জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে দেশের প্রত্যাশা তুলে ধরলেন পরিবেশমন্ত্রী

সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৮) বাংলাদেশ ইতিবাচক ফলাফল আশা করে বলে ‍ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনারকে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমিরাত সরকার ছাড়াও আমরা আশা করি যুক্তরাজ্যের সরকারও সব দেশকে একত্র করার জন্য এবং জলবায়ু-সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে সংহতি প্রদর্শনে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।’

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও জানান, ক্ষয়ক্ষতির তহবিল চালু করা এবং তহবিল ব্যবস্থা, অভিযোজনসংক্রান্ত বৈশ্বিক লক্ষ্যের কাঠামোর চুক্তি, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড রাখার লক্ষ্যের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য ২০৩০ প্রশমন লক্ষ্যগুলোকে শক্তিশালী করা, ন্যাপ ও এনডিসি বাস্তবায়নের জন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য অর্থায়ন বৃদ্ধি—কপ-২৮-এ নিশ্চিত করতে হবে। 

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার টেকসই উন্নয়নের যাত্রায় লো-কার্বন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট অনুসরণ করছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের ন্যাপ, এনডিসি, এমসিসিপি বাস্তবায়নে এবং জ্বালানি পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি ও বন সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

জবাবে ঢাকায় ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল বলেন, ’ক্ষতি ও ক্ষয়ক্ষতির তহবিল চালুসহ জলবায়ুসংক্রান্ত পদক্ষেপ আমাদের পারস্পরিক অগ্রাধিকার। বর্তমান ব্রিটিশ সরকার জলবায়ু কার্যক্রমে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য জলবায়ু চুক্তির ফলে এই দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হবে।’

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, অ্যানা ব্যালেন্স (জলবায়ু ও পরিবেশবিষয়ক উপদেষ্টা) এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনের মারজান নুর (পলিসি ম্যানেজার)।