× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

উদ্যোগ

কৃষিখামারে দুই বন্ধুর সাফল্য

মাজেদুল ইসলাম, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৪২ এএম

আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:৫৫ এএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলায় নিজেদের কৃষিখামারে এমদাদুল হক ও কবির আহাম্মদ। প্রবা ফটো

ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলায় নিজেদের কৃষিখামারে এমদাদুল হক ও কবির আহাম্মদ। প্রবা ফটো

এমদাদুল হক ও কবির আহাম্মদ- দুই বন্ধু। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার দুজন ২০ বছর আগে নিজেদের ভাগ্যোন্নয়নে দেশ ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন বিদেশে। সেখানে প্রায় এক যুগ কাটিয়ে দেশে ফেরেন নিজেরা কিছু করবেন বলে। অনেক ভাবনার পর বেছে নেন কৃষিকাজ। স্বপ্ন দেখেন নিজেরা গড়বেন আধুনিক কৃষিখামার। যার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নেও অবদান রাখবেন।

২০১২ সালে দেশে ফিরেই কাজে নামেন এমদাদুল ও কবির। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও পরিকল্পনায় প্রাথমিকভাবে ১৫ বিঘা কৃষিজমি লিজ নিয়ে শুরু করেন খামার। বিভিন্ন শাকসবজি চাষের মাধ্যমে এগোতে থাকে দুই বন্ধুর কৃষিখামার। ১৩ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করলেও নিজেদের অনভিজ্ঞতায় প্রথম দুই বছর লাভের মুখ দেখেননি বললেই চলে।

প্রাথমিক ধাক্কা সামলে দৃঢ় মনোবলে নতুন উদ্যমে কাজে নামেন তারা। তৃতীয় বছর থেকে দেখতে থাকেন লাভের মুখ। এক যুগ পেরিয়ে শুরুর ১৫ বিঘা থেকে বর্তমানে কৃষিখামারের আয়তন বেড়ে হয়েছে ৫০ বিঘা। বর্তমানে খামার থেকে দুই বন্ধুর বছরে আয় প্রায় কোটি টাকা। খামারের উৎপাদিত কৃষিপণ্য এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সরবরাহ হচ্ছে। সরকারি সহযোগিতা পেলে গ্রিনহাউস নির্মাণসহ কৃষিভিত্তিক আরও বড় পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।

এমদাদুল হক ও কবির আহাম্মদের এই খামারের মাধ্যমে নিজেরা যেমন প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন, তেমনি এখানে কাজ করে কর্মসংস্থান হয়েছে ৫০ জনেরও বেশি নারী ও পুরুষের। প্রতি মাসে কর্মীদের বেতন দিচ্ছেন ৬ লাখ টাকার ওপরে। তাদের দেখাদেখি স্থানীয় বেকার যুবকরাও উৎসাহিত হচ্ছেন কৃষিকাজে। যারা কৃষি নিয়ে কাজ করতে চান, তাদেরও করছেন সহযোগিতা। 

সরেজমিন দেখা যায়, দুই বন্ধুর এই খামারে দেশি-বিদেশি ও উন্নত জাতের টমেটো, শসাসহ ঋতুভিত্তিক বিভিন্ন শাকসবজির পাশাপাশি চাষ হচ্ছে ‍আগাম জাতের তরমুজ। এ বছর খামারের ৩৫ বিঘা জায়গাজুড়ে চাষ করেছেন শীতকালীন আগাম জাতের টমেটো। শীতের শুরুতে টমেটোর ফলনও হয়েছে দারুণ। প্রতি কেজি টমেটো পাইকারি ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রকার শাকসবজিতে ভরে আছে খামারের প্রতিটি কোনা।

খামার প্রসঙ্গে কথা হয় তাদের সঙ্গে। এমদাদুল হক বলেন, স্বপ্ন দেখতাম নিজেরা কিছু একটা করব। সেই ভাবনায় বিদেশ থেকে এসে খামার গড়ার কাজে নেমে পড়ি। টানা দুই বছর পরিশ্রম করতে হয়েছে। বর্তমানে আমরা সফল। নিজেরা নিজেদের ভাগ্য গড়তে পেরিছি। সবসময় আগাম জাতের শাকসবজি চাষ করি। কারণ এই সবজির চাহিদা অনেক। আমরা যেমন লাভবান হচ্ছি, একই সঙ্গে স্থানীয় বেকার নারী-পুরুষদের কর্মসংস্থান করতে পারছি। 

কবির আহাম্মদ বলেন, খামার নিয়ে ভাবনা ছিল আগে থেকেই। সময়, সুযোগ ও অর্থের জোগান পেয়ে আমরা গড়ে তুলি খামার। গ্রিনহাউস নির্মাণ করার ইচ্ছা আছে। এজন্য প্রয়োজন সরকারি সহযোগিতা। এছাড়া খামারকে কেন্দ্র করে আরও কিছু বড় পরিকল্পনাও রয়েছে আমাদের। কেউ খামার গড়ে তুলতে চাইলে আমরা সর্বাত্মক তাদের সাহায্য করি। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম বলেন, আমাদের দেশের কৃষি বর্তমানে দিন দিন বাণিজ্যিক রূপ ধারণ করছে। শাকসবজির চাষাবাদ করে সফল হয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন প্রবাসফেরত দুই বন্ধু। তারা গ্রীষ্মকালীন, শীতকালীন ফসল চাষ করে প্রচুর লাভবান হচ্ছেন। তাদের বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করা হয়।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা