× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

শেরপুরে আগাম জাতের ধান চাষে কৃষকের মুখে হাসি

নাঈম ইসলাম, শেরপুর

প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৪২ পিএম

আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৩৩ পিএম

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় আগাম জাতের ধান চাষ করে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। প্রবা ফটো

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় আগাম জাতের ধান চাষ করে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। প্রবা ফটো

চলতি মৌসুমে শেরপুরের সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলায় আগাম জাতের ধানের ভালো আবাদ হয়েছে। এতে হাসি ফুটেছে চাষির মুখে। তারা বলছেন, আগে জমি থেকে মাত্র দুইবার ধান আসত। এখন সে অবস্থা পাল্টেছে। আগাম জাতের ধান ঘরে তোলার পর শীতকালীন সবজি চাষ করেও লাভবান হচ্ছেন তারা।

কৃষি বিভাগ বলছে, বোরো কাটা ও মাড়াই শেষ হয় মধ্য জুন মাসে। আর আমন লাগানো শুরু হয় মধ্য জুলাই থেকেই। এই ধান ওঠে বছর শেষে। এ কারণে জমিতে আলু, সরিষা আবাদের সুযোগ মিলত না। 

স্থানীয় কৃষকরা জানান, এ কারণে সীমান্তবর্তী এই এলাকার চাষি ও কৃষিশ্রমিকেরা পড়তেন অর্থ সংকটে। আশ্বিন-কার্তিকে অভাবে দিন কাটাতে হতো। আর সেই অভাব দূর করে দিয়েছে আগাম জাতের হাইব্রিড ধান। চারা রোপণের তিন মাসের মধ্যেই ঘরে ফসল তুলতে পারেন তারা। 

ধান মাড়াই করছেন কৃষক


উপজেলার রূপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নের আদর্শ কৃষক সরকার গোলাম ফারুক বছরে দুইবার ধানচাষ করতেন। তিনি এক ফসল বিক্রি করে আরেক ফসলের জন্য খরচ জোগান। বন্যা, পোকামাকড় ও অনাবৃষ্টির কারণে প্রতিবছর আমনক্ষেত নষ্ট হয়ে উৎপাদন কমত। কোনো কোনো বছর নষ্ট হওয়ায় ফসল তো দূরের কথা খড়ও ঘরে আনতে পারতেন না। তবে সেই দিন শেষ হয়েছে। এখন বিনা-১৭ জাতের ধান লাগিয়ে ধান ঘরে তুলে খুশি ফারুক।   

গোলাম ফারুক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, বাপ দাদার আমল থেকেই ধানচাষ করেন তিনি। আমন ধান কাটার উপযোগী হতে সময় লাগে প্রায় পাঁচ মাস। এই সময়ে এসব নিচু জমিতে অন্য কোনো ফসল চাষ করা সম্ভব না। এবার দেড় একর জমিতে বিনা-১৭ জাতের ধান লাগিয়ে লাভ পেয়েছেন।

একই উপজেলার রাজনগর গ্রামের কৃষক মিজান মিয়া বলেন, ‘আমি ২০ শতাংশ জমিত বিনা-১৭ লাগিয়েছিলাম। গত সপ্তাহে কেটে বাড়ি আনছি ধান। এই ধান আবাদে সার, পানি, কীটনাশক কম লাগছে। রোগবালাই নাই বললে চলে। ফলনও মোটামুটি ভালো হয়েছে।‘  

নালিতাবাড়ী বিনা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, সম্প্রতি এখানকার একটি প্রদর্শনী প্লটের দেড় একর জমির নমুনা শস্য কর্তন করা হয়। দেখা গেছে বিনা-১৭ জাতের ধানের ফলন হয়েছে হেক্টরে ৬ দশমিক ৫ টন। এমন ফলনে কৃষকরা খুশি। 

উপজেলা বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, আগাম জাতের ধান কৃষকেরা ১১০ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যে ঘরে তুলতে পারছেন। আমনের জাতগুলোর তুলনায় ৬০ থেকে ৭০ দিন আগে এ ধান পেকে যায়। ফলে বাকি সময়ে কৃষক অন্য ফসল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। নালিতাবাড়ীর এ অঞ্চলে হাইব্রিড আগাম জাতের বিনা–১৭, বিনা–৭, তেজ গোল্ড ও ধানি গোল্ড ধান চাষ হচ্ছে। এ জাতের ধানচাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।

জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘টেকসই কৃষি উন্নয়নে আমরা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। আগে কৃষকেরা বছরে দুটির বেশি ফসল ফলাতে পারতেন না। আমরা কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও সেবা দিয়ে যাচ্ছি। এখন ধানি জমিতে কৃষকেরা বছরে তিন বার ফসল ঘরে তুলতে পারছেন। আগাম জাতের ধান চাষ, কাটা ও মাড়াইয়ের পরে বর্তমানে জমিতে আলু, সরিষা, মুলা ও অন্যান্য শস্য চাষ করছেন। এতে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা