প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৩ ১৬:৪৯ পিএম
আপডেট : ২০ জুলাই ২০২৩ ১৭:২৯ পিএম
বাজারে বিক্রির জন্য স্তুপ করা হচ্ছে করলা। ছবি : বাসস
কুমিল্লার সদর দক্ষিণের লালমাই পাহাড়ের জামতলা এলাকা। পাহাড়ের ঢাল ও সমতল ভূমিতে সারি সারি করলার মাচা। মাচা থেকে করলা সংগ্রহ করে চাষিরা মাচার পাশে স্তুপ করছেন। এর মধ্যে কয়েকজন শ্রমিক মাচা থেকে সংগ্রহ করা করলা বাজারে নেওয়ার জন্য ঝুড়িতে সাজিয়ে নিচ্ছেন। প্রথম দেখায় সবুজ পাতায় ছেয়ে যাওয়া মাচায় যে কারোর চোখ আটকে যাবে। এবার করলার ফলন ভালো হওয়ায় জামতলা এলাকার কৃষকরা অনেক খুশি। তিতকুটে স্বাদের এ করলা এখন কুমিল্লার চাষিদের মুখে মিষ্টি হাসি এনে দিয়েছে।
লালমাই পাহাড়ে উৎপাদিত এ করলা এখন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হওয়ায় লাভের মুখ দেখছে চাষিরা। বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে করলা চাষে উৎসাহিত হয়ে করলা চাষ করছেন স্থানীয়রা।
লালমাই পাহাড়ে উৎপাদিত করলা এবং জেলার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা তাদের উৎপাদিত করলা নিয়ে আসে নিমসার বাজারে। ব্যবসায়ীরা চাষিদের থেকে করলা কিনে ট্রাকে করে সকাল ১০টার মধ্যেই রওনা হয়ে যায় নিজ গন্তব্যে। বর্তমানে প্রতি মণ করলা ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন চাষিরা।
লালমাইয়ের করলা চাষি কায়কোবাদ হোসেন বলেন, ’গত কয়েক বছর করলা চাষ করে লাভবান হচ্ছি। তাই এলাকার অনেকে করলা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। আগের তুলনায় অনেকে করলা চাষ করেছেন।’
জামতলার কৃষক সালাউদ্দিন বলেন, ১৫ বছর ধরে সবজির চাষ করছি। করলা চাষ করে ভালো লাভ হয়েছে। বাজারে করলা নিয়ে যাবেন তাই তাড়াহুড়ার মধ্যে জানালেন, ৩৬ শতক জমিতে করলা চাষ করতে ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এ জমি থেকে ৬০-৭০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করতে পারব। পাইকারি প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি করি। যা খুচরা বাজারে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কুমিল্লার নিমসার বাজারে এসে ঢাকার কারওয়ান বাজারের মনির হোসেন নামের এক সবজি ব্যবসায়ী জানান, কুমিল্লার করলার গুণগত মান ভালো। এখান থেকে করলা কিনে লাভ ভালো হওয়ায় বেশ কয়েক বছর ধরে এখানকার করলা রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারে সরবরাহ করছি।
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আইউব মাহমুদ বলেন, ‘সদর দক্ষিণের লালমাই পাহাড় এলাকার ৯০ হেক্টর জমিতে করলার চাষ হচ্ছে। যেখানে পানি জমে না এমন উঁচু-মাঝারি জমির দোআঁশ মাটিতে করলার ভালো চাষ হয়। কৃষি বিভাগ সার ও কীটনাশক প্রয়োগে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছে।’