× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

‘জলবায়ু ন্যায্যতার স্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে’

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:২৩ পিএম

আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৪৯ পিএম

‘জলবায়ু ন্যায্যতার স্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে’

জলবায়ু ন্যায্যতার স্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ধনী দেশগুলো দায়ী উল্লেখ করে তারা বলেছেন, ধনী দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ কমানোসহ নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রক্ষা করেনি। বরং পরিবেশগত ঝুঁকি বৃদ্ধির কাজ করছে। তাই দরিদ্র মানুষের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়সহ পরিবেশ সুরক্ষার দাবিতে বিশ্বব্যাপী আন্দোলন জোরদার করতে হবে।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে প্রতিবাদী মানববন্ধন-সমাবেশ, সাইকেল র‍্যালি ও মূকাভিনয় কর্মসূচিতে পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা এসব কথা বলেন।

জি-২০ সম্মেলনকে সামনে রেখে ওয়াটারকিপারস বাংলাদেশ, ইকুইটি বিডি, ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি), ব্রতী, গ্লোবাল লথিংকার্স সোসাইটি, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন এবং বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদের যৌথ এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ‘ব্রতী’র নির্বাহী পরিচালক শারমিন মুর্শিদ।

জলবায়ু সংকটের জন্য জি-২০ জোটভুক্ত দেশগুলো সবচেয়ে বেশি দায়ী মন্তব্য করে শারমিন মুর্শিদ বলেন, ‘শিল্পোন্নত দেশগুলোর অনিয়ন্ত্রিত কার্বন নিঃসরণের কারণে বর্তমানে সারা বিশ্ব একটি সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। দায়ী দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বিভিন্ন ক্ষতিপূরণমূলক অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তা দেওয়ার আবশ্যকতা থাকলেও তারা সেটা করেনি। বরং গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর জন্য ঋণের ফাঁদ তৈরির মতো হঠকারী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য জি-২০ সম্মেলনে পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাই।’

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ওয়াটারকিপারস বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের মতো গরিব দেশগুলো চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন। অথচ জি-২০ সম্মেলনে প্রতিবছর নানান প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়নে আগ্রহ থাকে না। আর জলবায়ু পরিবর্তনের দায়ী দেশগুলো তাদের দায় এড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বিভিন্ন কৌশলে ঋণের ফাঁদে ফেলার কর্মসূচি গ্রহণ করে।’

দায়ী এসব দেশের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় ও অনতিবিলম্বে উপযোগী জলবায়ুনীতি গ্রহণের জন্য জি-২০ সম্মেলনে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বদরুল আলম বলেন, ‘আসন্ন জি-২০ সম্মেলনে পৃথিবীকে এক পরিবার বললেও সংগঠনটি বিশ্বের বিভিন্ন ধনী দেশগুলোর স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। ২০০৯ সালে এ সংগঠনের সম্মেলনে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিলেও অর্থ, বাণিজ্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তারা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে পর্যায়ক্রমে বের হয়ে আসার কথা থাকলেও সদস্য দেশগুলোর শিল্পকারখানাগুলো আরও বেশি দূষণের শিকার হচ্ছে গরিব দেশগুলো। এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূল এলাকায় দুর্যোগ বাড়ছে জানিয়ে সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র বলেন, ‘লবণাক্ততার আগ্রাসনে ফসলের উৎপাদন কমছে। বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ও সাগর সৈকত ধ্বংস হচ্ছে। ফলে উপকূলের মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। অথচ ধনী দেশগুলো একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রক্ষা করছে না। তাই দুর্যোগকবলিত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম জোরদার করতে হবে।’

সিপিআরডির রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি অফিসার আল ইমরান বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও আইএমএফসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংগঠনগুলোর ঋণনীতিতে মুনাফা অর্জনকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যেখান থেকে বেরিয়ে এসে বাস্তুসংস্থান ও জলবায়ুর বিষয়ে গুরুত্বরোপ করতে হবে। জলবায়ু সংকটের জন্য দায়ী গ্লোবাল নর্থের বিভিন্ন দেশ ও সংগঠনগুলোকে এ সংকট সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।’

কর্মসূচিতে জলবায়ু শরণার্থী, নদী দূষণ ও বৃক্ষ নিধনবিষয়ক মূকাভিনয় প্রদর্শন করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের শিল্পীরা। এর আগে শতাধিক সাইকেলিস্টের একটি র‍্যালি রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। অনুষ্ঠানে পরিবেশবাদী সংগঠনের সদস্য ও ব্যক্তিরা অংশ নেন। জি-২০ সম্মেলনকে সামনে রেখে আসিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এপিএনডিডি) বাংলাদেশসহ এশিয়ার দশটি দেশে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা