× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

এফএফবি ও এমএসইউর সম্মেলন

আফ্রিকার চেয়ে বেশি ক্ষুধার্ত মানুষ এশিয়ায়

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ২২:১০ পিএম

আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ২২:২৯ পিএম

আফ্রিকার চেয়ে বেশি ক্ষুধার্ত মানুষ এশিয়ায়

খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার অভাব দক্ষিণ গোলার্ধে বসবাসকারী মানুষের অন্যতম সমস্যা। বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ অঞ্চলে বসবাস করে। ২০২১ সালের হিসাবে, আফ্রিকার ২৭৮ মিলিয়ন মানুষ খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ছিল। এশিয়ায় এ সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ- ৪২৫ মিলিয়ন। আর ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোতে এ সংখ্যা ছিল ৫৬.৫ মিলিয়ন। বিশ্বের অধিকাংশ অপুষ্টির শিকার মানুষের বসবাস এশিয়ায়। 

‘ক্লাইমেট অ্যাকশন অ্যান্ড ফুড সিস্টেম ট্রান্সফরমেশন ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ (এফএফবি) ও মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি (এমএসইউ) যৌথভাবে সম্মেলনটির আয়োজন করে, যা আগামী বৃহস্পতিবার শেষ হবে। 

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তার মণ্ডলের সভাপতিত্বে ও সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এফএফবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফ হোসেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এমএসইউর সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. জর্জ স্মিথ, এমএসইউর কলেজ অব অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্সেসের ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ড. করিম মেরাদিয়া প্রমুখ। সেমিনারে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।

বক্তারা এই অঞ্চলজুড়ে খাদ্যনিরাপত্তার জন্য বেশ কয়েকটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রস্তাবগুলো হলো, উৎপাদনশীলতা এবং ফলন উন্নত করার জন্য কৃষি জৈবপ্রযুক্তিগুলো আরও ভালোভাবে গ্রহণ করতে হবে, খাদ্য উৎপাদনে পরিবেশ তৈরির জন্য নীতিনির্ধারকদের সহায়তা করতে হবে, অন্তর্ভুক্তিমূলক গবেষণার জন্য একটি সেতু তৈরি করতে হবে, যেখানে কৃষক ও বিজ্ঞানীরা একসঙ্গে কাজ করবেন, ভালো ও উন্নত তথ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে পছন্দগুলো জানাতে হবে, যাতে বিজ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়। 

বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রকৃত কারণগুলোর জন্য উত্তর গোলার্ধের তুলনায় দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলোর অনেক কম অবদান রয়েছে। তবুও তারা খরা, বন্যা, ঝড়, তাপপ্রবাহসহ চরম জলবায়ু ঘটনাগুলো দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। এতে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার মতো অন্যান্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এতে দারিদ্র্যের মতো চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। তা ছাড়া ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলোতে ২.২ বিলিয়ন মানুষ উচ্চ জলবায়ু ঝুঁকির মধ্যে ছিল।

ড. আব্দুস শহীদ বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেভাবে উষ্ণতা ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে, তাতে আমাদের বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যেভাবে কাজ করছি, সেই হিসেবে আশা করি এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা সফলতা অর্জন করতে পারব। আমাদের বিজ্ঞানীরা বীজের নানান জাত উদ্ভাবন করে চলেছেন। এতে জলবায়ুসহিষ্ণু ধান থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ফসলের উদ্ভাবন তারা করে চলছেন।’ 

মাটির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। এতে জলবায়ু পরিবর্তনে কোনো প্রভাব আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ড. আব্দুস শহীদ বলেন, ‘খরার ফলে মাটির আর্দ্রতা কমতে পারে। আমাদের যে মাটির স্তর সেখানে যে বন্যা হয় তা কিন্তু খারাপ না। কেননা বন্যায় কিছু ক্ষতি হলেও যে পরিমাণ পলি বহন করে নিয়ে আসে, তাতে মাটির উর্বরতা বাড়ে।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভাগ্যের ওপর বিশ্বাসী হলেও বিজ্ঞানীরা যে গবেষণা করছেন, তা কিন্তু কম না। গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। এতে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে।’ জর্জ স্মিথ বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এমন একটি চ্যালেঞ্জ যা এখন আর নির্দিষ্ট কোনো দেশের সীমানায় আটকে নেই। এর প্রভাব মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা দরকার। এই ফোরাম আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া, বৈচিত্র্যময় দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে।’

ড. করিম মেরাদিয়া বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন এবং দক্ষিণ এশিয়ায় খাদ্যব্যবস্থার ওপর এর প্রভাব ও নানাবিধ সমস্যা সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানা। অভিযোজনের কৌশলগুলোর প্রভাব পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নের জন্য আরও নির্ভর বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা