× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ

গাফিলতি পাউবোর, ক্ষতি কৃষকের

মেহেদী হাসান সিয়াম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১২:২৬ পিএম

আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৩৮ পিএম

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে মহানন্দা নদী খননের বালুতে ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ। প্রবা ফটো

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে মহানন্দা নদী খননের বালুতে ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ। প্রবা ফটো

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গাফিলতিতে কৃষকের জমিতে ফসল চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। নাব্যতারক্ষায় খননের বালু নদীর তীরে ফেলে রাখায় কৃষকের প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে হচ্ছে না ফসল। দ্রুত বালুমাটিগুলো না সরালে আরও সংকটে পড়বেন বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। এদিকে কৃষকদের ব্যক্তিগত জমিতে নদীখননের বালু পড়ে থাকার কথা স্বীকার করেছে পাউবো।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মহানন্দা নদীর নাব্যতা ফেরাতে দুই বছর আগে খনন শুরু করে পাউবো। শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে গোমস্তাপুর উপজেলার প্রায় ৩৬ কিলোমিটার নদী খনন করা হয়। এর ব্যয় ধরা হয় ১৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। নদীখননের মাধ্যমে বালুমাটিগুলো দরপত্র আহ্বান করে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি বেশ কিছু স্থান থেকে বালুমাটি নিয়ে গেলেও এখনও অনেক জায়গায় রয়ে গিয়েছে। নজরদারি করার কথা থাকলেও তা করেনি পাউবো।

ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে গিয়ে দেখা যায়, মহানন্দা নদীর তীরবর্তী শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়নের রানিবাড়ি চাঁদপুর এলাকার গাবতলা ও চড়কতলা ও গোমস্তাপুর সদর ইউনিয়নের নদিয়াড়ি এলাকার ২৫ থেতে ৩০ জন কৃষকের জমি চাপা পড়ে গেছে খননের বালুর নিচে। দুই ফসলি জমিতে স্তূপ করে বালু পড়ে থাকায় উর্বরতা হারিয়ে অনাবাদি হয়ে গেছে জমিগুলো।

কৃষকদের দাবি, চাষাবাদের উপযোগী এসব জমিতে বালু ফেলায় ধান চাষ দূরের কথা অন্য কোনো ফসল বা সবজিও আবাদ করা যাচ্ছে না। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। এই ভোগান্তির কথা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার জানালেও তারা কোনো সমাধান দেয়নি। 

মহানন্দা নদীর তীরে প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে কয়েক ফুট করে বালুর স্তূপ আছে উল্লেখ করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক তরিকুল ইসলাম বলেন, নদীর তীরবর্তী জমিগুলোয় ধান-গমসহ অন্যান্য সবজি চাষাবাদ করা হয়। জমিগুলোয় এখন খননের বালুমাটি পড়ে থাকায় দুই বছর ধরে অনাবাদি। এ বিষয়ে বারবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়ে এলেও কোনো সমাধান হয়নি।

আরেক কৃষক ইসাহাক আলী বলেন, সরকারি টাকায় নদীখনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা খুবই ভালো উদ্যোগ। কিন্তু দুই বছর ধরে নদীর পারের একশ বিঘা জমি বালুর নিচে অনাবাদি পড়ে আছে। এ নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। দ্রুত বালুমাটিগুলো সরিয়ে অনাবাদি জমিগুলো চাষের উপযোগী করা হলে আমরা উপকৃত হব। 

চককীর্তি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, খননের বালুমাটি দুই বছর ধরে কৃষকদের জমিতে পড়ে আছে। এতে দুর্ভোগে আছেন নদীর পারের কৃষকরা। এ বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, নদী ড্রেজিংয়ের সময় সরকারি জায়গা ও ব্যক্তিগত অনেক জায়গায় বালু ফেলতে হয়েছে। খননের বালুমাটি পরবর্তী সময়ে দরপত্র আহ্বান করে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছু জায়গায় ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ায় নদীখননের দুই বছর পরেও ফসলি জমিতে বালু রয়েছে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা