× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

‘১০০ চিংড়ি পোনা ধরতে ধ্বংস করা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ মাছ-জলজ প্রাণী’

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৩ ১৭:৩১ পিএম

আপডেট : ১৭ মে ২০২৩ ২১:০৬ পিএম

জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ আয়োজিত ‘উপকূলের ইলিশ ও জেলে’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপ। প্রবা ফটো

জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ আয়োজিত ‘উপকূলের ইলিশ ও জেলে’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপ। প্রবা ফটো

সমুদ্র উপকূলে মশারি, বেহুন্দি আর চরগড়া জাল দিয়ে অবাধে চিংড়ির পোনা ধরার কারণে অন্যান্য প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী ধ্বংস হচ্ছে। এতে মৎস্যসম্পদ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে বলে জানিয়েছেন উপকূল পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সংগঠন গ্রিন কক্সবাজারের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘১০০ বাগদা বা গলদা চিংড়ি মাছের পোনা ধরতে ১১ কেজি অন্যান্য মাছ ও জলজ প্রাণী ধ্বংস করা হচ্ছে। এতে ইলিশের খাদ্যচক্র নষ্ট হচ্ছে।’

বুধবার (১৭ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ আয়োজিত ‘উপকূলের ইলিশ ও জেলে’ শীর্ষক জাতীয় এক সংলাপে এ তথ্য জানান ফজলুল কাদের চৌধুরী। উপকূলে জেলেদের চিংড়ির পোনা ধরার সময় পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এ তথ্য তুলে ধরেন তিনি। কোস্ট ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে পর্যবেক্ষণটি করে গ্রিন কক্সবাজার।

তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে কক্সবাজারের নাজিরটেক থেকে টেকনাফের বদরমোড় পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার উপকূলে ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে একটি পর্যবেক্ষণ করা হয়। তাতে দেখা যায়, ১০০টি বাগদা চিংড়ির পোনা (রেণু থেকে একটু বড়) ধরতে ১১ কেজির মতো সামুদ্রিক মাছ ও অন্যান্য জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়। আর বাঁকখালী, মাতামহুরী নদী দূষণের কারণে মাছের প্রজনন কমে গেছে। যত্রতত্র অতি ক্ষুদ্র জাল দিয়ে মাছের পোনা ধরার কারণে নদীভিত্তিক জলজ প্রাণীও হুমকির মুখে পড়েছে।

বাপার সভাপতি ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল সংলাপে সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিলের উপস্থাপনায় এতে আরও বক্তব্য দেন পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম শাহাজাদা, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. আখতারুজ্জামান বাবু, মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপ্রধান মাসুদ আরা মমি, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রিকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ আলী।

মৌসুমে অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় সরকারের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন জেলেদের জন্য দেওয়া বরাদ্দের পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুলতানা কামাল।

তিনি বলেন, ‘মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে প্রতিটি জেলে পরিবারকে মাসে ৪০ কেজি চাল দেওয়া হয়। এটি কী একটি পরিবারের পাঁচজন সদস্যের জন্য যথেষ্ট? যদি তা না হয়, তবে তাদের অন্যান্য কর্মসংস্থানসহ আরও সুযোগ-সুবিধা কেন দেওয়া হচ্ছে না?’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকার যতটা গুরুত্ব দিচ্ছে, সেই তুলনায় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে মনোযোগ দিচ্ছে না। ফলে বৈষম্য থেকে যাচ্ছে। সমাজের প্রত্যেকের সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যাতে কোনো ধরনের বৈষম্য না থাকে।’

বক্তব্যে নদীদূষণ ও ইলিশের প্রজনন নিয়ে পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম শাহাজাদা বলেন, ‘উপকূলীয় অঞ্চলে তরমুজসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলে উচ্চমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। এসব কীটনাশক নদীর পানিতে গিয়ে মিশে যাচ্ছে। তাতে করে নদীর অনেক প্রাণী মারা যাচ্ছে। ইলিশসহ অন্যান্য মাছের প্রজননে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।’

সংসদ সদস্য মো. আখতারুজ্জামান বাবু বলেন, ‘পলি জমে নদীগুলো নাব্যতা হারাচ্ছে। এখন যদিও অনেক নদীকে ড্রেজিং করা হচ্ছে। তা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। দেশে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে; এটি ধরে রাখতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

প্রান্তিক জেলে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি নদ-নদীগুলোর পরিবেশ রক্ষায় উপযোগী নীতিমালা তৈরির দাবি জানিয়েছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে হলে সেই সময়ে (মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন) জেলেদের খাদ্যসহায়তায় আনতে হবে। পাশাপাশি তাদের জন্য জেলে কার্ড দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশে ইলিশের ব্যবস্থাপনা ও নিষেধাজ্ঞার সময় একই ধরনের হতে হবে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা