প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৩৯ পিএম
আগামীকাল শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে দুই দিনের ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ’। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর
প্রভাব মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণ ও জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করার দাবিতে প্রথমবারের
মতো এই সমাবেশের আয়োজন করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ওয়াটারকিপার্স’সহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিবেশবাদী
২৭টি সংগঠন। জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৮) সামনে রেখে আয়োজিত এই সম্মেলনে দেশি
ও বিদেশি অংশীজনদের পাশাপাশি জলবায়ু সংকটের হুমকিতে থাকা দেশের প্রত্যন্ত এলাকার ৭
শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেবেন।
আয়োজকদের
পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামীকাল (১৭ নভেম্বর) সকাল ৯টায় রাজধানীর স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে
বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্য দিয়ে এই সমাবেশ শুরু হবে। এরপর সকাল ১০টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত এবং পরিবেশ বন ও জলবায়ু
পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। সমাবেশে
সভাপতিত্ব করবেন সমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট
সুলতানা কামাল। বিশেষ অতিথি থাকবেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের
চেয়ারম্যান ফাতিনাজ ফিরোজ, তারা ক্লাইমেট ফাউন্ডেশনের ডেপুটি রিজিওনাল প্রোগ্রাম ডিরেক্টর
সিনান হাউটন ও ইউএনডিপির সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক। মূল প্রবন্ধ তুলে ধরবেন
এশিয়ান পিপলস্ মুভমেন্ট অন ডেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সমন্বয়ক লিডি ন্যাকপিল ও ব্রতীর
প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশীদ। সঞ্চালনা করবেন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ও ওয়াটারকিপার্স
বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল।
প্রথম
দিনে পৃথক তিনটি বিষয়ভিত্তিক আলোচনা হবে। ‘জীবিকা, খাদ্য এবং স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব’ ‘বিশুদ্ধ শক্তি, জল ও কর্মসংস্থানের
অধিকার: জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পের সম্প্রসারণের প্রভাব’ এবং ‘বদ্বীপ বাস্তুতন্ত্রের উপর প্রভাব’ শীর্ষক তিনটি সেশনে দেশি ও
বিদেশি অংশীজনদের পাশাপাশি জলবায়ু সংকটের হুমকিতে থাকা ৭ শতাধিক নিবন্ধিত প্রতিনিধি
অংশ নেবেন। শনিবার বেলা ৩টায় সমাবেশ মঞ্চে গৃহীত ঘোষণাপত্র পাঠের মধ্য দিয়ে দুই দিনের
সমাবেশ শেষ হবে।
সমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব শরীফ জামিল জানান, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের দায় আমাদের না থাকলেও, উন্নত দেশসমূহের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের পাশাপাশি নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধির লাগামহীন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের মত দেশসমূহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাবের শিকার। তাই জলবায়ু সম্মেলনকে (কপ-২৮) সামনে রেখে উন্নত দেশগুলোর প্রতি জোরালো চাপ সৃষ্টি ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সংহতি জানাতে এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। তিনটি স্তরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এখানে সাধারণ মানুষ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নেতারা তাদের মতামত তুলে ধরবেন। আগামী জলবায়ু সম্মেলনে তাদের ওই সব মতামতের প্রতিফলন ঘটবে। যা নীতি নির্ধারণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।