প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৩৭ পিএম
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৪২ পিএম
‘ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’ ও ‘বুড়িগঙ্গা নদী মোর্চা’ যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে। এটি আয়োজনে সহযোগিতা করে নিরাপদ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, সচেতন নাগরিক সমাজ সংগঠন, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, নিরাপদ চিকিৎসা চাই, বনলতা নারী উন্নয়ন সংস্থা এবং শিশুদের মুক্তবায়ু সেবন সংস্থা। প্রবা ফটো
দেশের নদী রক্ষা ও পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা।
রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে “পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের অঙ্গীকার চাই” শীর্ষক এক প্রচারাভিযান কর্মসূচিতে এই দাবি জানানো হয়।
‘ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’ ও ‘বুড়িগঙ্গা নদী মোর্চা’ যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে। এটি আয়োজনে সহযোগিতা করে নিরাপদ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, সচেতন নাগরিক সমাজ সংগঠন, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, নিরাপদ চিকিৎসা চাই, বনলতা নারী উন্নয়ন সংস্থা এবং শিশুদের মুক্তবায়ু সেবন সংস্থা।
উদ্বোধনী বক্তব্যে সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র বলেন, ‘আমাদের নদী দখল হয়ে যাচ্ছে, দূষণ হচ্ছে। আমরা নিজেরা যেমন আমাদের আশেপাশের পরিবেশ করছি, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিকভাবেও আমরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। এসব সমস্যার সমাধানে রাজনৈতিক ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের কাছে দাবি করছি- তারা যেন পরিবেশ এবং নদীর রক্ষার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ হন।’
নিরাপদ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাইদ রানা বলেন, ‘আমরা পরিবেশ বিপর্যয় ও দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। পরিবেশ এবং নদীর সুরক্ষা করা শুধু আমাদের দায়িত্ব নয়, জনপ্রতিনিধিদেরও দায়িত্ব। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনী ইশতিহারে অঙ্গীকার এবং নির্বাচনের পরে যেন তারা পরিবেশের জন্য কাজ করে যান। কারণ পরিবেশ ভাল থাকলে আমরাও ভাল থাকব।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাকিলা পারভিন বলেন, ‘আমরা আগে দেখেছি ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী দিয়ে আগে কত সুন্দর পানি পরিবাহিত হতো কিন্তু এখন নদী দূষণ এবং দখলের কারণে নদীর পানি বিষাক্ত, দুর্গন্ধযুক্ত হয়েছে। সাধারণ জনগণের পাশাপাশি নির্বাচিত ও অনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকেও দেশ এবং রাষ্ট্রের স্বার্থে পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাই আমাদের দাবি- যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবেন তারা যেন পরিবেশ এবং নদী সুরক্ষায় কাজ করেন।’
সচেতন নাগরিক সমাজের নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহাঙ্গীর আদেল বলেন, ‘সংসদীয় নির্বাচনের প্রার্থীরা যেন তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকারে পরিবেশ বিষয়ে অঙ্গীকার করেন সেই দাবি নিয়ে। নির্বাচিত হওয়ার পর যে পরিবেশ রক্ষার জন্য কাজ করতে হবে সেটা যেন তারা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন। আমরা যেমন দেশের পরিবেশ তথা সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য নিস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছি, তারাও যেন তেমন করেন। মুক্তিযোদ্ধা, রেমিটেন্সযোদ্ধা এবং অন্যান্য সুবিধাভোগীরা যেমন সরকারের কাছ থেকে সম্মান পায়, পরিবেশযোদ্ধারাও যেন পর্যাপ্ত সম্মান এবং অগ্রাধিকার পান সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে।’
ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ-এর প্রকল্প সমন্বয়কারী সৈয়দ তাপস অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
প্রচারাভিযানের মাধ্যমে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের কাছে নির্বাচনী অঙ্গীকারে অন্যতম প্রতিপাদ্য বিষয় হিসেবে ‘পানি, বায়ু ও শব্দ দূষণ প্রতিরোধ’কে অন্তর্ভুক্ত করা ও ‘পরিবেশ দূষণ বন্ধের মাধ্যমেই স্বাস্থ্যকর বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব’- এই বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।