ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:১৬ পিএম
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:১৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আমন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে চালের কোটা পূরণ করতে পারলেও ধান কেনাতে ব্যর্থ হয়েছে খাদ্য বিভাগ। উপজেলার দুটি সরকারি খাদ্যগুদামে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৭৫ টন। সেখানে মাত্র ২০ টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে।
কার্যক্রম শুরু হওয়ার তিন মাস অতিবাহিত হতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এখন পর্যন্ত মাত্র ২০ টন ধান সংগ্রহ করতে পেরেছে খাদ্য বিভাগ। ক্রয়ের অপেক্ষায় ৬৫৫ টন ধান। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও কৃষকরা পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন।
খাদ্য কর্মকর্তারা বলছে, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি। সেকারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এদিকে কৃষকদের অভিযোগ, খাদ্যগুদামে ধান দিতে গিয়ে নানামুখী হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৩ নভেম্বর ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। যা চলবে চলতি মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত। সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধানের মূল্য ৩০ টাকা ও চালের মূল্য ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
সংগ্রহ অভিযান শেষ সময়েও ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র অর্জিত না হলেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে সিদ্ধ চাল সংগ্রহে। আমনে ৪ হাজার ৩৯৪ দশমিক ৮০ টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পুরোটাই সংগ্রহ হয়েছে।
পৌর এলাকার চকচকা গ্রামের কৃষক অবসরপ্রাপ্ত কলেজ অধ্যক্ষ মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আগে তো কৃষি কার্ড দিয়েই সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতেন। কিন্তু এখন তো অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম হওয়ায় সেটি করা হয় না। তা ছাড়া গুদামে ধান দিতে গেলে ধানের আর্দ্রতা, কাঁচা-পাকা নানা অজুহাতে কৃষকদের হয়রারি করা হয়। এজন্য খাদ্যগুদামের চেয়ে হাটবাজারে ধান বিক্রি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তা ছাড়া সরকারি ক্রয়মূল্যের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা বাজারেই ধান বিক্রি করছে।’
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মঈন উদ্দিন বলেন, ‘সরকারি ধানের মূল্য থেকে বাজারে ধানের মূল্য বাড়তি ছিল। তাই কৃষকরা ঘাটতি দিয়ে সরকারি দামে ধান দেননি। যার ফলে সরকারি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। তবে লক্ষ্যমাত্রার পুরোটাই সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।