্রমুখ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খরিফ-১/২০২৪-২৫ মৌসুমে উফশী আউশ আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৮০০ চাষিকে বিনা মূল্যে ৫ কেজি করে বীজ ধান, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩০ লাখ টাকা মূল্যের দুটি কম্বাইন্ড হারভেস্টার ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে দেওয়া হয়েছে। এই কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে একই সঙ্গে ধান কাটা, মাড়াই ও ঝাড়াই করা যাবে। এই যন্ত্র ব্যবহারে এলাকার চাষিদের অর্থ ও সময়ের সাশ্রয় হবে। এ বছর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন।