প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৪ ২০:৩৩ পিএম
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৪ ২০:৪৬ পিএম
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেছেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সারা বিশ্বে জীবন ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এসব দুর্যোগকে প্রতিরোধ করতে না পারলেও অগ্রিম সতর্ক ও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে ক্ষতির পরিমাণ সীমিত রাখা সম্ভব। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বাড়ছে। এসব ক্ষতি মোকাবিলায় বিশ্ব সম্প্রদায় যে অর্থায়ন করে তার মধ্যে ৮৫ অংশ অর্থই নিয়ে যায় আমেরিকা ও রাশিয়ার মতো বড় দেশগুলো। সামান্য কিছু অর্থ দেয় আমাদের মতো চুনোপুটিদের।’
শনিবার (২৩ মার্চ) বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের হলরুমে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব গোলাম মো. হাসিবুল। ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান ড. মো. শামীম হাসান ভূঁইয়া বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কিত সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আবহাওয়া অধিদপ্তর কার্যকর পূর্বাভাস প্রদানের মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই পূর্বাভাস এখন আর শুধু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অংশ নয়, বরং কৃষি, স্বাস্থ্য, মৎস্য সম্পদ, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি, পর্যটন শিল্পসহ অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রেই এর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।’
আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন উল্লেখ করে আব্দুস শহীদ বলেন, ‘আমাদের কর্মকাণ্ডে পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপর কী প্রভাব পড়তে পারে তা সর্বাগ্রে বিবেচনায় নিতে হবে। সবার প্রজ্ঞা ও শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে একটি টেকসই ও নিরাপদ বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে।’
একই সঙ্গে আগামীতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস, বার্তা ও পদক্ষেপ মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় আরও বেশি অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাজারে পণ্যের দাম বাড়বে ও কমবে। এটি অর্থনীতির একটি চিরাচরিত নিয়ম। আমরা যদি দেশের জন্য কাজ না করি, তবে পরবর্তী প্রজন্ম গালি দেবে। তাই প্রত্যেককেই নিজ নিজ স্থান থেকে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।’
উৎপাদক ও ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের মূল্যের বিরাট ফারাক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি উৎপাদক ও বাজারজাতকারী দুই পক্ষকে জিজ্ঞেস করতে হবে। তাহলে এর উত্তর পাওয়া যাবে। আমরা চাই ভোক্তার চাহিদা পূরণ এবং কৃষিপণ্য উৎপাদক যেন ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত না হয়; এ দুইয়ের সমন্বয় করতে হবে।’